বাংলাদেশে কম্বোডিয়ার প্রথম অনারারি কনসাল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আসফার খায়ের।

আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনারারি কনসালশিপের পত্র হস্তান্তর করে।

অনুষ্ঠানে আসফার খায়ের কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতিসহ উভয় দেশের মধ্যে মেলবন্ধন জোরদার করার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

আসফার খায়ের বলেন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, ওষুধশিল্প, খাদ্যনিরাপত্তা, জনশক্তি, পর্যটন, উড়োজাহাজ চলাচল, সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রভৃতি ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধি ও উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করাই তাঁর লক্ষ্য। বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যকার একটি দীর্ঘস্থায়ী পারস্পরিক আস্থাশীল বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক তৈরি করতে চান তিনি, যা অভিন্ন স্বার্থ, আঞ্চলিক উন্নয়ন ও সহযোগিতাকে প্রতিফলিত করবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কম ব ড য়

এছাড়াও পড়ুন:

ওমরাহর, ইহরাম, তাওয়াফের ফরজ এবং ওয়াজিব

মসজিদুল হারামের সীমানার বাইরে মিকাতের ভেতরের স্থানটি হিল নামে পরিচিত। এই হিল অথবা মিকাত থেকে ইহরামের নিয়ত করে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করা, সাফা-মারওয়া সাঈ করা এবং মাথার চুল ফেলে দেওয়া বা ছোট করাকে ওমরাহ বলে। 
৯ থেকে ১৩ জিলহজ পর্যন্ত সময় ছাড়া বছরের যে কোনো সময় ওমরাহ পালন করা যায়। হজের পাঁচ দিন ওমরাহ করা মাকরুহ। (আল-বাহরুল আমিক, ৪/২০২১)। 

ওমরাহর ফরজ, ওয়াজিব
ওমরাহর ফরজ ২টি: ইহরাম ও তাওয়াফ।
ওমরাহর ওয়াজিব ২টি: সাঈ ও হলক করা। 

নারীদের ইহরাম
নারীদের ইহরাম একটু ভিন্ন। নারীদের ইজার ও রিদা পরতে হয় না; বরং নারীরা যে কোনো রঙের বা প্রকারের কাপড় পরতে পারেন। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে কোনোভাবেই যেন এমন ধরনের কাপড় না পরা হয়, যাতে পর্দা নষ্ট হয়।
ইহরামের ফরজ ২টি: নিয়ত করা ও তালবিয়া পড়া।
ইহরামের ওয়াজিব ২টি: মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা এবং নিষিদ্ধ কাজ থেকে দূরে থাকা।

তাওয়াফ
তাওয়াফের ফরজ ৩টি: ১. নিয়ত করা। ২. বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করা। ৩. নিজে তাওয়াফ করা।
তাওয়াফের ওয়াজিব ৬টি: ১. শরীর পাক রাখা। ২. হেঁটে তাওয়াফ করা। ৩. হাতিমের বাইরে দিয়ে তাওয়াফ করা। ৪. তাওয়াফের সাত চক্কর পুরো করা। ৫. তাওয়াফ হাজরে আসওয়াদ থেকে শুরু করা। ৬. তাওয়াফ শেষে মাকামে ইব্রাহিমের পেছনে দুই রাকাত নামাজ পড়া।
তাওয়াফের সুন্নত ৪টি: ১. হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করে তাওয়াফ শুরু করা। ২. প্রথম তিন তাওয়াফে রমল করা (বীরের মতো চলা)। ৩. প্রতি চক্করে সম্ভব হলে হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করা। ৪. তাওয়াফ ও নামাজ শেষে জমজমের পানি পান করা।

সাঈ
সাঈ মানে সাতটি দৌড়। সাঈ করার সময় সবুজ বাতির নিচে পুরুষেরা দৌড়াবেন। নারীরা স্বাভাবিকভাবে চলবেন (বাদায়েউস সানায়ে, ২/৪৮০)। 
সাঈর ওয়াজিব: ১. ওজর না থাকলে হেঁটে সাঈ করা। ২. সাত চক্কর পুরো করার পর মাথা মুণ্ডন করা।
ওমরাহর কাজ ধারাবাহিকভাবে করতে হবে, যেমন তাওয়াফ করা, নামাজ আদায় করা, জমজমের পানি পান করা, সাঈ করা (সাফা-মারওয়া পাহাড়ে দৌড়ানো), মাথা ন্যাড়া অথবা চুল ছোট করা।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ