লাহোরে দুইশ’র উইকেট, ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন লিটনরা?
Published: 30th, May 2025 GMT
ক্রিজে তখন বিভ্রান্ত্র ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। ব্যাট চালাতে পারছেন না, আবার আউটও হচ্ছেন না! তাঁর ব্যাটিং দেখে উইকেটের পেছনে থাকা মোহাম্মদ হারিসের টিপ্পনি– ‘মারতে পারছে না... ক্লান্ত হয়ে গেছে...’।
স্টাম্পের নিচের মাইক্রোফোনে পাকিস্তান উইকেট কিপারের এ কথা স্পষ্ট শোনা যায় ব্রডকাস্টে। সেই ওভারেই খুশদিলের বলে হৃদয় এলবিডব্লিউ। দল যেখানে ২০২ রানের লক্ষ্যে নেমেছে, সেখানে হৃদয়ের ৭৭.
লাহোরের এ মাঠেই পিএসএলের ফাইনালে দুইশর বেশি রান তাড়া করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কালান্দার্স। বুধবার পাকিস্তান দলও শুরুতে ধাক্কা খেয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১ রান তুলেছে, সেখানে বাংলাদেশ কিনা ১৬৪ রানে অলআউট। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে এসেছিলেন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। তাঁর কাছে পাকিস্তান সাংবাদিকরা জানতে চান বাংলাদেশের এই দলের কি দুইশ রান করার সামর্থ্য আছে?
উত্তরে মুশতাক, ‘অবশ্যই আছে। কৌশলগতভাবে আমরা এখানে কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম। এর মানে এই নয় যে আমাদের ব্যাটারদের সামর্থ্য নেই ২০০ রান করার।’
অধিনায়ক লিটন দাসও ম্যাচ শেষে একই ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন। তিনিও উত্তর দিয়েছেন একই সুরে। ‘আমি নিশ্চিত এই মাঠে ২০০ রান তাড়া করা সম্ভব। মাঠটা খুবই গতিময়, উইকেটও ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো। তবে এদিন আমরা ভালো ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং করতে পারিনি। তবে আমাদের শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এখনও দুটি ম্যাচ বাকি আছে।’ সিরিজ বাঁচাতে আজ দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে নামছেন তারা।
তবে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচ জিততে হলে যে দুইশ রান মাথায় রাখতে হয়, তা সদ্য সমাপ্ত পিএসএলেই প্রমাণ হয়ে গেছে। পাকিস্তানের এই টি২০ ফ্রাঞ্চাইজি লিগে ছয় ম্যাচে দুইশর বেশি রান হয়েছে। তাই এখানে এসে তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিং স্টাইল চলে না। পাওয়ার প্লের ৪.৩ ওভারে চার নম্বরে নামেন তিনি। বিদায় নেন ১২.৪ ওভারে খুশদিলের বলে । ইনিংসের গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ের মধ্যে ২২ বল খেলে রান করেছেন মাত্র ১৭! তাতে ছিল একটি বাউন্ডারি। তাঁর মতো লিটনও শুরুটা দেখেশুনে এগোচ্ছিলেন। একসময় ১১ রান ছিল তাঁর ১২ বলে, আট ওভার থেকেই মারতে শুরু করেন তিনি।
সাদাব খানের বলে তিন-তিনটি ছক্কা হাঁকান। ৩০ বলে ১৬০ স্ট্রাইক রেটে ৪৮ রানে শেষ হয় তাঁর ইনিংস। হাফসেঞ্চুরির জন্য দুটো সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টা তিনি করেননি। জাকের আলী ১৮০ স্ট্রাইক রেটে ২০ বলে ৩৬ রান করেন। বাকিরা কেউই দুইশ রান তাড়া করার গতিতে ছিলেন না। ‘আপনি যখন দুইশ রান তাড়া করছেন, তখন চাইবেন না যাতে ওভারপ্রতি আস্কিং রেট ১৩ রানের বেশি হয়ে যায়। লিটন যখন শুরু করে মনে হয়েছে আমাদের পক্ষে ছিল। তবে ১৩-১৪ রান রেট অনেক বেশি। কোচ হিসেবে আমাদের তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে যেন ব্যাটিংয়ে ইনটেন্টটা থাকে।’
মুশতাক আহমেদ মনে করিয়ে দেন ম্যাচে দলের দুই সেরা পেসার মুস্তাফিজ ও তাসকিন ছিলেন না। তবে এটাও স্বীকার করেন ডেথ ওভারে বাংলাদেশি বোলাররা ৪৩ রান দিয়েছেন। এখানেও শোধরানোর ব্যাপার আছে তাদের।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট ২০ স র জ র ন কর আম দ র উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে ডিআরএস কেন নেই, কারণ কি জয় শাহ
ফখর জামানের বিরুদ্ধে শরীফুল ইসলাম এলবিডব্লুর আবেদন করতেই আঙুল তুললেন আম্পায়ার। ফখর কিছুটা দ্বিধায়, আসলেই কি আউট! তবে সংশয় থাকলেও রিভিউ নেওয়ার সুযোগ ছিল না পাকিস্তান ওপেনারের। কারণ, এই ম্যাচে ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) নেই।
শুধু গতকালের ম্যাচটিতেই নয়, বাংলাদেশ-পাকিস্তান চলমান তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজেই ডিআরএস নেই। এমনকি কিছুদিন আগে শেষ হওয়া পিএসএলের শেষ দিকেও ডিআরএস ছিল না। পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহর কারণেই ডিআরএস নেই। যে প্রতিষ্ঠান ডিআরএস সেবা দিয়ে থাকে, তাদের পাকিস্তানে না যেতে চাপ দিয়েছেন ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের এই সাবেক সচিব।
গত মাসে শুরু হওয়া পিএসএলের প্রথম থেকেই ডিআরএস প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে। তবে চলতি মাসের প্রথম দিকে ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি হামলায় জড়ালে পিএসএল স্থগিত করা হয়। ওই সময় বিদেশি খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফের সদস্য ও সম্প্রচার ক্রুরা পাকিস্তান ছেড়ে যান। এক সপ্তাহ পর পিএসএল শুরু হলেও ডিআরএস প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা আর পাকিস্তানে ফেরেননি। ডিআরএস প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত বেশির ভাগ কর্মীই ছিলেন আবার ভারতীয়।
গত রোববার পিএসএল শেষ হওয়ার পর বুধবার শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের এই সিরিজেও ডিআরএস নেই। সামাটিভি অনলাইনে একটি সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহর চাপে পিএসএল ও বাংলাদেশ সিরিজে ডিআরএস প্রযুক্তি নেই।
আরও পড়ুন২০০ রান তাড়ায় এ কেমন ব্যাটিং বাংলাদেশের৪ ঘণ্টা আগেসূত্র জানিয়েছে, যে কোম্পানি ডিআরএস প্রযুক্তির হক-আই সরবরাহ করে, তাদের পাকিস্তানে না যেতে চাপ দেওয়া হয়েছে। পরে কোম্পানিটি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) তাদের অপারগতার কথা জানায়।
হক-আই কোম্পানি পাকিস্তানে নিরাপত্তা শঙ্কা জানানোর পর পিসিবির পক্ষ থেকে পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য থাকা প্রেসিডেনশিয়াল-মর্যাদার নিরাপত্তা হক-আই স্টাফদেরও দেওয়া হবে—এমন আশ্বাসেও তাঁরা রাজি হননি।
আরও পড়ুন‘পদত্যাগ’ করতে পারেন বিসিবি সভাপতি ফারুক১৫ ঘণ্টা আগে