অপ্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পর্নহাব, স্ট্রিপচ্যাট, এক্সএনএক্সএক্স ও এক্সভিডিওসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গতকাল মঙ্গলবার ইইউ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে এসব প্ল্যাটফর্মকে নিজেদের বৈশ্বিক বার্ষিক আয়ের ৬ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।

ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, ২০২৩ সালে এসব ওয়েবসাইটকে ‘অত্যন্ত বড় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম’ হিসেবে চিহ্নিত করার পরও তারা ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট অনুযায়ী অবৈধ ও ক্ষতিকর আধেয়র (কনটেন্ট) বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।

কমিশনের অভিযোগ, এসব কোম্পানি শিশুদের অধিকার ক্ষুণ্ন হতে পারে, এ–সংক্রান্ত ঝুঁকি মূল্যায়ন ও তা প্রশমনের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। পাশাপাশি বয়স যাচাইয়ের যথাযথ পদ্ধতি না থাকায় শিশুরা সহজেই এসব পর্নোগ্রাফিক কনটেন্টে প্রবেশ করতে পারছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রযুক্তিবিষয়ক প্রধান হেনা ভারক্কুনেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অনলাইন জগৎটি শিশুদের শেখা ও সংযোগ তৈরির জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ হওয়া উচিত। অপ্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং তাদের জন্য নিরাপদ অনলাইন পরিসর তৈরি করা আমাদের অগ্রাধিকার।’

‘পর্নহাব’–এর মালিক ও সাইপ্রাসভিত্তিক ক্রিপ্টো প্রতিষ্ঠান আইলো ফ্রিসাইটস লিমিটেড জানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইটগুলো আরটিএ (শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সীমিত) মানদণ্ড মেনে চলে। শিশু সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব সাইটস অ্যাডভোকেটিং চাইল্ড প্রটেকশন তাদের এই স্বীকৃতি দিয়েছে। নিজেদের ওয়েবসাইট শুধু বৈধভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই সংরক্ষিত বলে জানিয়েছে আইলো ফ্রিসাইটস।

আইলো এক ই–মেইলে জানিয়েছে, ‘আমরা মনে করি, ডিভাইসে প্রবেশের সময় ব্যবহারকারীর বয়স যাচাই করাই অপ্রাপ্তবয়স্ক ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়কে সুরক্ষা দেওয়ার প্রকৃত উপায়। সেই যাচাইয়ের ভিত্তিতেই ওয়েবসাইটগুলোয় বয়সসীমা নির্ধারিত আধেয়তে প্রবেশাধিকার দেওয়া বা না-দেওয়া উচিত।’

সাইপ্রাসভিত্তিক কোম্পানি টেকনিয়াস লিমিটেডের আওতাধীন স্ট্রিপচ্যাটের মতামত জানতে ই–মেইলে যোগাযোগ করে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। এক্সএনএক্সএক্স চেক প্রজাতন্ত্রের এনকেএল অ্যাসোসিয়েটস কোম্পানির মালিকানাধীন এবং এক্সভিডিওস চেক প্রজাতন্ত্রের ওয়েব গ্রুপের অংশ। এই দুই কোম্পানির সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ইউরোপীয় কমিশন জানায়, স্ট্রিপচ্যাটের গড় মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্টের (ডিএসএ) নির্ধারিত সীমার নিচে নেমে আসায় চার মাসের মধ্যে এটি ‘অত্যন্ত বড় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম’–এর মর্যাদা হারাবে।

আলাদাভাবে ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, ছোট পর্নোগ্রাফিক প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে শিশুদের সুরক্ষায় ইইউ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প র প তবয়স ক প ল য টফর ম ইউর প য় স রক ষ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখকের রাবি শাখার নতুন কমিটি

বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার ২০২৫-২৬ কার্যবর্ষের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. জসিম উদ্দিনকে সভাপতি এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত বিজয়কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

বিশ্ব শিক্ষক দিবস: রাবিতে ৩ অধ্যাপককে সম্মাননা

তদন্ত প্রতিবেদন: ডুবে যাওয়ার ২০ মিনিট পর উদ্ধার হন সায়মা

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় রাবির পরিবহন চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২০২৫-২৬ কার্যবর্ষের কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনটির ২০২৩-২৪ কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম। কমিটি অনুমোদন করেন বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহম্মদ সজীব প্রধান ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. আবদূর রহিম।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি শাহ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইমা বিভা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সবুজ মিয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আশিক, অর্থ সম্পাদক শোয়াইবা আক্তার, দপ্তর সম্পাদক আবিদা সুলতানা, উপ-দপ্তর সম্পাদক তানজিলা রহমান, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক তুহিন চাকমা, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. সিহাব উদ্দীন, প্রচার সম্পাদক মো. হাবিবুল্লাহ বাহার, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মুর্শেদুর রহমান রূপক।

এতে সম্পাদকীয় পর্ষদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তামান্না আক্তার ও মোছা. কাওছারিন জাহান জিম। এছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুন নাহার শোভা ও মো. আদিল আহনাফ

নতুন সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের অন্যতম বৃহত্তম বুদ্ধিবৃত্তিক অংশ। আমাকে এ শাখার সর্বোচ্চ দায়িত্ব দেওয়ায় জন্য সংগঠনের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি নিষ্ঠার সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।”

বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। সংগঠনটির স্লোগান— ‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’।

এটি একটি শিক্ষামূলক, অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সংগঠন, যার মূল লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের লেখালেখিতে উদ্বুদ্ধ করে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সৃজনশীল বিকাশ ঘটানো।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ