হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ১৯ বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল রোববার গভীর রাত থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত চুনারুঘাটের কালেঙ্গা সীমান্ত থেকে তাঁদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবির দাবি, বিএসএফ তাঁদের নিজ সীমান্তে একত্র করে কাঁটাতারের গেট খুলে এই নারী, পুরুষ ও শিশুদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ শিশু, ৮ নারী ও ৬ পুরুষ আছেন। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক এবং কুড়িগ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিজিবি কালেঙ্গা ক্যাম্পের হাবিলদার জাকারিয়া।

ঘটনার খবর পেয়ে কালেঙ্গা ক্যাম্পে যান হবিগঞ্জ ৫৫ বিজিবির সহকারী পরিচালক (এডি) হাবিবুর রহমান এবং চুনারুঘাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম। তাঁরা প্রথম আলোকে বলেন, গভীর রাতের যেকোনো সময় কালেঙ্গা সীমান্ত দিয়ে কাঁটাতারের গেট খুলে ১৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ।

এই ১৯ জন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ও নাগেশ্বরী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁদের কেউ ১৮ বছর, আবার কেউ তারও বেশি সময় ধরে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

ইসমাইল হোসেন নামের একজন বলেন, ‘আমরা ভারতের হরিয়ানায় ১৮ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। কাজ করতাম স্থানীয় ইটের ভাটায়। ২ দিন আগে হঠাৎ করে সিআইডি পুলিশ ধরে নিয়ে আসে এবং সীমান্তে বিএসএফের কাছে সোপর্দ করে।’

এ বিষয়ে জানতে হবিগঞ্জ ৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.

তানজিলুর রহমানের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক