মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ায় কুপিয়ে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
Published: 26th, May 2025 GMT
মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ায় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে জিললু মিয়া (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন মামলার আসামি জাহাঙ্গীর মিয়া। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযান চালিয়ে একটি পরিত্যক্ত বাথরুম থেকে জাহাঙ্গীর মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কালিকাপুর গ্রামের মৃত ইদ্রিছ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া (৩২) ও তার চাচাতো ভাই নজরুল মিয়ার মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়াকে কেন্দ্র করে নজরুল মিয়া একই গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে জিললু মিয়াকে (৬০) সাক্ষী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে জাহাঙ্গীর ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার দিবাগত রাত প্রায় ২টার দিকে জিললু মিয়াকে ডেকে ঘর থেকে বের করে পরিবারের সদস্যদের সামনেই দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
খবর পেয়ে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে পাঠান। অপরদিকে, পুলিশ ও স্থানীয়রা অভিযান চালিয়ে সোমবার সকাল ৮টার দিকে একটি পরিত্যক্ত বাথরুম থেকে জাহাঙ্গীরকে আটক করেন।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আব্দুল্লা আল মামুন জানিয়েছেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রদল ও বাম জোটের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ অব্যাহত রেখেছে: ছাত্রশিবির
ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। শনিবার সংগঠনটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বিবৃতিতে বলেছেন, নব্য ফ্যাসিবাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো।
শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী নিপীড়ন, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজি, মাদক বাণিজ্য, ছিনতাই, সিট দখল, অপপ্রচার, ট্যাগিং, র্যাগিং ও হামলাসহ অপরাধমূলক সংস্কৃতি অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা ও কক্সবাজার পলিটেকনিক, সরকারি গ্রাফিক্স আর্টস কলেজ, কুয়েটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির উদাহরণ তৈরি করেছে।
চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে ভর্তিচ্ছুদের জন্য স্থাপিত শিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করে বিবৃতি বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ইসলামিয়া কলেজ ও রংপুরেও বাঁধা দিয়েছে। শুক্রবার ফরিদপুরে ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়ায় কলেজছাত্রীকে নির্যাতন করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। নারীবাদীরা ছাত্রদলের এ ধরনের গুরুতর অপরাধে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে।
শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় দুই নারী শিক্ষার্থীকে হল ছাড়া করার হুমকি দেয় ছাত্রদল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঢাকতে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোকে ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। ছাত্রদল ও বাম জোটের ট্যাগিং ও দায় চাপানোর রাজনীতিও চলছে পুরনো কায়দায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিবির মারা জায়েজ ছিল, জায়েজ আছে, জায়েজ থাকবে’- লিখে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রদল নেতা আহনাফ তাহমিদ অর্জন। লাশের রাজনীতির বৈধতার বয়ান উৎপাদনে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শাহরিয়ার ইব্রাহিম আবরার ফাহাদের হত্যা জায়েজ ছিল বলে অভিমত দেন।