সকল অংশীজনকে অজ্ঞাত রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুটি পৃথক বিভাগ গঠনের উদ্দেশে ১২ মে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। জারিকৃত অধ্যাদেশ বাতিলসহ ৪ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত বুধবার (১৪ মে) থেকে আজ বুধবার পর্যন্ত কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

একের পর এক কলম বিরতি চলমান থাকায় আমদানি-রপ্তানি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। বন্দর থেকে পণ্য খালাস, পণ্য পরীক্ষণ ও শুল্কায়ন হচ্ছে খুবই কম। ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের দফতর সম্পাদক শাকিরুল ইসলাম শাকিল বলেন, প্রতিদিন কাস্টম অফিসাররা যেভাবে কলম বিরতি পালন করছে তাতে আমরা বন্দর থেকে পণ্য খালাস করতে হিমশিম খাচ্ছি। কাজ করতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সরকারের উচিত বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া।

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দাবিসমূহ
১.

জারিকৃত অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে
২. অবিলম্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে
৩. রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে
৪. জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া এবং পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনাপূর্বক প্রত্যাশী সংস্থাসমূহ, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের মতামত নিয়ে উপযুক্ত ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে। 

বেনাপোল কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, ৪ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেনাপোল কাস্টম হাউজে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। আগামী ২৪ মে (শনিবার), ২৫ মে (রোববার) কাস্টমস হাউজের সকল দপ্তরে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে। আগামী ২৬ মে (সোমবার) পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে। রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এর আওতামুক্ত থাকবে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘ছায়াযুদ্ধে’ বিএনপি ও এনসিপি

বিএনপি ও এনসিপির পৃথক কর্মসূচি হঠাৎ করেই রাজনীতিতে বেশ উত্তাপ তৈরি করেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা মাঠে নেমেছেন ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র করার দাবি সামনে রেখে। এরপর এনসিপি কর্মসূচি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে। দল দুটির দাবি ভিন্ন ভিন্ন হলেও এটাকে কার্যত পাল্টাপাল্টি বা ছায়াযুদ্ধ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।

রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, বিএনপি ইশরাকের ইস্যুতে জয়ী হয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে একটি ধাক্কা দিতে চায়—যার চূড়ান্ত লক্ষ্য দ্রুত জাতীয় নির্বাচন আদায় করা। পাশাপাশি এনসিপির ওপরও একটা রাজনৈতিক চাপ তৈরি করতে চায়। কারণ, বিএনপির নেতারা মনে করেন, এনসিপি একের পর এক ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন পেছাতে চায়।

মেয়র পদে ইশরাক হোসেনের শপথের দাবিতে তাঁর সমর্থকেরা কাকরাইল মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। বুধবার দুপুরে

সম্পর্কিত নিবন্ধ