ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ
Published: 26th, May 2025 GMT
ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর শাখার সদস্য সচিব আল নূর মোহাম্মদ আয়াস (২৫) সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৬ মে) সকাল ১১টার দিকে নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে এলাকায় তার ওপর হামলা হয়।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেনি। সম্ভবত কয়েকজন মিলে মারধর করেছে।”
আহত আয়াস জানান, নেত্রকোণার শ্যামগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ পাটগুদাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে ৪-৫ জন সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে অশ্লীল ভাষায় বকাবকি করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। মাথা, পা এবং শরীরে ছুরির আঘাত লাগে। পরে সন্ত্রাসীরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এসময় আয়াস তার পরিচিতজনদের ফোন করেন। পরে স্থানীয় লোকদের সহায়তায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে সন্ত্রাসীদের হামলায় ঠিকাদার আহত, ফাঁকা গুলি
নরসিংদীতে ডিবি পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৬
হামলাকারী কাউকে চেনেন না বলে জানান আয়াস। তার ভাষ্য, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরের পর থেকেই তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এ ঘটনার পর তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বর্তমানে আয়াস ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সদস্য সচিব আলী হোসেন বলেন, “আমাদের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের মতো সরকারের পতন হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের মূল টার্গেট আমরা। যে কারণে আয়াসের ওপর আজকের হামলা।”
তিনি আরো বলেন, “প্রশাসন কঠোর না হলে এসব হামলা আরো বাড়তে থাকবে। আমরা চাই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত যেন গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।”
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক সাকিব হাসান বেলাল বলেন, “আয়াসের মাথা, পেট এবং পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে, অবস্থা খুব গুরুতর নয়। রিপোর্ট হাত পেলেই বলা যাবে, কতটুকু গুরুতর। সঠিক চিকিৎসা শেষে তিনি দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবেন।”
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী এবং ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনাটি প্রশাসন সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে কাজ করছে।”
ঢাকা/মিলন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত অভ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
নয়াপল্টনে পরশু ছাত্রদল-যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের ‘তারুণ্যের সমাবেশ’, ১৫ লাখ জমায়েতের আশা
ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আগামী বুধবার (২৮ মে) ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ করবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। সমাবেশে ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ থেকে ১৫ লাখ তরুণের জমায়েত আশা করছেন আয়োজকেরা।
আজ সোমবার ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
এই সমাবেশে তরুণদের কাছে টানতে মে মাসজুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির এই তিন সংগঠন। কর্মসূচি অনুযায়ী, চারটি বড় বিভাগ ও শহরে দুই দিন করে মোট আট দিন সেমিনার ও সমাবেশ করেছেন তাঁরা। এর আগে চট্টগ্রাম, খুলনা আর বগুড়ায় সেমিনার ও সমাবেশ হয়েছে। সর্বশেষ আয়োজন বসছে রাজধানী ঢাকায়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামে তারুণ্যের মিলনমেলা দেখেছি। খুলনা ও বগুড়ায় আমাদের লক্ষ্য শতভাগ অর্জিত হয়েছে। ঢাকার সমাবেশে সব রেকর্ড ভেঙে ১৫ লাখ তরুণ-তরুণী যোগ দেবেন বলে আশা রাখছি।’
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দুই দিনের কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহের প্রতিনিধিত্বকারী তরুণদের অংশগ্রহণে আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে ‘তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’শীর্ষক সেমিনার এবং আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে দলীয় পরিচয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তরুণদের দাবি, রাষ্ট্র যাতে তাঁদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে। সে সক্ষমতা বিএনপির রয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রথম ১৮ মাসের মধ্যে এক কোটি তরুণের কর্মসংস্থান করা হবে।’
লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, তরুণদের নিয়ে ধারাবাহিক সেমিনার ও সমাবেশ কেবল একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি একটি বৃহৎ নীতিগত প্রয়াস। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের রাষ্ট্রচিন্তায় তরুণদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের তরুণ প্রজন্মের সামনে দলের রাষ্ট্রচিন্তা, রাজনৈতিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরবেন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।