কেন ইয়ামালের চুক্তি স্বাক্ষরের ছবি প্রকাশিত হয়নি, কারণ জানলে অবাক হবেন
Published: 28th, May 2025 GMT
বার্সেলোনার সঙ্গে লামিনে ইয়ামালের নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। চুক্তি স্বাক্ষরের পর সাধারণত সেই বিশেষ মুহূর্তটির ছবি তুলে ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে ক্লাবগুলো। কিন্তু ইয়ামালের ক্ষেত্রে তেমনটা দেখা যায়নি। চুক্তি স্বাক্ষরের খবরটা আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেও, কোনো ধরনের ছবি প্রকাশ করেনি বার্সা কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিয়ে বার্সা ভক্তদের তো বটেই, সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের মাঝেও বেশ কৌতূহল তৈরি হয়েছে। অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে—কেন এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের কোনো ছবি নেই?
পরে অবশ্য বিষয়টি খোলাসা করেছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম দিয়ারিও স্পোর্ত। সূত্রের বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে, ইয়ামালের অনুরোধের কারণেই চুক্তি স্বাক্ষরের ছবি প্রকাশ করেনি বার্সা। প্রশ্ন হচ্ছে, ইয়ামাল কেন বার্সাকে এমন অনুরোধ করতে গেলেন। সেই কারণটা বেশ চমক জাগানোই বটে।
আরও পড়ুনবার্সার সঙ্গে নতুন চুক্তিতে কী কী সুযোগ-সুবিধা থাকছে ইয়ামালের১৭ ঘণ্টা আগেস্পোর্ত জানিয়েছে, ইয়ামাল চেয়েছিলেন এই বিশেষ মুহূর্তের ছবি তাঁর পরিবারের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে তুলতে। সেই বিশেষ মানুষটি হচ্ছেন তাঁর দাদি ফাতিমা—যিনি তাঁর বাবার মা। কিন্তু চুক্তি স্বাক্ষরের দিনে দাদি ফাতিমা উপস্থিত থাকতে পারেননি।
তাই ইয়ামাল ক্লাব কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন ছবি তোলার বিষয়টি কিছুটা পিছিয়ে দিতে, যাতে পরে পরিবারের প্রিয়জনদের সঙ্গে একসঙ্গে এই স্মরণীয় ছবি তোলা যায়। বার্সাও অবশ্য ইয়ামালের এই অনুরোধ মেনে নিয়েছে। এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট—তরুণ এই ফুটবলারের জীবনে পরিবার কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন‘নতুন মেসি’ ইয়ামাল কত বেতন পাবেন বার্সায়, মেসিকে ছুঁতে কত দেরি২৩ মে ২০২৫মাত্র ১৭ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ উইঙ্গার সম্প্রতি বার্সেলোনার সঙ্গে ২০৩১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেছেন। ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হোয়ান লাপোর্তা, সহসভাপতি রাফা ইউস্তে এবং ক্রীড়া পরিচালক ডেকোর উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
বাঁশ এক ধরনের ঘাস এবং চীর সবুজ বহু বর্ষজীবী উদ্ভিদ। আমাদের দেশে এটি একটি সংবেদনশীল শব্দ। কিন্তু চীনে বাঁশকে শুভশক্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। এই কারণে চীনা সংস্কৃতির সর্বত্র রয়েছে বাঁশের ব্যবহার। তারা মনে করে বাঁশ নেতিবাচক শক্তিকে প্রতিহত করতে পারে। আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস। প্রতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালিত হয়। বাঁশের প্রয়োজনীয়তা ও বাঁশ সম্পর্কিত সচেতনতা ছড়িয়ে দিতেই বিশ্ব বাঁশ দিবস পালিত হয়।
মুলি, তল্লা, আইক্কা, ছড়িসহ নানা ধরনের বাঁশ রয়েছে। পৃথিবীতে ৩০০ প্রজাতির বাঁশ আছে।এর মধ্যে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইন্সটিটিউট ৩৩ প্রজাতির বাঁশ সংরক্ষণ করেছে।
আরো পড়ুন:
কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস
পিসিওএস রোগ হলে নারী কী গর্ভধারণ করতে পারেন?
২০০৫ সালে বৈশ্বিকভাবে বাঁশ শিল্পকে উন্নত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব বাঁশ সংস্থা। ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অষ্টম বিশ্ব বাঁশ কংগ্রেস চলাকালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায় বিশ্ব বাঁশ দিবস।
২০০৯ সালের ওই সম্মেলনে প্রায় ১০০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং দিনটিকে বিশ্ব বাঁশ দিবস হিসাবে মনোনীত করার প্রস্তাবে সম্মত হন। এই দিবস পালনের প্রস্তাব রেখেছিলেন সংস্থার তৎকালীন সভাপতি কামেশ সালাম।
বিশ্বব্যাপী আসবাবপত্র কিংবা গৃহস্থালি প্রয়োজন ছাড়াও বাঁশ ব্যবহার করা হয় খাদ্যদ্রব্য হিসেবে। সবুজ বাঁশের ডালের ভেতরের অংশ অর্থাৎ বাঁশ কোড়ল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) গ্লোবাল ব্যাম্বু রিসোর্সেস প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায় চীনে। চীনে অন্তত ৫০০ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে রয়েছে ২৩২ প্রজাতির বাঁশ। আর ৩৩ প্রজাতির বাঁশ থাকা বাংলাদেশ আছে তালিকার অষ্টমে।
বাঁশ খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। পুষ্টি উপাদান ও মুখরোচক স্বাদের জন্য পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের কাছে খাবার বাঁশ কোড়ল নামে পরিচিত।এর তৈরি স্যুপ, সালাদ, তরকারি বেশ জনপ্রিয়। সাধারণত বাঁশের অঙ্কুরোদগম হওয়ার পর চার থেকে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত যে কচি বাঁশ হয় সেটাই রান্না করে খাওয়া যায়।
ঢাকা/লিপি