রাবিতে সংঘর্ষ: ৩ ছাত্র সংগঠনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ-প্রতিবাদ
Published: 28th, May 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শাহবাগবিরোধী ঐক্যে'র আয়োজিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে উস্কানীমূলক স্লোগান দিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও এ হামলায় অংশ নেন।
বুধবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় শাহবাগবিরোধী ঐক্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক মো.
এছাড়া শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ করে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে রাবি শাখা ছাত্রশিবির। অন্যদিকে, পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে শাহবাগবিরোধী ছাত্র ঐক্যের হামলার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১৫
পদ্মার বালুমহাল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৬
লিখিত বক্তব্যে শাহবাগবিরোধী ঐক্যের নেতাকর্মীরা বলেন, তথাকথিত গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের ব্যানারে বাম-শাহবাগী গোষ্ঠী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মশাল মিছিল আহ্বান করেন। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি কিছুটা বিলম্ব করি। যখন জানতে পারি তারা কর্মসূচি করছেন না, তখন পরিবহন চত্বরের একটি ফাঁকা জায়গায় আমরা সমবেত হই।
পরিবহন চত্বরে শাহবাগবিরোধী ঐক্য’র বিভিন্ন সংগঠক ও নেতৃবৃন্দ যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, ঠিক তখন বাম সংগঠনের গুটিকয়েক মশালধারী আমাদের শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’, ‘জামায়াত-শিবির’ বলে বুলিং করে। তারা স্লোগান দিয়ে বারবার মশাল নিয়ে আমাদের দিকে তেড়ে আসে। ইচ্ছে করেই একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে ভিক্টিম কার্ড খেলার পুরোনো চেষ্টা চালায়।
তারা বলেন, এক পর্যায়ে আমাদেরকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করে। ঢিলের আঘাতে আমাদের সহযোদ্ধা তারেক আহত হন। এরপরই মূলত ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। বিশৃংখলা করার উদ্দেশ্যেই তারা তাদের পূর্বঘোষিত সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার কর্মসূচি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তা রাত সাড়ে ৮টায় করে।
শাহবাগে মব ক্রিয়েট করে দেশে হাসিনার ফ্যাসিবাদের বীজ রোপণ করেছিলো লাল সন্ত্রাসীরা। ইনসাফ ও ন্যায়ের লড়াইয়ে আঞ্জাম দিতে গতকাল মঙ্গলবার রাবিতে সেই শাহবাগতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’ একত্রিত হয়েছিলাম। শাহবাগই মূলত হাসিনাকে স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে সহযোগিতা করেছে।
পাশাপাশি ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে ‘রাজাকার, জামায়াত-শিবির’ ট্যাগ দিয়ে যারা দেশের মানুষের নাগরিক ও মানবিক অধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলতে থাকবে। তবে এ লড়াই হবে আইনি লড়াই, এ লড়াই হবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লড়াই।
রাবি ছাত্রদলও লালবাহিনীর ফাঁদে পা দিয়ে বিবৃতি ও মিছিল করেছে উল্লেখ করে তারা আরো বলেন, ২০১৩ সালে শাহবাগে সৃষ্ট মবের পরিপূর্ণ বিরোধিতা করেছিল ছাত্রদল। শাহবাগবিরোধী ঐক্যের অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে আমরা ছাত্রদলকে পাশে পাব ভেবেছিলাম। কিন্তু শাহবাগ নিয়ে ছাত্রদলের বর্তমান অবস্থান চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ।
অথচ এই শাহবাগই বিএনপির সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ এর অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মীদের কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা সাজিয়ে ফাঁসির সম্মতি উৎপাদন করেছিল।
এ সময় ছাত্র মিশনের সভাপতি জিএ ছাব্বির বলেন, “আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। প্রশাসন বলেছে, আমরা সরেজমিনে ঘটনার পর্যবেক্ষণ করেছি এবং এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করা হবে দ্রুতই। তারা (বাম) যখন প্রশাসন ভবনের মধ্যে ছিল, তখন আমরা প্রশাসনকে বলি, আমরা ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চাই। আপনারা তাদের (বাম) ডাকেন, আমরা তাদের সঙ্গে বসে মিমাংসা করতে চাই।”
তিনি বলেন, “এরপর ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর তাদের অনেক অনুরোধ করেছে মিউচুয়াল করতে, কিন্তু তারা রাজি হয়নি। আরেকটি খুব হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, ছাত্রদল ক্যাম্পাসে এসে দাবি করে প্রক্টরের পদত্যাগের। যেখানে সমস্যা হয়েছে বামদের সঙ্গে আমাদের, সেখানে ছাত্রদলের এ ধরনের দাবি হাস্যকর।”
এসময় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক মো. মাহফুজার রহসান, সাবেক সমন্বয়ক মো. নুরুল ইসলাম শহীদ, ছাত্র মিশনের সদস্য সচিব জসীম বানা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাম সংগঠনগুলোর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাবি শাখা। হামলার পরপরই ছাত্রদলের পক্ষ থেকে তদন্ত ছাড়াই দায় চাপিয়ে বিবৃতি দেওয়া তাদেরই পূর্বপরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেছেন শিবির নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (২৮ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে রাবি শিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল এসব অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী প্রেক্ষাপটে রাবির সচেতন ছাত্রসমাজ ও ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী সংগঠনগুলো ‘শাহবাগ বিরোধী ছাত্র-ঐক্য’ গঠন করে। এতে ইসলামী ছাত্রশিবিরও সংহতি প্রকাশ করে। গতকাল মঙ্গলবার ৮টা ৪০ মিনিটে ঐক্যের শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশগ্রহণের পর পরিবহন মার্কেটে সমাবেশ চলাকালে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট ও ছাত্র মৈত্রীর নেতাদের নেতৃত্বে বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে অনেক নেতাকর্মী আহত হন এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
ছাত্রশিবির জানায়, আমরা এ হামলার নিন্দা জানাই ও দোষীদের বিচার দাবি করি। তারা নিজেদের কর্মসূচি সাড়ে ৭টায় ঘোষণা করলেও ইচ্ছাকৃতভাবে ৮টা ৪০ মিনিটে মাঠে এসে হামলা চালায়। পরে নিজেদের ভিকটিম হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে।
ছাত্রশিবিরের দাবি, ছাত্রদল ঘটনার তদন্ত ছাড়াই তাৎক্ষণিকভাবে ছাত্রশিবিরকে দায়ী করে বিবৃতি দেয়, যা পূর্বপরিকল্পিত। একসময় বাম সংগঠনগুলোর সহিংস রাজনীতিতে ছাত্রলীগ যেভাবে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করত, আজ সেই একই ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে রাবি ছাত্রদলকে।
ছাত্রদলসহ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, দায় চাপানোর পুরনো খেলা বন্ধ করে সুস্থধারার রাজনীতিতে ফিরে আসুন। পাশাপাশি, ফ্যাসিবাদের দোসর বাম সংগঠনগুলোকেও সহিংসতা পরিহার করে ছাত্রবান্ধব রাজনীতির পথে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
অন্যদিকে, বুধবার (২৮ মে) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে শাহবাগবিরোধী ছাত্র ঐক্যের হামলার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট।
লিখিত বক্তব্যে ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার বলেন, “চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী এটিএম আজহারুল ইসলামের দায় মুক্তি প্রদানের প্রতিবাদে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মশাল মিছিল আহ্বান করে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। একই সময়ে ছাত্রশিবিরের একটি আনন্দ মিছিল পরিবহন মার্কেটে বামপন্থীদের আড্ডার স্থলকে ঘিরে বারবার প্রদক্ষিণ করতে থাকে। আমরা তাদের কর্মসূচি সমাপ্ত হওয়ার অপেক্ষা করতে থাকি।”
তিনি বলেন, “তাদের সমাবেশ শেষ হলে এর ৪৫ মিনিট পর ৮টা ১৫ মিনিটে মিছিল শুরু করি। সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র শিবিরের প্রচার সম্পাদক নওসাজ্জামান, ছাত্র মিশনের জিএ সাব্বিরসহ আরো অনেকের নেতৃত্বে আনুমানিক ২০০ জনের একটি মব আমাদের দিকে তেড়ে আসে এবং অতর্কিত ইট পাটকেল, চেয়ার ও লাঠি ছুঁড়ে মারতে শুরু করে।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা উত্তেজিত না হয়ে, সংঘর্ষ এড়িয়ে মিছিল নিয়ে সামনে অগ্রসর হই। মিছিলটি নিয়ে আমরা প্যারিস রোডের বুদ্ধিজীবী চত্বর সংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে আরো দুই দফা হামলা করে। এতে আমরা প্রায় সবাই এলোপাতাড়ি ইট-পাটকেলের মাধ্যমে আঘাতপ্রাপ্ত হই। ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকারকে মাটিতে ফেলে এলোপাতাড়ি লাথি-ঘুষি মারা হয় এবং বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সংগঠক তারেক আশারাফকে ইটের আঘাতে রক্তাক্ত করা হয়।”
২৪ পরবর্তী ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কায়দায় এই ভয়াবাহ সন্ত্রাসী আক্রমণের বিচার চাইতে প্রক্টর অফিসে গিয়েও সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আশ্বাস না পাওয়ার অভিযোগ করেন বাম নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বামপন্থি নেতারা বলেন, “প্রক্টরিয়াল বডি তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নিলে আমাদের সহযোদ্ধারা এভাবে রক্তাক্ত হত না। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলের প্রশাসনকে দেখতাম, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসকে প্রত্যক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করতে। আজ অভ্যুত্থান পরবর্তী রাবি প্রশাসনকে দেখলাম, ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন যোগাতে। যেন এটাও ফ্যাসিবাদী আমলের সেই দলীয় প্রশাসন, কেবল দলটা ভিন্ন।
তারা বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী রাবি ক্যাম্পাস আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলের সেই দমবন্ধকারী পরিস্থিতে ফিরে যাক, তা আমরা চাই না। প্রশাসন যদি অবিলম্বে হামলাকারী শিবির সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা না করে। সে ক্ষেত্রে আমরা এই প্রশাসনকে সন্ত্রাসীদের তাবেদার মনে করে অপসারণ চাইতে বাধ্য হব।
এ সময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ কাইসার আহমেদ, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক তারেক আশরাফ, বিপ্লবী ছাত্র-মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার আলিফ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ গণত ন ত র ক ছ ত র ব ম স গঠনগ ল র ন ত কর ম র ব শ বব দ য ব ম স গঠন ছ ত রদল স গঠন র পরবর ত পর বহন স ঘর ষ শ হব গ আম দ র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
‘রক্তের ওপর দাঁড়ানো সরকার আমাদের সঙ্গে বেইমানি করছে’
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই রায় দেওয়ার পর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। সেখান থেকে একটি মিছিল নিয়ে কলাভবন হয়ে শাহবাগ প্রদক্ষিণ করে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা।
এ সময় তাঁরা ‘ইন্টেরিম সরকার, গণহত্যার পাহারাদার’, ‘একাত্তরের শত্রু যারা, বাংলাদেশের শত্রু তারা’, ‘হাসিনা–আজহার, এই বাংলার গাদ্দার’, ‘জামায়াত–শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘মুক্তিযুদ্ধ হারেনি, হেরে গেছে হাসিনা’সহ নানা স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ মিছিলের পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার বলেন, ‘আজ গণ–অভ্যুত্থানের ১০ মাস পরে দেখতে পেলাম একাত্তরের গণহত্যার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আলবদর কমান্ডার আজহার বেকসুর খালাস পেল। যার মাধ্যমে রক্তের ওপর দাঁড়ানো এই সরকার আমাদের সঙ্গে বেইমানি করছে।’
ছাত্র ইউনিয়নের এই নেতা বলেন, ‘এই সরকারের আমলে একের পর এক মব জাস্টিস, সন্ত্রাসী মুক্তি ও একাত্তরের গণহত্যাকারীদেরও মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। একাত্তরে যারা দালালি করেছে, বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছে, তাদের এ দেশে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’
সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, ‘একজন মানবতাবিরোধী ও গণহত্যাকারীর সঙ্গে আপস করা যাবে না। যদি করেন, তাহলে আপনাদের অবস্থা পতিত হাসিনার মতো হবে।’
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা। আজ মঙ্গলবার টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে