ইউক্রেন যুদ্ধ তীব্রতর হওয়ার বিষয়ে প্রকাশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে তর্ক শুরু হয়েছে। বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উদ্দেশ্য করে সতর্কবার্তা দেওয়ার পরে এই তর্ক শুরু হয়েছে।

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল-এ একটি পোস্টে বলেছেন, পুতিন আগুন নিয়ে খেলছেন এবং সতর্ক করেছেন যে, তিনি নিজে না থাকলে রাশিয়ার সাথে ‘সত্যিই খারাপ’ ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে যেত।

ট্রাম্প বলেছেন, “ভ্লাদিমির পুতিন যা বুঝতে পারেন না তা হচ্ছে, আমি না থাকলে রাশিয়ায় ইতিমধ্যেই অনেক খারাপ ঘটনা ঘটে যেত এবং আমি বলতে চাইছি সত্যিই খারাপ। তিনি আগুন নিয়ে খেলছেন।”

এর প্রতিক্রিয়ায় পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক সহকারী ইউরি উশাকভ রাষ্ট্রীয় টিভির এক প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের মন্তব্য থেকে বোঝা যায় যে তিনি যুদ্ধের বাস্তবতা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত নন।

তিনি বলেছেন, “ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে আসলে কী ঘটছে সে সম্পর্কে ট্রাম্প যথেষ্ট অবগত নন।”

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে ট্রাম্প প্রশাসন ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য যথেষ্ট চেষ্টা’ করছে এবং রাশিয়া ‘ব্যক্তিগতভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞ।’

পেসকভ বলেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতোই রাশিয়ার নিজস্ব জাতীয় স্বার্থ রয়েছে, যা আমাদের জন্য সর্বোপরি এবং আমাদের প্রেসিডেন্টের জন্য সর্বোপরি।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য বল ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতার সূচনা করেছে ভারত-পাকিস্তান ড্রোন যুদ্ধ

৮ মে রাত আটটার কিছু পর ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় শহর জম্মুর আকাশে লাল রঙের আলোর শিখা ছুটে যেতে দেখা যায়। এ সময় তা লক্ষ্য করে শহরটির বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গুলি চালাতে শুরু করে। সেগুলো ছিল পাকিস্তান থেকে আসা ড্রোন।

গত কয়েক দশকে নিজেদের মধ্যে হওয়া একাধিক সংঘর্ষে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী একে অন্যের বিরুদ্ধে উন্নত মানের যুদ্ধবিমান, প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করেছে। কিন্তু মে মাসে টানা চার দিনের সংঘর্ষে প্রথমবারের মতো নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ ব্যাপকভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে ড্রোন ব্যবহার করে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর প্রতিবেশী ওই দেশ দুটির মধ্যে সংঘর্ষ থামে। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার এ দুই শক্তি এখন ড্রোনকে ঘিরে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়েছে। রয়টার্সের নেওয়া দুই দেশের নিরাপত্তা কর্মকর্তা, শিল্প নির্বাহী, বিশ্লেষকসহ ১৫ জনের সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ভারত ও পাকিস্তান গত বছর প্রতিরক্ষা খাতে ৯ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি খরচ করেছে।

পাকিস্তান বিমানবাহিনী আরও বেশি ইউএভি সংগ্রহের চেষ্টা করছে, যাতে তাদের মূল্যবান উন্নত প্রযুক্তির বিমানগুলো ঝুঁকিতে না পড়ে।

ড্রোন ফেডারেশন ইন্ডিয়ার কর্মকর্তা স্মিত শাহ বলেন, ভারত স্থানীয় শিল্পে ব্যাপক বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে। ইউএভি (ড্রোন) খাতে আগামী ১২ থেকে ২৪ মাসে প্রায় ৪৭ কোটি ডলার ব্যয় করা হতে পারে, যা সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের আগের ব্যয়ের প্রায় তিন গুণ।

এ মাসে ভারত জরুরি সামরিক সরঞ্জাম কিনতে প্রায় ৪৬০ কোটি ডলার বরাদ্দ করেছে। এ তথ্য দুজন শিল্প–বিশ্লেষকও নিশ্চিত করেছেন। অর্থাৎ ভারত জরুরিভিত্তিতে বড় অঙ্কের সামরিক কেনাকাটা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে অবগত দুজন ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত তহবিলের কিছু অংশ যুদ্ধ ও নজরদারিতে ব্যবহৃত ড্রোনের জন্য বরাদ্দ করার পরিকল্পনা করছে ভারতের সামরিক বাহিনী।

ভারতে সাধারণত বছরব্যাপী প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রতিরক্ষাসামগ্রী ক্রয় করা হয়। তবে ভারতীয় ইউএভি কোম্পানি আইডিয়াফোর্জ টেকনোলজির ভাইস প্রেসিডেন্ট বিশাল সাক্সেনা বলেছেন, এখন সরকার অত্যন্ত দ্রুততম গতিতে ড্রোন নির্মাতাদের ড্রোন পরীক্ষা ও প্রদর্শনীর জন্য ডেকে পাঠাচ্ছে।

ভারত স্থানীয় শিল্পে ব্যাপক বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে। ইউএভি (ড্রোন) খাতে আগামী ১২ থেকে ২৪ মাসে প্রায় ৪৭ কোটি ডলার ব্যয় করা হতে পারে, যা সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের আগের ব্যয়ের প্রায় তিন গুণ।স্মিত শাহ, ড্রোন ফেডারেশন ইন্ডিয়ার কর্মকর্তা

অন্যদিকে পাকিস্তান বিমানবাহিনী আরও বেশি ইউএভি সংগ্রহের চেষ্টা করছে, যাতে তাদের মূল্যবান উন্নত প্রযুক্তির বিমানগুলো ঝুঁকিতে না পড়ে। এমন তথ্য জানিয়েছে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একটি পাকিস্তানি সূত্র।

সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সময় পাকিস্তান ও ভারত দুপক্ষই আধুনিক ৪ দশমিক ৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটে থাকা ইসলামাবাদের কাছে চীনের নির্মিত প্রায় ২০টি উন্নত মানের জে-১০ যুদ্ধবিমান আছে, যা (যুদ্ধবিমান) ভারতের তুলনায় কম। দেশটির কাছে ফ্রান্সের নির্মিত ৩০টির বেশি রাফাল যুদ্ধবিমান আছে।

পাকিস্তানের করাচিতে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড সেমিনারে বিভিন্ন ধরনের ড্রোন প্রদর্শন করা হয়। ২১ নভেম্বর, ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘তপন বিহারী’ বৃত্তি পাচ্ছেন নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা 
  • নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতার সূচনা করেছে ভারত-পাকিস্তান ড্রোন যুদ্ধ
  • মশা নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত হবে না সেনাবাহিনী
  • এ ধরনের কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার পরিকল্পনা নেই সেনাবাহিনীর