সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম ঘোষণা দিয়েছে যে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হবে। আগামী ৩১ মে’র পর আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) দুপুরে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো.

বাদিউল কবীর।

এর আগে বুধবার সকালে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারির কারণে সৃষ্ট সংকট নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মিজানুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে সাত সচিবের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি।

মো. বাদিউল কবীর বলেছেন, “আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আগামী ৩১ মে প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরবেন। এর মধ্যে দুইজন উপদেষ্টা ও তিনজন সচিবের কাছে আমরা স্মারকলিপি দেব। কর্মবিরতির পাশাপাশি স্মারকলিপি দেওয়াও আমাদের কর্মসূচির অংশ। ৩১ মের পরে আমরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করব। যদি কোনো ইতিবাচক ফল না আসে, তাহলে আন্দোলন চলতেই থাকবে। সেটা মাঠ পর্যায়ে হবে নাকি অবস্থান কর্মসূচি, সেটা পরে জানানো হবে। তবে, আন্দোলন থেকে সরে আসার কোনো সুযোগ নেই।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঐক্য ফোরামের সহ-সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, অর্থ সম্পাদক সালমা পারভীনসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

ঢাকা/এএএম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ