বিদায়ী রাতে নতুন যুগের ইঙ্গিত রিয়ালের
Published: 25th, May 2025 GMT
স্প্যানিশ লা লিগার শেষ সান্ধ্যটা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য যেন হয়ে উঠল সময়ের রেলগাড়িতে পেছনে ফেরা এক দৃশ্যপট। যেখানে স্মৃতির ছায়া আর ভবিষ্যতের দীপ্তি পাশাপাশি হাঁটল বার্নাব্যুর সবুজ গালিচায়। এদিন রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় তুলে নেয় রিয়াল। তবে স্কোরলাইন ছিল কেবল প্রেক্ষাপট, মূল নাটকটা ছিল আবেগের।
বিদায়ের করিডোরে দাঁড়িয়ে ছিলেন ক্লাব ইতিহাসের তিন আইকনিক চরিত্র— কার্লো আনচেলত্তি, লুকা মদ্রিচ ও লুকাস ভাসকেস। তিনটি অধ্যায়ের সমাপ্তিতে চোখ ভিজেছে বার্নাব্যুর প্রতিটি কোণে। গ্যালারিতে একদিকে ঢেউ তুলেছিল করতালি, অন্যদিকে মাঠজুড়ে চলছিল এক নতুন শুরুর ঘোষণাপত্র।
সে ঘোষণার কণ্ঠস্বর ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। নতুন রিয়ালের প্রতীক হয়ে এই ফরাসি তারকা যেন নিজেই লিখে দিলেন পরিবর্তনের মহাকাব্য। ম্যাচের দুই অর্ধেই একটি করে গোল করে জয়ের নায়ক বনে যান তিনি। এই মৌসুমে লা লিগায় মাত্র ৩৪ ম্যাচ খেলে তার গোলসংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩১-এ। যা তাকে একপ্রকার নিশ্চিত করে দিয়েছে পিচিচি ট্রফি। পেছনে ফেলেছেন বার্সার লেভানদোভস্কিকে, যার গোল ২৫টি (৩৩ ম্যাচে)।
আরো পড়ুন:
এল ক্লাসিকো: প্রথমার্ধেই ৬ গোল
স্টেগেনের ফেরার ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও জিতল ‘কামব্যাক কিং’ বার্সা
তবে এখানেই থেমে নেই তার কীর্তি। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার স্বীকৃতি এনে দিয়েছে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট। যেন রিয়ালের নতুন অধ্যায়ের প্রথম পাতায় সোনালি অক্ষরে লেখা হলো তার নাম।
রিয়াল মাদ্রিদ মৌসুম শেষ করেছে ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে (২৬ জয়, ৬ ড্র, ৬ হার)। বার্সেলোনা এক ম্যাচ বেশি হাতে রেখেই ৮৫ পয়েন্টে এগিয়ে। অর্থাৎ শিরোপা জেতা হয়নি। তবে রিয়ালের বিদায়ী রাতের আবহে শিরোপার অভাব যেন আড়ালে রয়ে গেল।
বিদায় আর আগমনের এই সন্ধিক্ষণে বার্নাব্যু পেল দুটি চিত্র—একদিকে পুরনো রাজাদের বিদায়, অন্যদিকে নতুন সম্রাটের সিংহাসনে বসার সূচনা। হয়তো এটাই ছিল সেই রাত, যেদিন ইতিহাস নিজেই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বলল— “নতুন যুগ শুরু হলো আজ।’’
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’