দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত, ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দিলেন বিক্ষুব্ধ লোকজন
Published: 28th, May 2025 GMT
নীলফামারীর পার্বতীপুরে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন সড়ক অবরোধ করে ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সৈয়দপুর-পার্বতীপুর সড়কের জাকেরগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন মোটরসাইকেলের আরোহী পার্বতীপুর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার তসলিম উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫) ও রাজনগর এলাকার সুশান্ত দাসের ছেলে সুজিত চন্দ্র দাস (২৪)। তাঁরা দুজন উত্তরা ইপিজেডের সি ওয়াই মোল্ডিং (বিডি) কোম্পানি লিমিটেডে টেকনিশিয়ান পদে কর্মরত ছিলেন। কর্মস্থল থেকে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন।
পুলিশ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুজিত ও রবিউল মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে সৈয়দপুর-পার্বতীপুর সড়কের জাকেরগঞ্জ ও বান্নিরঘাট এলাকার মাঝামাঝি স্থানে বালুবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে তাঁদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন সড়ক অবরোধ করে ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আজ বুধবার সকালে পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ট্রাকের নিচে মোটরসাইকেল আটক ছিল। স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। দুর্ঘটনায় নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে। চালক ও তাঁর সহকারীকে ধরতে অভিযান চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল কজন
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ