সিদ্ধিরগঞ্জে গৃহবধূর টাকা আত্মসাৎ, হুমকি ও নির্যাতনের অভিযোগ বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে
Published: 26th, May 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এক গৃহবধূ তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ, হুমকি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগকারী গৃহবধূ তামান্না (২২) সিদ্ধিরগঞ্জের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গোদনাইল নয়াপাড়ায় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করেন।
তিনি জানান, তার বাবা মো.
তামান্নার অভিযোগ, টাকা ফেরত চাইলে তার বাবা-মা উল্টোা তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন শুরু করেন। তারা তার স্বামীকে মারধর করেন, প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং মিথ্যা মামলার ভয় দেখান। তিনি আরও বলেন, গর্ভাবস্থা ও সন্তান প্রসবকালীন সময়েও তার পরিবারের কেউ কোনো খোঁজখবর নেয়নি, যা তাকে চরম মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দেয়।
তামান্না বলেন, “বাবা সার্ভেয়ার হিসেবে এলাকায় সুনাম অর্জন করলেও পারিবারিকভাবে তিনি অত্যন্ত কঠোর ও নির্দয়। বর্তমানে তিনি আমাদের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করছেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দিচ্ছেন।” ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করে আইনি সহায়তা প্রার্থনা করেন।
অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীম রেজা জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিকবার অভিযুক্তদের থানায় হাজির হওয়ার জন্য বলা হলেও তারা সাড়া দেননি এবং মীমাংসার কোনো উদ্যোগও নেননি। ফলে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সার্ভেয়ার মাহবুবুর রহমান বলেন, “মেয়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি থানায় মীমাংসার জন্য যাব না। মামলা হলে আইনগতভাবেই মোকাবিলা করব।”
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ গ হবধ স দ ধ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ম পরিবর্তন নিয়ে মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়েছিলাম: অপু বিশ্বাস
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস জীবনের একটি সংবেদনশীল অধ্যায় নিয়ে প্রথমবারের মতো খোলামেলা বক্তব্য দিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ের পর ‘ধর্ম পরিবর্তন’ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়েছেন। শুধু ক্যারিয়ার, সংসার আর সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তিনি মিথ্যা বলেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
২০০৮ সালে শাকিব খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অপু বিশ্বাস। প্রায় এক দশক সেই খবর গোপন রাখার পর, ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল সন্তান আব্রাম খান জয়কে কোলে নিয়ে টেলিভিশন লাইভ অনুষ্ঠানে তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক প্রকাশ করেন তিনি। লাইভে অপু সেদিন বলেছিলেন, তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
তবে বর্তমানে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করেছেন, তিনি কখনো ধর্মান্তরিত হননি।
অপু বিশ্বাস বলেন, “বিয়ের পরও আমি হিন্দু ধর্মেই থেকেছি। ক্যামেরার সামনে অনেক সময় বাস্তবতা লুকিয়ে রাখতে হয়েছে। সেটা করেছি ক্যারিয়ারের স্বার্থে, সংসার রক্ষার জন্য, আর সবচেয়ে বড় কথা— সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে।”
তিনি জানান, শাকিব খানের সঙ্গে বিবাহিত জীবন থাকা অবস্থাতেও প্রকাশ্যে তাদের সম্পর্ক অস্বীকার করতে হয়েছে। “অনেক শোতে একে অপরকে বিয়ের প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুনতে হয়েছে, অথচ আমরা তখন বাসায় একসঙ্গে থাকতাম, রান্না করতাম, খেতাম— পুরোদস্তুর স্বামী-স্ত্রী,” বলেন অপু।
ধর্ম পরিবর্তনের প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, “মানুষ ধরে নিয়েছিল আমি মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করেছি বলে আমিও ইসলাম গ্রহণ করেছি। কিন্তু ইসলামে ধর্মান্তরের যেসব আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে, তার কোনোটিই আমার ক্ষেত্রে ঘটেনি। আমি আমার জন্মগত ধর্ম হিন্দুত্বেই থেকেছি।”
নিজের পরিচয় নিয়ে দীর্ঘ সময় দ্বিধায় ছিলেন বলেও জানান অপু বিশ্বাস। তবে এখন তিনি মনে করেন, সত্য প্রকাশ করা জরুরি। তার ভাষায়, “আমি একসময় চিন্তা করতাম, আমার মৃত্যু হলে মানুষ কী করবে? আমাকে আগুনে দেবে, না মাটিতে দেবে? তখন সবাই দ্বিধায় পড়ে যাবে। এই দ্বিধা কাটাতে সত্য বলা প্রয়োজন ছিল।”
ঢাকা/রাহাত