রাজশাহীর বাগমারায় গাছ থেকে পড়ে নজরুল ইসলাম (৪২) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে বাগমারার বাসুপাড়া ইউনিয়নের ইসলাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুই বছর আগে একইভাবে তাঁর ছোট ভাই জাকিরুল ইসলাম (২২) গাছ থেকে পড়ে মারা গিয়েছিলেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, সকালে নজরুল ইসলাম আম পাড়ার জন্য বাড়ির পাশের একটি বাগানে যান। সাড়ে ১০টার দিকে গাছে ওঠার পর অসাবধানতাবশত পড়ে যান। পাশের পানের বরজে কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। গাছ থেকে পড়ে যাওয়ার শব্দ পেয়ে তাঁরা ছুটে গিয়ে নজরুলকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় শ্রমিক জিয়াউর রহমান বলেন, ‘সকালে পানের বরজে কাজ করার সময় ধপ শব্দ ও একজনের চিৎকার শুনে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি নজরুল মাটিতে পড়ে আছেন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, তিনি মারা গেছেন।’

নজরুলের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান, দুই বছর আগে একইভাবে আমগাছ থেকে পড়ে মারা যান তাঁর ছোট ভাই কলেজছাত্র জাকিরুল ইসলাম। ওই ঘটনার এক বছর পর তাঁদের বাবা নুরুল ইসলাম মারা যান। এখন পরিবারের সদস্য হিসেবে কেবল নজরুলের স্ত্রী, তাঁদের আট বছরের ছেলে ও বৃদ্ধ মা রয়ে গেছেন।

নজরুল ইসলাম ঢাকার একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর পর তিনি গ্রামে ফিরে নন্দনপুর বাজারে একটি ওষুধের দোকান চালু করেন।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। এটি খুবই মর্মান্তিক।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ল ইসল ম নজর ল

এছাড়াও পড়ুন:

গাছ থেকে পড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু, একইভাবে মারা গিয়েছিলেন ছোট ভাইও

রাজশাহীর বাগমারায় গাছ থেকে পড়ে নজরুল ইসলাম (৪২) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে বাগমারার বাসুপাড়া ইউনিয়নের ইসলাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুই বছর আগে একইভাবে তাঁর ছোট ভাই জাকিরুল ইসলাম (২২) গাছ থেকে পড়ে মারা গিয়েছিলেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, সকালে নজরুল ইসলাম আম পাড়ার জন্য বাড়ির পাশের একটি বাগানে যান। সাড়ে ১০টার দিকে গাছে ওঠার পর অসাবধানতাবশত পড়ে যান। পাশের পানের বরজে কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। গাছ থেকে পড়ে যাওয়ার শব্দ পেয়ে তাঁরা ছুটে গিয়ে নজরুলকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় শ্রমিক জিয়াউর রহমান বলেন, ‘সকালে পানের বরজে কাজ করার সময় ধপ শব্দ ও একজনের চিৎকার শুনে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি নজরুল মাটিতে পড়ে আছেন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, তিনি মারা গেছেন।’

নজরুলের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান, দুই বছর আগে একইভাবে আমগাছ থেকে পড়ে মারা যান তাঁর ছোট ভাই কলেজছাত্র জাকিরুল ইসলাম। ওই ঘটনার এক বছর পর তাঁদের বাবা নুরুল ইসলাম মারা যান। এখন পরিবারের সদস্য হিসেবে কেবল নজরুলের স্ত্রী, তাঁদের আট বছরের ছেলে ও বৃদ্ধ মা রয়ে গেছেন।

নজরুল ইসলাম ঢাকার একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর পর তিনি গ্রামে ফিরে নন্দনপুর বাজারে একটি ওষুধের দোকান চালু করেন।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। এটি খুবই মর্মান্তিক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ