জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ‘আদালত অবমাননার’ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ বুধবার এ অভিযোগ দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন।

অভিযোগে, সারজিসের বিরুদ্ধে গত ২২ মে হাইকোর্ট সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে ‘মর্যাদাহানিকর’ ও ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করার অভিযোগ এনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতের আদেশ চাওয়া হয়েছে। 

এর আগে গত ২৪ মে হাইকোর্ট সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় সারজিসকে ক্ষমা চাইতে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী জসিম উদ্দিন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ক্ষমা না চাওয়ায় সারজিস আলমের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।

গত ২২ মে হাইকোর্ট ইশরাক হোসেনকে ঢাকার মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট খারিজ করে আদেশ দেন। ওই আদেশের পর ফেসবুকে পোস্ট এনসিপি নেতা সারজিস আলম লেখেন, ‘মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি?’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে পাচারের শিকার ৩৬ কিশোর-কিশোরী দেশে ফিরেছে

ভারতে পাচারের শিকার দুই শিশুসহ ৩৬ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর দেশে ফিরেছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ পাচার হওয়া বাংলাদেশিদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ফেরত আসারা যশোর, রাজশাহী, খুলনা, নোয়াখালী, কুড়িগ্রাম, নাটোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, কক্সবাজার, ঢাকা, নেত্রকোণা, রংপুর, মাদারীপুর, নরসিংদী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, লক্ষীপুর ও চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা। 

আইনি সহায়তা দিতে রাইটস যশোর, জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, মহিলা আইনজীবী সমিতি ও জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, শিশু সুরক্ষা সংস্থা এই ৩৬ বাংলাদেশিকে গ্রহণ করেছে।

দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথে তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল।

জাস্টিজ অ্যান্ড কেয়ারের যশোর শাখার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল মুহিত জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথে দালালের মাধ্যমে তারা ভারতে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় যায়। সেখানে বিভিন্ন বাসাবাড়ি বা অন্যান্য কাজ করার সময় পুলিশ তাদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশ তাদের জেলে পাঠায়। পরে আইনি সহায়তা দিতে ভারতীয় একাধিক মানবাধিকার সংস্থা তাদের আদালত থেকে ছাড়িয়ে হেফাজতে নেয়।

তিনি আরো জানান, বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর দুই দেশের সরকারের সহযোগিতায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পায়। ফেরত আসা বাংলাদেশিরা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে আইনি সহায়তা চায়, তাহলে দেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‍“ভারত ফেরত শিশুসহ ৩৬ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরীকে আমরা গ্রহণ করেছি। কার্যক্রম শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় তাদের সোপর্দ করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, রাইটস যশোর, মহিলা আইনজীবী সমিতি ও শিশু সুরক্ষা সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।”

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এ টি এম আজহারের মামলায় ‘স্বার্থের সংঘাত’ নিয়ে দেওয়া কিছু বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়
  • রায়ের কপি পেলে আইন দেখে সিদ্ধান্ত
  • রংপুরে কৃষক সলিম হত্যা মামলায় ৮ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
  • আমি পাওয়ারকে সিজদা করি: সুব্রত বাইন
  • ইশরাকের মেয়র পদ নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি বৃহস্পতিবার
  • আনিস-সালমান রিমান্ডে, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার ৯
  • মুক্তি পেয়ে শাহবাগে সমাবেশে যোগ দিলেন আজহারুল ইসলাম
  • ভারতে সাজাভোগ শেষে বেনাপোল দিয়ে ফিরলেন ৩৬ জন
  • ভারতে পাচারের শিকার ৩৬ কিশোর-কিশোরী দেশে ফিরেছে