যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে চলছে তর্ক
Published: 28th, May 2025 GMT
ইউক্রেন যুদ্ধ তীব্রতর হওয়ার বিষয়ে প্রকাশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে তর্ক শুরু হয়েছে। বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উদ্দেশ্য করে সতর্কবার্তা দেওয়ার পরে এই তর্ক শুরু হয়েছে।  
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল-এ একটি পোস্টে বলেছেন, পুতিন আগুন নিয়ে খেলছেন এবং সতর্ক করেছেন যে, তিনি নিজে না থাকলে রাশিয়ার সাথে ‘সত্যিই খারাপ’ ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে যেত।
ট্রাম্প বলেছেন, “ভ্লাদিমির পুতিন যা বুঝতে পারেন না তা হচ্ছে, আমি না থাকলে রাশিয়ায় ইতিমধ্যেই অনেক খারাপ ঘটনা ঘটে যেত এবং আমি বলতে চাইছি সত্যিই খারাপ। তিনি আগুন নিয়ে খেলছেন।”
এর প্রতিক্রিয়ায় পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক সহকারী ইউরি উশাকভ রাষ্ট্রীয় টিভির এক প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের মন্তব্য থেকে বোঝা যায় যে তিনি যুদ্ধের বাস্তবতা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত নন।
তিনি বলেছেন, “ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে আসলে কী ঘটছে সে সম্পর্কে ট্রাম্প যথেষ্ট অবগত নন।”
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে ট্রাম্প প্রশাসন ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য যথেষ্ট চেষ্টা’ করছে এবং রাশিয়া ‘ব্যক্তিগতভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞ।’
পেসকভ বলেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতোই রাশিয়ার নিজস্ব জাতীয় স্বার্থ রয়েছে, যা আমাদের জন্য সর্বোপরি এবং আমাদের প্রেসিডেন্টের জন্য সর্বোপরি।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য বল ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’
৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর
শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।
পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।
মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম