‘অর্ধাঙ্গিনী’র সিক্যুয়েলেও জয়া-চূর্ণী, নতুন মুখ ইন্দ্রাশিস
Published: 28th, May 2025 GMT
বছর দুয়েক আগে টলিউডে মুক্তি পেয়েছিল জয়া আহসান অভিনীত ‘অর্ধাঙ্গিনী’। মুক্তির পর কৌশিক গাঙ্গুলি পরিচালিত ছবিটি দর্শকের কাছে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়ে নেয়। সিনেমাটির গল্প যেখানে শেষ হয়েছিল, সেখানে সিক্যুয়েলের সম্ভাবনাও ছিল। এরপর থেকেই মূলত দর্শকের অপেক্ষা। এবার সেই অপেক্ষা ফুরাতে চলেছে। অর্ধাঙ্গিনী’র সিক্যুয়েল নির্মাণের ঘোষণা দিলেন নির্মাতা।
এবার শিরোনাম ‘আজও অর্ধাঙ্গিনী’। মুখ্য চরিত্রে চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়, জয়া আহসান, কৌশিক সেন থাকছেন। নতুন চরিত্র হিসাবে যোগ দিচ্ছেন ইন্দ্রাশিস রায়। সব ঠিক থাকলে ১৫-১৬ জুন নাগাদ সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে।
বিষয়টি সামাজিকমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী জয়া আহসানও। সিনেমাটির লুক টেস্টের জন্য সম্প্রতি কলকাতায় গিয়েছিলেন তিনি। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর লুকও।
ভারতীয় গণমাধ্যমে জয়া আহসান বলেন, ‘‘ভীষণ পরিণত একটা গল্প ছিল ‘অর্ধাঙ্গিনী’। তার সিক্যুয়েলের অংশ হতে পারাটা বেশ আনন্দের। আগের ছবিটা দর্শক আপন করে নিয়েছিলেন। এবার তাদের সেই প্রত্যাশার চেয়ে বাড়তি কিছু ফিরিয়ে দেওয়াই আমাদের চ্যালেঞ্জ।’’
পরিচালক কৌশিক কি প্রথম ছবির সময়েই দ্বিতীয় কিস্তির ভাবনা ভেবেছিলেন-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘পরিচালকরা সবসময়ই পরের অংশ ভেবে রাখেন। একটা গল্প কত দূর যেতে পারে, এটা মাথার মধ্যে থাকে। ‘অর্ধাঙ্গিনী’ সফল না হলে হয়তো সেই ভাবনা বাস্তবে রূপ পেত না। প্রথমটি সফল হওয়ার পরই দ্বিতীয় ছবিটি করার কথা ঠিক করি। তবে অন্তত দু’বছরের একটা বিরতি দরকার ছিল।’’
এদিকে, জয়া আহসান বর্তমানে তাঁর আসন্ন ঈদুল আজহার সিনেমা ‘তাণ্ডব’ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সম্প্রতি কলকাতায় সিনেমাটির ডাবিং করেছেন। এ ছাড়া তাঁর ‘ডিয়ার মা’ ছবির পোস্ট প্রোডাকশন চলছে।
দর্শকের ভালবাসার মর্যাদা রাখতে পারার বিষয়টি উঠে এল চূর্ণীর কথাতেও, ‘একটা সফল ছবির পরের অংশ সব সময়েই কঠিন। সকলের প্রত্যাশা বেড়ে গিয়েছে।”
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জয় আহস ন অর ধ ঙ গ ন আহস ন
এছাড়াও পড়ুন:
১৯৭১ কে ২০২৪–এর মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা প্রত্যাখ্যান গণতন্ত্র মঞ্চের
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক উত্তরণের জন্য জনগণের মধ্যে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের নেতারা বলেছেন, কেউ যেন বিভাজন তৈরি করে বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় বাধা দিতে না পারে, সে জন্য সব পক্ষকে একটা জায়গায় আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে এ কথাগুলো বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ইতিহাস যেদিকে গেছে, জামায়াত তার বিপরীত দিকে গেছে। জনগণ যে পক্ষে গেছে, তারা তার বিপক্ষে গেছে। এটা প্রমাণিত। এখন সেই অবস্থানের জন্য যদি তারা জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে চায়, তাহলে সেটা যদি, কিন্তু ছাড়াই করা দরকার। এখানে যদি, কিন্তু বা কোনো অস্পষ্টতা রাখলে সেটা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করবে বলে মনে করি না।’
গণতন্ত্র মঞ্চের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এখন যে বিভাজনের খেলা তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যেভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, নতুন করে ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে। এগুলো আবারও শঙ্কার মধ্যে ফেলছে যে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মতো আবার কোনো ফ্যাসিবাদী ধারা তৈরি হতে যাচ্ছে কি না। একে প্রতিরোধ করার জন্য মনোযোগী হতে হবে।’
১৯৭১ ও ২০২৪–কে পরস্পরের মুখোমুখি করে দাঁড় করানোর যে চেষ্টা বিভিন্ন পক্ষ থেকে করা হচ্ছে, একে পুরোপুরিভাবে প্রত্যাখ্যান করছে গণতন্ত্র মঞ্চ। বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, সে আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেই এখানে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, মানুষের অধিকারকে খর্ব করা হয়েছে। ২০২৪–এর গণ–অভ্যুত্থান হলো ১৯৭১ সালেরই ধারাবাহিকতা। এই দুইয়ের মাঝে কোনো বিরোধ নেই।
২০২২ সালের ৮ আগস্ট সাতটি দলের সমন্বয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ গঠন করা হয়েছিল। পরে একটি দল বেরিয়ে এখন ছয়টি দলের সমন্বয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। দলগুলো হলো আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে নাগরিক ঐক্য, সাইফুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে গণসংহতি আন্দোলন, রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ভাসানী অনুসারী পরিষদ (বর্তমান নাম ভাসানী জনশক্তি পার্টি) ও হাসনাত কাইয়ূমের নেতৃত্বে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।