স্প্যানিশ লা লিগার শেষ সান্ধ্যটা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য যেন হয়ে উঠল সময়ের রেলগাড়িতে পেছনে ফেরা এক দৃশ্যপট। যেখানে স্মৃতির ছায়া আর ভবিষ্যতের দীপ্তি পাশাপাশি হাঁটল বার্নাব্যুর সবুজ গালিচায়। এদিন রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় তুলে নেয় রিয়াল। তবে স্কোরলাইন ছিল কেবল প্রেক্ষাপট, মূল নাটকটা ছিল আবেগের।

বিদায়ের করিডোরে দাঁড়িয়ে ছিলেন ক্লাব ইতিহাসের তিন আইকনিক চরিত্র— কার্লো আনচেলত্তি, লুকা মদ্রিচ ও লুকাস ভাসকেস। তিনটি অধ্যায়ের সমাপ্তিতে চোখ ভিজেছে বার্নাব্যুর প্রতিটি কোণে। গ্যালারিতে একদিকে ঢেউ তুলেছিল করতালি, অন্যদিকে মাঠজুড়ে চলছিল এক নতুন শুরুর ঘোষণাপত্র।

সে ঘোষণার কণ্ঠস্বর ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। নতুন রিয়ালের প্রতীক হয়ে এই ফরাসি তারকা যেন নিজেই লিখে দিলেন পরিবর্তনের মহাকাব্য। ম্যাচের দুই অর্ধেই একটি করে গোল করে জয়ের নায়ক বনে যান তিনি। এই মৌসুমে লা লিগায় মাত্র ৩৪ ম্যাচ খেলে তার গোলসংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩১-এ। যা তাকে একপ্রকার নিশ্চিত করে দিয়েছে পিচিচি ট্রফি। পেছনে ফেলেছেন বার্সার লেভানদোভস্কিকে, যার গোল ২৫টি (৩৩ ম্যাচে)।

আরো পড়ুন:

এল ক্লাসিকো: প্রথমার্ধেই ৬ গোল

স্টেগেনের ফেরার ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও জিতল ‘কামব্যাক কিং’ বার্সা

তবে এখানেই থেমে নেই তার কীর্তি। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার স্বীকৃতি এনে দিয়েছে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট। যেন রিয়ালের নতুন অধ্যায়ের প্রথম পাতায় সোনালি অক্ষরে লেখা হলো তার নাম।

রিয়াল মাদ্রিদ মৌসুম শেষ করেছে ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে (২৬ জয়, ৬ ড্র, ৬ হার)। বার্সেলোনা এক ম্যাচ বেশি হাতে রেখেই ৮৫ পয়েন্টে এগিয়ে। অর্থাৎ শিরোপা জেতা হয়নি। তবে রিয়ালের বিদায়ী রাতের আবহে শিরোপার অভাব যেন আড়ালে রয়ে গেল।

বিদায় আর আগমনের এই সন্ধিক্ষণে বার্নাব্যু পেল দুটি চিত্র—একদিকে পুরনো রাজাদের বিদায়, অন্যদিকে নতুন সম্রাটের সিংহাসনে বসার সূচনা। হয়তো এটাই ছিল সেই রাত, যেদিন ইতিহাস নিজেই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বলল— “নতুন যুগ শুরু হলো আজ।’’

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ