ইউক্রেন যুদ্ধ তীব্রতর হওয়ার বিষয়ে প্রকাশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে তর্ক শুরু হয়েছে। বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উদ্দেশ্য করে সতর্কবার্তা দেওয়ার পরে এই তর্ক শুরু হয়েছে।

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল-এ একটি পোস্টে বলেছেন, পুতিন আগুন নিয়ে খেলছেন এবং সতর্ক করেছেন যে, তিনি নিজে না থাকলে রাশিয়ার সাথে ‘সত্যিই খারাপ’ ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে যেত।

ট্রাম্প বলেছেন, “ভ্লাদিমির পুতিন যা বুঝতে পারেন না তা হচ্ছে, আমি না থাকলে রাশিয়ায় ইতিমধ্যেই অনেক খারাপ ঘটনা ঘটে যেত এবং আমি বলতে চাইছি সত্যিই খারাপ। তিনি আগুন নিয়ে খেলছেন।”

এর প্রতিক্রিয়ায় পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক সহকারী ইউরি উশাকভ রাষ্ট্রীয় টিভির এক প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের মন্তব্য থেকে বোঝা যায় যে তিনি যুদ্ধের বাস্তবতা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত নন।

তিনি বলেছেন, “ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে আসলে কী ঘটছে সে সম্পর্কে ট্রাম্প যথেষ্ট অবগত নন।”

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে ট্রাম্প প্রশাসন ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য যথেষ্ট চেষ্টা’ করছে এবং রাশিয়া ‘ব্যক্তিগতভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞ।’

পেসকভ বলেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতোই রাশিয়ার নিজস্ব জাতীয় স্বার্থ রয়েছে, যা আমাদের জন্য সর্বোপরি এবং আমাদের প্রেসিডেন্টের জন্য সর্বোপরি।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য বল ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কুবির নজরুল হল থেকে গুলি ও গাঁজা উদ্ধার

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কাজী নজরুল ইসলাম হলের ৩০৭ নম্বর কক্ষ থেকে ব্যবহৃত গুলি ও গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলে অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক মো. হারুন। অভিযান চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। 

হল প্রাধ্যক্ষ জানান, তিনি আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলের বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে তল্লাশি চালান। এমন সময় ৩০৭ নম্বর কক্ষে ব্যবহৃত গুলি ও এর জানালার পাশে মাদক পেয়েছেন। অভিযানের সময় ওই কক্ষে তিনজন শিক্ষার্থী অবস্থান করেছিলে।

আরো পড়ুন:

৩৫ বছর পর রাকসু তফসিল নিয়ে শিক্ষার্থীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছে

ওই তিন শিক্ষার্থীরা হলেন, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাকিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সবুজ মিঞা ও রবিন আউয়াল রবিন এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের একই বর্ষের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাঈদ উদ্দিন আহমেদ।

এর মধ্যে সবুজ মিঞা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে আবাসিক শিক্ষার্থী। তার ব্যাপারে নজরুল হলের প্রাধ্যক্ষ মো. হারুন বলেন, “সবুজ মিঞা যেহেতু আমাদের হলের আবাসিক শিক্ষার্থী না। তার বিরুদ্ধে এখন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছি না। তবে, আমি তার হলের প্রাধ্যক্ষকে বিষয়টি জানাব।”

এ বিষয়ে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, “এ ব্যাপারে এখনো আমাকে কেউ কিছু অবগত করেননি।”

এদিকে, শিক্ষার্থী সাঈদ উদ্দিন আহমেদকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মাঠ থেকে মাদক সেবনরত অবস্থায় আটক করে প্রক্টোরিয়াল বডি। এরপর গত ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাকে ১ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া, ১ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ ও আবাসিক হলে অবস্থানের উপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও কীভাবে তিনি হলে অবস্থান করছেন- এমন প্রশ্নে প্রাধ্যক্ষ বলেন, “ওই কক্ষে যারা থাকে, তাদের কড়া নির্দেশনা দিয়েছিলাম- আনাস যাতে ওই কক্ষে থাকতে না পারে। তালাও পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তারা আমার চোখ ফাঁকি দিয়ে এবং আদেশ অমান্য করে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীকে ওই কক্ষে রাখছে। তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

এ ঘটনার সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। প্রাথমিকভাবে যে কক্ষ থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, সেই কক্ষটি সিলগালা করা হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডকে বিষয়টা অবগত করেছি। শৃঙ্খলা বোর্ড এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”

সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান বলেন, “অভিযুক্তদের ডোপ টেস্ট করতে পাঠানো হয়েছে। তবে, এগুলো হলের বিষয়, হল প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিবে। আর হল প্রশাসন শৃঙ্খলা বোর্ডে পাঠালে তখন তারা সিদ্ধান্ত নেবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুবির নজরুল হল থেকে গুলি ও গাঁজা উদ্ধার