চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট-আগুন
Published: 29th, May 2025 GMT
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গুণবতী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী হোসেনের বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিষয়টি জানাজানি হয়। এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আলী হোসেনের স্ত্রী ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আখতার বলেন, ‘‘রাত দেড়টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত বাড়িতে আক্রমণ করে। এসময় তারা আমাদের কেয়ারটেকারকে জিম্মি করে ঘরের দরজায় আগুন ধরিয়ে দেয়। ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। পরে থাই গ্লাস ভেঙে ঘরে ঢুকে মালামাল লুট করে এবং আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে ঘরে থাকা আসবাবপত্র, কাপড়-চোপড় ও কাগজপত্র পুড়ে গেছে। থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।’’
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে থিম ওমর প্লাজায় অগ্নিকাণ্ড
অভয়নগরে আগুনে পোড়া বাড়িগুলো পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলোন, ‘‘খবর পেয়ে ওই রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ আলী হোসেন বর্তমানে কুমিল্লা শহরে অবস্থান করছেন। ২০১৫ সালের পর রাজনীতি থেকে অবসর নেন তিনি। ব্রেন হেমারেজের কারণে চলাফেরাও করতে পারেন না। ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা বাড়িতে কেয়ারটেকার তার পরিবার নিয়ে থাকতেন।
ঢাকা/রুবেল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।