ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের নবনিযুক্ত হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন।

একজন পেশাগত কূটনীতিক, হামিদুল্লাহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ১৫তম ব্যাচের এবং ১৯৯৫ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। নয়াদিল্লিতে তার বর্তমান পদোন্নতির আগে তিনি শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং নেদারল্যান্ডসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আরো পড়ুন:

প্রভাসের নায়িকা হতে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নিলেন তৃপ্তি

ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ হস্তান্তর

কূটনৈতিক জীবনে হামিদুল্লাহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সচিব (পশ্চিম) এবং কাঠমান্ডুতে সার্ক সচিবালয়ে পরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এর আগে তিনি নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ মিশন এবং নিউইয়র্কে জাতিসংঘে স্থায়ী মিশনেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে তিনি বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক বিষয়, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে জড়িত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর ব্যাপকভাবে কাজ করেছেন।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় রাষ্ট্রপতির কার্যালয় জানায়, আজ বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, কোস্টারিকা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, তুরস্ক এবং কাজাখস্তানের নবনিযুক্ত দূতদের কাছ থেকে পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।

ঢাকা/হাসান/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নারীদের সেরা সঞ্চয়; পরিবার সঞ্চয়পত্রে মুনাফা কত, কীভাবে কিনবেন

দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সঞ্চয়পত্র হলো পরিবার সঞ্চয়পত্র। নারীরা এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার তুলনামূলক বেশি এবং প্রতি মাসে মুনাফা তোলা যায়।

পরিবার সঞ্চয়পত্র নামে এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে অর্থাৎ পাঁচ বছর পর ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।

বর্তমানে যে চারটি সঞ্চয়পত্র আছে, এর মধ্যে পেনশনার সঞ্চয়পত্রের পরেই এই সঞ্চয়পত্রে সবচেয়ে বেশি মুনাফার হার। ২০০৯ সালে এই সঞ্চয়পত্র চালু করে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর। দেড় দশক ধরে এই সঞ্চয়পত্র দেশের অন্যতম জনপ্রিয় সঞ্চয়পত্র হিসেবে পরিচিত।

মূল্যমান কত

১০ হাজার টাকা, ২০ হাজার টাকা, ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকা এবং ১০ লাখ টাকা।

কোথায় পাওয়া যায়

জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখাসমূহ, বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ এবং ডাকঘর থেকে কেনার পাশাপাশি নগদায়ন করা যায়।

মেয়াদ

পাঁচ বছর

মুনাফার হার

১ জুলাই থেকে সরকার সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমিয়েছে। যেমন পরিবার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পঞ্চম বছর শেষে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ।

মেয়াদ পূর্তির আগে নগদায়ন করলে কম হারে মুনাফা প্রাপ্য হবে এবং অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধিত হয়ে থাকলে তা মূল টাকা থেকে কর্তন করে সমন্বয়পূর্বক অবশিষ্ট মূল টাকা পরিশোধ করা হবে।

উৎসে কর

পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সর্বমোট বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ হারে এবং এর অধিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করা হয়।

কারা কিনতে পারবেন

তিন শ্রেণির বিনিয়োগকারী পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবে। এক. ১৮ ও তদূর্ধ্ব বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি নারী; দুই. যেকোনো বাংলাদেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ ও মহিলা); তিন. ৬৫ ও তদূর্ধ্ব বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি (পুরুষ ও মহিলা) নাগরিক।

ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমা

একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) লাখ টাকা।

অন্য সুবিধা

পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনায় কিছু সুবিধা আছে। যেমন মাসিক ভিত্তিতে মুনাফা পাওয়া যায়; নমিনি নিয়োগ বা পরিবর্তন ও বাতিল করা যায়; সঞ্চয়পত্রের ক্রেতার মৃত্যুর পর নমিনি সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করে টাকা উত্তোলন করতে পারেন অথবা মেয়াদ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত যথারীতি মাসে মাসে মুনাফা উত্তোলন করতে পারেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারীদের সেরা সঞ্চয়; পরিবার সঞ্চয়পত্রে মুনাফা কত, কীভাবে কিনবেন