ইইউ দেশগুলোয় শিশু সুরক্ষার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে চার প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে
Published: 28th, May 2025 GMT
অপ্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পর্নহাব, স্ট্রিপচ্যাট, এক্সএনএক্সএক্স ও এক্সভিডিওসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গতকাল মঙ্গলবার ইইউ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে এসব প্ল্যাটফর্মকে নিজেদের বৈশ্বিক বার্ষিক আয়ের ৬ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, ২০২৩ সালে এসব ওয়েবসাইটকে ‘অত্যন্ত বড় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম’ হিসেবে চিহ্নিত করার পরও তারা ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট অনুযায়ী অবৈধ ও ক্ষতিকর আধেয়র (কনটেন্ট) বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।
কমিশনের অভিযোগ, এসব কোম্পানি শিশুদের অধিকার ক্ষুণ্ন হতে পারে, এ–সংক্রান্ত ঝুঁকি মূল্যায়ন ও তা প্রশমনের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। পাশাপাশি বয়স যাচাইয়ের যথাযথ পদ্ধতি না থাকায় শিশুরা সহজেই এসব পর্নোগ্রাফিক কনটেন্টে প্রবেশ করতে পারছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রযুক্তিবিষয়ক প্রধান হেনা ভারক্কুনেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অনলাইন জগৎটি শিশুদের শেখা ও সংযোগ তৈরির জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ হওয়া উচিত। অপ্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং তাদের জন্য নিরাপদ অনলাইন পরিসর তৈরি করা আমাদের অগ্রাধিকার।’
‘পর্নহাব’–এর মালিক ও সাইপ্রাসভিত্তিক ক্রিপ্টো প্রতিষ্ঠান আইলো ফ্রিসাইটস লিমিটেড জানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইটগুলো আরটিএ (শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সীমিত) মানদণ্ড মেনে চলে। শিশু সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব সাইটস অ্যাডভোকেটিং চাইল্ড প্রটেকশন তাদের এই স্বীকৃতি দিয়েছে। নিজেদের ওয়েবসাইট শুধু বৈধভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই সংরক্ষিত বলে জানিয়েছে আইলো ফ্রিসাইটস।
আইলো এক ই–মেইলে জানিয়েছে, ‘আমরা মনে করি, ডিভাইসে প্রবেশের সময় ব্যবহারকারীর বয়স যাচাই করাই অপ্রাপ্তবয়স্ক ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়কে সুরক্ষা দেওয়ার প্রকৃত উপায়। সেই যাচাইয়ের ভিত্তিতেই ওয়েবসাইটগুলোয় বয়সসীমা নির্ধারিত আধেয়তে প্রবেশাধিকার দেওয়া বা না-দেওয়া উচিত।’
সাইপ্রাসভিত্তিক কোম্পানি টেকনিয়াস লিমিটেডের আওতাধীন স্ট্রিপচ্যাটের মতামত জানতে ই–মেইলে যোগাযোগ করে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। এক্সএনএক্সএক্স চেক প্রজাতন্ত্রের এনকেএল অ্যাসোসিয়েটস কোম্পানির মালিকানাধীন এবং এক্সভিডিওস চেক প্রজাতন্ত্রের ওয়েব গ্রুপের অংশ। এই দুই কোম্পানির সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ইউরোপীয় কমিশন জানায়, স্ট্রিপচ্যাটের গড় মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্টের (ডিএসএ) নির্ধারিত সীমার নিচে নেমে আসায় চার মাসের মধ্যে এটি ‘অত্যন্ত বড় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম’–এর মর্যাদা হারাবে।
আলাদাভাবে ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, ছোট পর্নোগ্রাফিক প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে শিশুদের সুরক্ষায় ইইউ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প র প তবয়স ক প ল য টফর ম ইউর প য় স রক ষ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ইইউ দেশগুলোয় শিশু সুরক্ষার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে চার প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে
অপ্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পর্নহাব, স্ট্রিপচ্যাট, এক্সএনএক্সএক্স ও এক্সভিডিওসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গতকাল মঙ্গলবার ইইউ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে এসব প্ল্যাটফর্মকে নিজেদের বৈশ্বিক বার্ষিক আয়ের ৬ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, ২০২৩ সালে এসব ওয়েবসাইটকে ‘অত্যন্ত বড় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম’ হিসেবে চিহ্নিত করার পরও তারা ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট অনুযায়ী অবৈধ ও ক্ষতিকর আধেয়র (কনটেন্ট) বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।
কমিশনের অভিযোগ, এসব কোম্পানি শিশুদের অধিকার ক্ষুণ্ন হতে পারে, এ–সংক্রান্ত ঝুঁকি মূল্যায়ন ও তা প্রশমনের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। পাশাপাশি বয়স যাচাইয়ের যথাযথ পদ্ধতি না থাকায় শিশুরা সহজেই এসব পর্নোগ্রাফিক কনটেন্টে প্রবেশ করতে পারছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রযুক্তিবিষয়ক প্রধান হেনা ভারক্কুনেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অনলাইন জগৎটি শিশুদের শেখা ও সংযোগ তৈরির জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ হওয়া উচিত। অপ্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং তাদের জন্য নিরাপদ অনলাইন পরিসর তৈরি করা আমাদের অগ্রাধিকার।’
‘পর্নহাব’–এর মালিক ও সাইপ্রাসভিত্তিক ক্রিপ্টো প্রতিষ্ঠান আইলো ফ্রিসাইটস লিমিটেড জানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইটগুলো আরটিএ (শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সীমিত) মানদণ্ড মেনে চলে। শিশু সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব সাইটস অ্যাডভোকেটিং চাইল্ড প্রটেকশন তাদের এই স্বীকৃতি দিয়েছে। নিজেদের ওয়েবসাইট শুধু বৈধভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই সংরক্ষিত বলে জানিয়েছে আইলো ফ্রিসাইটস।
আইলো এক ই–মেইলে জানিয়েছে, ‘আমরা মনে করি, ডিভাইসে প্রবেশের সময় ব্যবহারকারীর বয়স যাচাই করাই অপ্রাপ্তবয়স্ক ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়কে সুরক্ষা দেওয়ার প্রকৃত উপায়। সেই যাচাইয়ের ভিত্তিতেই ওয়েবসাইটগুলোয় বয়সসীমা নির্ধারিত আধেয়তে প্রবেশাধিকার দেওয়া বা না-দেওয়া উচিত।’
সাইপ্রাসভিত্তিক কোম্পানি টেকনিয়াস লিমিটেডের আওতাধীন স্ট্রিপচ্যাটের মতামত জানতে ই–মেইলে যোগাযোগ করে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। এক্সএনএক্সএক্স চেক প্রজাতন্ত্রের এনকেএল অ্যাসোসিয়েটস কোম্পানির মালিকানাধীন এবং এক্সভিডিওস চেক প্রজাতন্ত্রের ওয়েব গ্রুপের অংশ। এই দুই কোম্পানির সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ইউরোপীয় কমিশন জানায়, স্ট্রিপচ্যাটের গড় মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্টের (ডিএসএ) নির্ধারিত সীমার নিচে নেমে আসায় চার মাসের মধ্যে এটি ‘অত্যন্ত বড় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম’–এর মর্যাদা হারাবে।
আলাদাভাবে ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, ছোট পর্নোগ্রাফিক প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে শিশুদের সুরক্ষায় ইইউ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।