আগামী শীতের শুরুতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

দলটির আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, স্থানীয় সরকারব্যবস্থা নিয়ে সরকারকে স্পষ্ট অবস্থান জানাতে হবে। কোনো সিটি করপোরেশনে স্বৈরাচারের অন্যায়ের শিকার প্রার্থীকে মেয়র ঘোষণা করা হচ্ছে, কোনো সিটিতে সেটি হচ্ছে না। আবার বরিশাল সিটিতে মামলাই আমলে নেওয়া হচ্ছে না। এ ধরনের দ্বিচারিতা রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার দলটির এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

সিটি করপোরেশনের মেয়র ইস্যুতে গণ-অভ্যুত্থান–পরবর্তী পারস্পরিক বোঝাপড়ার রাজনীতিকে পরস্পরবিরোধী রাজনীতির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, এটা সংস্কার ও নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। তাই মুহাম্মাদ রেজাউল করীম জুলাই অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভাজন রোধে পরস্পরবিরোধী দাবি ও কর্মসূচি থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

রাজনীতিতে একই বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে একাধিক এবং পরস্পরবিরোধী মতামত ও অবস্থান থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির। তিনি বলেন, আলোচনার টেবিলে, আইনের মাধ্যমে বা পরস্পর সমঝোতার মাধ্যমে এর সুরাহা করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত কোনো আচরণ করা এবং মুখোমুখি কর্মসূচি নেওয়া সমীচীন হবে না।

আরও পড়ুনকরিডর বলে কিছু নেই, শুধু রাখাইনে মানবিক সাহায্য পৌঁছানো নিয়ে আলোচনা২১ মে ২০২৫

মানবিক করিডর নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘এই বিষয়ে পানি এত ঘোলা হওয়ার আগেই ব্যাখ্যা তুলে ধরা যেত। তারপরও করিডর বা চ্যানেল নিয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের ব্যাখ্যা ও বর্ণনার ওপরে আস্থা রাখতে চাই।’

একই সঙ্গে রেজাউল করীম চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনালের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের মতো বিষয়গুলো এড়িয়ে অন্যান্য সংস্কারের কাজে গতি আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

আরও পড়ুনচট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে: ইসলামী আন্দোলন১৯ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ইসল ম সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী। 

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?  

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”

আরো পড়ুন:

কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী

পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি

কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”

কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ