আমদানির কথা ছিল মাল্টা। কিন্তু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাল্টার সঙ্গে এনেছে সোয়া কোটি শলাকা সিগারেট। এতে প্রতিষ্ঠানটি ৩০ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তারা। গত বুধবার গভীর রাতে কনটেইনারটি শনাক্ত করেন তারা। 

গতকাল বৃহস্পতিবার গণনা শেষে এই তথ্য জানানো হয়। কনটেইনারটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ছিল ঢাকার মালিবাগের আহসান করপোরেশন। কনটেইনারটি খালাসে নিয়োজিত সিএন্ডএফ এজেন্ট ছিল চট্টগ্রামের দিবা ট্রেডিং লিমিটেড।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ১৯ মে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনারটি খালাসের জন্য কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে সিএন্ডএফ এজেন্ট দিবা ট্রেডিং লিমিটেড। কনটেইনারটিতে ঘোষণা বর্হিভূত পণ্য আছে বলে তথ্য পায় কাস্টমস কর্মকর্তারা। বুধবার রাত ২টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরে গিয়ে কনটেইনার খুলে মাল্টার কার্টনের সঙ্গে সিগারেটের কার্টনও পান তারা। পরে গণনা শেষে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, কনটেইনারটিতে লেমার ও অস্কার ব্র্যান্ডের ১ হাজার ২৫০ কার্টনে ১ কোটি ২৫ লাখ শলাকা বিদেশি সিগারেট ছিল। এছাড়া কনটেইনারে ৩৮৮ কার্টনে ৫ হাজার ৪৩২ কেজি মাল্টাও ছিল। 

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, সিগারেট আমদানিতে ৫৯৬ শতাংশ শুল্ককর দিতে হয়। এ হিসেবে ঘোষণা ছাড়াই সোয়া কোটি শলাকা বিদেশি সিগারেট এনে প্রায় ৩০ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘মাল্টার চালানে ঘোষণা বহির্ভূতভাবে সিগারেট এনে ৩০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছেন আমদানিকারক। কাস্টমসের নজরদারির কারণে এ জালিয়াতি ঠেকানো গেছে। কাস্টমস আইন অনুযায়ী তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বাগেরহাটের আকাশে ‘ইরিডিসেন্ট ক্লাউড’

বাগেরহাটের আকাশে দেখা মিলেছে ‘ইরিডিসেন্ট ক্লাউড’ বা রঙধনু মেঘের।

শুক্রবার (২৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের পশ্চিম আকাশে এই মেঘের দেখা মেলে। হালকা গোলাপি, সবুজ, কমলা, বেগুনি ও সোনালী আভা ছড়ানো এই মেঘ প্রায় ১৫ মিনিট ধরে আকাশে ঝলমল করতে দেখা যায়। 

ইরিডিসেন্ট ক্লাউড হলো এক ধরনের অপটিক্যাল মেঘীয় ঘটনা, যা সাধারণত উচ্চ স্তরের স্ট্রাটোক্যুমুলাস বা সিরাস মেঘে দেখা যায়। সূর্যের আলো যখন মেঘের ভেতরকার ক্ষুদ্র ও অভিন্ন জলকণার মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত ও প্রতিসরিত হয়, তখন এই রঙধনুর মতো মেঘ তৈরি হয়। এটি ‘ক্লাউড ইরিডিসেন্স’ নামে পরিচিত। সাধারণত হিমালয় অঞ্চলে এটা বেশি দেখা যায়।

বাগেরহাট শহরের মিঠাপুকুর এলাকার বাসিন্দা শেখ উদয় বলেন, “প্রথমে মনে হচ্ছিল, কেউ হয়তো কৃত্রিম আলো ফেলেছে। কিন্তু পরে বুঝি এটা প্রকৃতিরই সৃষ্টি। জীবনে প্রথম এমন রঙিন মেঘ দেখলাম।”

আবহাওয়াবিদদের মতে, ইরিডিসেন্ট ক্লাউড সাধারণত হিমালয় অঞ্চল বা উপসাগরীয় এলাকায় দেখা যায়। বাংলাদেশে এটি বিরল এবং স্বল্প সময়ের জন্য দৃশ্যমান হয়। উপকূলীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পরিবর্তনকালে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, “এটা মূলত এক ধরণের মেঘ। এটাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় কোটরা (COTRA ) বলে। বাংলাদেশের আকাশে সচরাচর দেখা যায় না। বৈশাখের শেষ থেকে জৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত মাঝেমধ্যে এই মেঘ দেখা যায়। সাধারণত বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরে সূর্য ডোবার আগ মুহূর্তে এই ধরণের দৃশ্য দেখা যায়। এতে ভয়ের কিছু নেই।”

ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ