সিদ্ধিরগঞ্জ ৮নং ওয়ার্ড কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আফাজ উদ্দিন সাউদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। সোমবার (২৬ মে) গণমাধ্যমেক পাঠানো এক বার্তায় এ শোক প্রকাশ করেন তিনি।

 শোকবার্তায় তিনি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির অন্যতম নেতা এবং ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আফাজ উদ্দিন সাউদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আদর্শের একনিষ্ঠ এবং আস্থাশীল সৈনিক ছিলেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহন করে ভূমিকা পালন করেছেন।

ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে আফাজ উদ্দিন ছিলেন অত্যন্ত ভদ্র এবং মার্জিত স্বভাবের, রাজনৈতিক সহকর্মী এবং সমাজের সর্বস্তরের প্রতিবেশীদের সাথে খুবই সু-সম্পর্ক ছিলো। আমরা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।

মরহুম এর শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজনের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। আফাজ উদ্দিন সাউদ এর রুহের মাগফেরাত কামনা করছি, মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন, আমীন।
প্রসঙ্গত, একইদিন ভোর ৫টায় নগরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন বিএনপি নেতা আফাজ উদ্দিন সাউদ। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল বাড়িপাড়া নিবাসী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

পশুর হাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধীর দুই নেতা গ্রেপ্তার

চাঁদাবাজির অভিযোগে কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর পশুর হাটের ‘বৈধ’ ইজারাদার মাহাবুব রহমান ও তাঁর সহযোগী মো. আলমগীর গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রসিদ ছাড়া চাঁদা তোলার সময় যৌথ বাহিনীর হাতে তারা আটক হন। গতকাল বুধবার সকালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। সেখানে বৈধতার কাগজপত্র দেখালে শুনানি শেষে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তার মাহাবুব রহমান কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বেলগাছা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। মো. আলমগীর কুড়িগ্রাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক। গত মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে যাত্রাপুর গরুর হাটে রসিদ ছাড়া চাঁদা তোলার অভিযোগ ওঠে। পরে ফেনী জেলার মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন আজাদ হাটে টহলরত যৌথ বাহিনীর কাছে অভিযোগ করলে তাদের আটক করা হয়। আলমগীর পুরো ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন।

এজাহারে বলা হয়, ফেনীর ছাগলনাইয়ার মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার মঙ্গলবার যাত্রাপুর হাট থেকে ১৭টি মহিষ কেনেন। পরে অভিযুক্তরা তাঁকে (আনোয়ার) গরু-মহিষ বিক্রির রসিদ শেডঘরে নিয়ে যান এবং প্রত্যেক মহিষের জন্য ৫০০ টাকা করে ৮ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করেন। এ সময় আনোয়ার তাদের কাছে রসিদ চাইলে তারা তা দেখাতে পারেননি। আনোয়ার বিষয়টি যৌথ বাহিনীকে জানালে এ দু’জনকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ বলেন, ‘মাহাবুব রহমান ওই হাটের ইজারাদার। তিনি চাঁদাবাজ নন। আমার সঙ্গে মাহাবুব রহমানের কথা হয়েছে। তারা কাগজ প্রদর্শনের সময় পাননি। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের আটক করে যৌথ বাহিনী। সকালে কাগজপত্র দেখালে তাদের জামিন হয়।’ 

কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ জানান, মাহাবুব রহমান যাত্রাপুর হাটের বৈধ ইজারা মালিক। তবে ওই সময়ে তাঁর কাছে কাগজপত্র না থাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করা হয়। সকালে থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মো. আলমগীর বলেন, দুপুরে যথাযথ কাগজ আদালতে দাখিল করে জামিনে মুক্ত হয়েছি। এটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ