নীলফামারীর পার্বতীপুরে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন সড়ক অবরোধ করে ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সৈয়দপুর-পার্বতীপুর সড়কের জাকেরগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন মোটরসাইকেলের আরোহী পার্বতীপুর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার তসলিম উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫) ও রাজনগর এলাকার সুশান্ত দাসের ছেলে সুজিত চন্দ্র দাস (২৪)। তাঁরা দুজন উত্তরা ইপিজেডের সি ওয়াই মোল্ডিং (বিডি) কোম্পানি লিমিটেডে টেকনিশিয়ান পদে কর্মরত ছিলেন। কর্মস্থল থেকে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন।

পুলিশ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুজিত ও রবিউল মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে সৈয়দপুর-পার্বতীপুর সড়কের জাকেরগঞ্জ ও বান্নিরঘাট এলাকার মাঝামাঝি স্থানে বালুবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে তাঁদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন সড়ক অবরোধ করে ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আজ বুধবার সকালে পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ট্রাকের নিচে মোটরসাইকেল আটক ছিল। স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। দুর্ঘটনায় নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে। চালক ও তাঁর সহকারীকে ধরতে অভিযান চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল কজন

এছাড়াও পড়ুন:

সড়ক দুর্ঘটনায় যবিপ্রবি শিক্ষার্থী নিহত

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোল্যা আবির হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। এতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বুধবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ১১টায় খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, আবির ও তার বাবা বুধবার মোটরসাইকেলযোগে খুলনা থেকে বাগেরহাট যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বারাকপুর এলাকায় ট্রাকের ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন তারা। সেখান থেকে তাদের মুমূর্ষু অবস্থায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।

আরো পড়ুন:

লংগদু-নানিয়ারচর সড়কের দাবিতে রাজপথে উপজেলাবাসী

ট্রাকের ধাক্কায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবিরকে মৃত ঘোষণা করে। তবে আবিরের বাবা এখনো শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় আবিরকে তার নিজ গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের তেঁতুলতলা গ্রামে দাফন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন  বলেন, “আবির ১৬তম  ব্যাচের, অনেক ভদ্র ও শান্ত স্বভাবের একজন ছেলে ছিল। ওর সঙ্গে দেখা হলেই ভাই ভাই করে ডাকত, কথা বলত। আমরা একসঙ্গে কত মজার মুহূর্ত কাটিয়েছি, হাসিঠাট্টা করেছি। ওকে নিয়ে আমাদের অনেক সুন্দর স্মৃতি রয়েছে। তার এমন হঠাৎ চলে যাওয়া আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। এটা আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।”

তিনি বলেন, “আজ আমরা বিভাগের অনেকেই আবিরের জানাজায় উপস্থিত ছিলাম। তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছি। আঙ্কেল-আন্টির মুখের দিকে তাকিয়ে আমরা কেউই কিছু বলতে পারছিলাম না। তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পুরো পরিবারটা ভেঙে পড়েছে। আপনারা সবাই আবিরের জন্য দোয়া করবেন।”

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ