খাগড়াছড়ির সীমান্ত দিয়ে নতুন করে ১৯ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ সোমবার ভোরের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের আচালং সীমান্ত দিয়ে তাঁদের পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে ৬ জন নারী, ৭ জন পুরুষ ও ৬টি শিশু রয়েছে। ভারতের হরিয়ানা রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার করে তাঁদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, যাঁদের জোরপূর্বক পাঠানো হয়েছে, তাঁদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বর্তমানে তাঁদের বিজিবির হেফাজতে তাইন্দং ইউনিয়নের ডিবিপাড়ার স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। তাঁদের পরিচয় শনাক্তের কাজ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মো.

ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, সীমান্ত দিয়ে নতুন করে পাঠানো ১৯ জনকে খাবার দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশি হলে তাঁদের নিজ নিজ জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

এর আগে ৭ মে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা সীমান্ত দিয়ে ২৭ জন, তাইন্দং দিয়ে ১৫ জন, পানছড়ি উপজেলার লোগাং সীমান্ত দিয়ে ৩০ জন এবং ২০ মে রামগড় দিয়ে ৬ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছিল বিএসএফ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ফেনী সীমান্ত দিয়ে আরো ১৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

নয় দিনের ব্যবধানে ফেনী সীমান্ত দিয়ে আরো ১৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার (৩০ মে) সকাল ৯টার দিকে জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার মথুয়া সীমান্তের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে তাদের উদ্ধার করে বিজিবি।

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- আলতাফ (৩৯), মোমিনা বেগম (৩২), আমিনুল ইসলাম (৩৮), ঊর্মি বেগম (২৯), ওহিদুল ইসলাম (১১), মো. রেজাউল হক (৯), আরিফা আক্তার (৩), মোমিনুল হক (৩৫), শেফালী বেগম (৩০), মনিজা আক্তার (১৩), মনজু আক্তার (১০), রমজান আলী (৩ মাস) ও মো. ইশরাক হোসেন (৪০)। তারা বাংলাদেশি নাগরিক ও কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন।

বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ছাগলনাইয়া বিওপির নিয়মিত টহল দল মথুয়া সীমান্ত এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ঘরে তাদের দেখতে পায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, কাজের সন্ধানে বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সীমান্ত পিলার ২১৯৪/৪–এস এলাকা দিয়ে বিএসএফ সদস্যরা তাদের হাত ও চোখ বেঁধে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। রাতের অন্ধকার, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও অপরিচিত পরিবেশে তারা মথুয়ার ওই পরিত্যক্ত ঘরে আশ্রয় নেন। এ ঘটনায় বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার বিএসএফ কমান্ডারকে মৌখিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে প্রতিবাদপত্র পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে আরো ১৪ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

ঝিনাইদহে ৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার

ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিজিবির কাছ থেকে পুরুষ, নারী ও শিশুসহ ১৩ জনকে পেয়েছি। তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তারা বাংলাদেশি নাগরিক ও কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন। পরিচয় নিশ্চিত হলে তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হবে। না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

এর আগে, গত ২১ মে জেলার ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী সীমান্ত দিয়ে ২৪ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।

ঢাকা/সাহাব/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএসএফের পুশইন ঠেকাল মানবপ্রাচীর
  • কুষ্টিয়া সীমান্ত দিয়ে আরো ৯ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • কুষ্টিয়া সীমান্ত দিয়ে ৯ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • রৌমারী সীমান্তে ফের ভারতীয় ড্রোন, আতঙ্কে স্থানীয়রা
  • রৌমারী সীমান্তে ফের উড়লো ভারতীয় ৫ ড্রোন, আতঙ্কে স্থানীয়রা
  • রাত জেগে সীমান্ত পাহারা জনতার, পুশইনে ব্যর্থ বিএসএফ
  • রাত জেগে সীমান্ত পাহাড়া জনতার, পুশইনে ব্যর্থ বিএসএফ
  • কুড়িগ্রাম সীমান্তে ঠেলে দেওয়া ঠেকালো বিজিবি-জনতা
  • চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ১০ নারী-শিশুকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • ফেনী সীমান্ত দিয়ে আরো ১৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ