মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ায় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে জিললু মিয়া (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন মামলার আসামি জাহাঙ্গীর মিয়া। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযান চালিয়ে একটি পরিত্যক্ত বাথরুম থেকে জাহাঙ্গীর মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কালিকাপুর গ্রামের মৃত ইদ্রিছ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া (৩২) ও তার চাচাতো ভাই নজরুল মিয়ার মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়াকে কেন্দ্র করে নজরুল মিয়া একই গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে জিললু মিয়াকে (৬০) সাক্ষী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে জাহাঙ্গীর ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার দিবাগত রাত প্রায় ২টার দিকে জিললু মিয়াকে ডেকে ঘর থেকে বের করে পরিবারের সদস্যদের সামনেই দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। 

খবর পেয়ে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে পাঠান। অপরদিকে, পুলিশ ও স্থানীয়রা অভিযান চালিয়ে সোমবার সকাল ৮টার দিকে একটি পরিত্যক্ত বাথরুম থেকে জাহাঙ্গীরকে আটক করেন।

মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আব্দুল্লা আল মামুন জানিয়েছেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ