বার্সেলোনার সঙ্গে লামিনে ইয়ামালের নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। চুক্তি স্বাক্ষরের পর সাধারণত সেই বিশেষ মুহূর্তটির ছবি তুলে ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে ক্লাবগুলো। কিন্তু ইয়ামালের ক্ষেত্রে তেমনটা দেখা যায়নি। চুক্তি স্বাক্ষরের খবরটা আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেও, কোনো ধরনের ছবি প্রকাশ করেনি বার্সা কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিয়ে বার্সা ভক্তদের তো বটেই, সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের মাঝেও বেশ কৌতূহল তৈরি হয়েছে। অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে—কেন এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের কোনো ছবি নেই?

পরে অবশ্য বিষয়টি খোলাসা করেছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম দিয়ারিও স্পোর্ত। সূত্রের বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে, ইয়ামালের অনুরোধের কারণেই চুক্তি স্বাক্ষরের ছবি প্রকাশ করেনি বার্সা। প্রশ্ন হচ্ছে, ইয়ামাল কেন বার্সাকে এমন অনুরোধ করতে গেলেন। সেই কারণটা বেশ চমক জাগানোই বটে।

আরও পড়ুনবার্সার সঙ্গে নতুন চুক্তিতে কী কী সুযোগ-সুবিধা থাকছে ইয়ামালের১৭ ঘণ্টা আগে

স্পোর্ত জানিয়েছে, ইয়ামাল চেয়েছিলেন এই বিশেষ মুহূর্তের ছবি তাঁর পরিবারের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে তুলতে। সেই বিশেষ মানুষটি হচ্ছেন তাঁর দাদি ফাতিমা—যিনি তাঁর বাবার মা। কিন্তু চুক্তি স্বাক্ষরের দিনে দাদি ফাতিমা উপস্থিত থাকতে পারেননি।

তাই ইয়ামাল ক্লাব কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন ছবি তোলার বিষয়টি কিছুটা পিছিয়ে দিতে, যাতে পরে পরিবারের প্রিয়জনদের সঙ্গে একসঙ্গে এই স্মরণীয় ছবি তোলা যায়। বার্সাও অবশ্য ইয়ামালের এই অনুরোধ মেনে নিয়েছে। এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট—তরুণ এই ফুটবলারের জীবনে পরিবার কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন‘নতুন মেসি’ ইয়ামাল কত বেতন পাবেন বার্সায়, মেসিকে ছুঁতে কত দেরি২৩ মে ২০২৫

মাত্র ১৭ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ উইঙ্গার সম্প্রতি বার্সেলোনার সঙ্গে ২০৩১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেছেন। ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হোয়ান লাপোর্তা, সহসভাপতি রাফা ইউস্তে এবং ক্রীড়া পরিচালক ডেকোর উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রক শ অন র ধ

এছাড়াও পড়ুন:

ওমরাহর, ইহরাম, তাওয়াফের ফরজ এবং ওয়াজিব

মসজিদুল হারামের সীমানার বাইরে মিকাতের ভেতরের স্থানটি হিল নামে পরিচিত। এই হিল অথবা মিকাত থেকে ইহরামের নিয়ত করে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করা, সাফা-মারওয়া সাঈ করা এবং মাথার চুল ফেলে দেওয়া বা ছোট করাকে ওমরাহ বলে। 
৯ থেকে ১৩ জিলহজ পর্যন্ত সময় ছাড়া বছরের যে কোনো সময় ওমরাহ পালন করা যায়। হজের পাঁচ দিন ওমরাহ করা মাকরুহ। (আল-বাহরুল আমিক, ৪/২০২১)। 

ওমরাহর ফরজ, ওয়াজিব
ওমরাহর ফরজ ২টি: ইহরাম ও তাওয়াফ।
ওমরাহর ওয়াজিব ২টি: সাঈ ও হলক করা। 

নারীদের ইহরাম
নারীদের ইহরাম একটু ভিন্ন। নারীদের ইজার ও রিদা পরতে হয় না; বরং নারীরা যে কোনো রঙের বা প্রকারের কাপড় পরতে পারেন। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে কোনোভাবেই যেন এমন ধরনের কাপড় না পরা হয়, যাতে পর্দা নষ্ট হয়।
ইহরামের ফরজ ২টি: নিয়ত করা ও তালবিয়া পড়া।
ইহরামের ওয়াজিব ২টি: মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা এবং নিষিদ্ধ কাজ থেকে দূরে থাকা।

তাওয়াফ
তাওয়াফের ফরজ ৩টি: ১. নিয়ত করা। ২. বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করা। ৩. নিজে তাওয়াফ করা।
তাওয়াফের ওয়াজিব ৬টি: ১. শরীর পাক রাখা। ২. হেঁটে তাওয়াফ করা। ৩. হাতিমের বাইরে দিয়ে তাওয়াফ করা। ৪. তাওয়াফের সাত চক্কর পুরো করা। ৫. তাওয়াফ হাজরে আসওয়াদ থেকে শুরু করা। ৬. তাওয়াফ শেষে মাকামে ইব্রাহিমের পেছনে দুই রাকাত নামাজ পড়া।
তাওয়াফের সুন্নত ৪টি: ১. হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করে তাওয়াফ শুরু করা। ২. প্রথম তিন তাওয়াফে রমল করা (বীরের মতো চলা)। ৩. প্রতি চক্করে সম্ভব হলে হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করা। ৪. তাওয়াফ ও নামাজ শেষে জমজমের পানি পান করা।

সাঈ
সাঈ মানে সাতটি দৌড়। সাঈ করার সময় সবুজ বাতির নিচে পুরুষেরা দৌড়াবেন। নারীরা স্বাভাবিকভাবে চলবেন (বাদায়েউস সানায়ে, ২/৪৮০)। 
সাঈর ওয়াজিব: ১. ওজর না থাকলে হেঁটে সাঈ করা। ২. সাত চক্কর পুরো করার পর মাথা মুণ্ডন করা।
ওমরাহর কাজ ধারাবাহিকভাবে করতে হবে, যেমন তাওয়াফ করা, নামাজ আদায় করা, জমজমের পানি পান করা, সাঈ করা (সাফা-মারওয়া পাহাড়ে দৌড়ানো), মাথা ন্যাড়া অথবা চুল ছোট করা।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ