ভারতের মণিপুর রাজ্যে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এর প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ২৪মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট থেকে ২১৭ কিলোমিটার দূরে ভারতের মনিপুর রাজ্যে। ভূমিকম্প নিয়ে অনেককে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিতে দেখা যায়।
ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরিবিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, ভারতের মণিপুর রাজ্যের ইম্ফলের ৩৯ কিলোমিটার (২৪ মাইল) দূরে ৫ দশমিক ২ মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ৪৭ কিলোমিটার (২৯ মাইল) অগভীর, যার কারণে কম্পন বিস্তৃত এলাকাজুড়ে জোরালোভাবে অনুভূত হয়।
ওয়েবসাইটটি আরও জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল অগভীর হওয়ায় একই মাত্রার গভীর ভূমিকম্পের চেয়ে ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি এর প্রভাব বেশি ছিল।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ৩টা ২মিনিটে ৩ দশমিক ৪ মাত্রার একটি ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দূরে মায়ানমারের চিন হাখা অঞ্চলে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।