অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে ‘ব্যালট’ প্রকল্প
Published: 28th, May 2025 GMT
বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং জাতিসংঘ। আর এ জন্য নেওয়া হয়েছে তিন বছর মেয়াদি প্রকল্প ব্যালট।
বুধবার জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে তিন বছর মেয়াদি প্রকল্প ‘ব্যালট’ শুরু হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং ইউএনডিপি বুধবার এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই করে। ব্যালট প্রকল্পটি ২০২৫-২০২৭ একটি তিন বছর মেয়াদি উদ্যোগ, যা দুটি ধাপে কাজ করবে।
প্রথম ধাপে আসন্ন নির্বাচনি সহায়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এতে রয়েছে- প্রযুক্তিগত, কারিগরি প্রস্তুতি এবং ভোটারদের কাছে পৌঁছানো।
দ্বিতীয় ধাপের লক্ষ্য সংস্কারকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং আসন্ন নির্বাচনি কাজের পর গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা জোরদার করা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বইসি, ইউএন উইমেন, ইউনেস্কো এবং সুশীল সমাজ সংস্থাগুলোর সঙ্গে মিলে কাজ করা হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো.
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও জাতিসংঘ উইং প্রধান, এ কে এম সোহেল, ইউনেস্কো বাংলাদেশের প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজ, ইউএন উইমেন কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ গীতাঞ্জলী সিং এবং বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদার, ভোটারদের শিক্ষা, সচেতনতা ও নাগরিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি, আইনি ও নির্বাচনি সংস্কার কাজে সহায়তা এবং ভুল তথ্য ও নির্বাচনি সহিংসতার বিরুদ্ধে সুরক্ষা বৃদ্ধির জন্য ব্যালট প্রকল্পটি গঠন করা হয়েছে।
শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে ইউএনডিপির সঙ্গে কাজের এই যৌথ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাতে চাই। নির্বাচনি নীতিনৈতিকতা জোরদার এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করে এই প্রকল্পটির লক্ষ্য অর্জনের জন্য জাতীয় প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী এবং অংশীদারদের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় সাধন করতে ইআরডি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আখতার আহমেদ বলেন, ব্যালট প্রকল্পটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেছে, যা স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সব নাগরিকের জন্য বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে আমাদের প্রয়োজনীয় কারিগরি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দেবে।
স্টেফান লিলার বলেন, ব্যালট প্রকল্পের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়ার কার্যক্রমে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে পেরে ইউএনডিপি গর্বিত। উদ্যোগটি কেবল কারিগরি সহায়তা নয়, এটি প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালীকরণ, ভোটারদের ক্ষমতায়ন এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা তৈরি করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠা, জবাবদিহিতা, দায়বদ্ধতা এবং জনসাধারণের আস্থা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আবশ্যক।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকার না চাইলে ‘মব সন্ত্রাসের’ ঘটনাগুলো ঘটতে পারত না: বাম গণতান্ত্রিক জোট
গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে যে ‘মব’ সন্ত্রাসের শুরু হয়েছিল, সেটা এখনো চলছে এবং নগ্ন রূপ নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। অন্তর্বর্তী সরকার না চাইলে এমন ঘটনাগুলো ঘটতে পারত না বলেও মন্তব্য করেছেন তাঁরা। জোটের নেতারা বলেছেন, মব নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাব এমন যে খারাপ কিছু তো করছে না।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এ কথা বলেন। মব সন্ত্রাস ও মাজার-খানকায় হামলা বন্ধসহ সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যথাসময়ে নির্বাচনের দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাম জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর যে মব শুরু হয়েছিল, সেই মব এখনো দূর হয়নি। বরং নগ্ন রূপ নিয়েছে।...তাহলে ইউনূস সাহেব (প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস) তখন কী করলেন?’
সরকার না চাইলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না মন্তব্য করে রুহিন হোসেন বলেন, মব নিয়ে সরকারের উপদেষ্টারা আকারে-ইঙ্গিতে যা বলেন, তাতে ভাবটা এ রকম যে খারাপ কিছু করছে না। অন্তর্বর্তী সরকার এসব ঘটনার দায় এড়াতে পারবে না।
দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংস্কারের নামে শ্রমিক–কৃষক–মেহনতি মানুষের স্বার্থ রক্ষা করছেন না, কিন্তু সংবিধানের চার মূলনীতি পরিবর্তন করতে চান। অবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
‘মব’ সন্ত্রাস ও মাজার-খানকায় হামলা বন্ধসহ সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যথাসময়ে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা–কর্মীরা। আজ সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে