ট্রেন্ট অ্যালেক্সজান্ডার আর্নাল্ডের সঙ্গে চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। বিবৃতিতে লস ব্লাঙ্কোসরা জানিয়েছে, আর্নাল্ডের সঙ্গে ৬ বছরের চুক্তি হয়েছে। ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত রিয়ালের জার্সিতে খেলবেন তিনি।

লিভারপুলও এক বিবৃতি দিয়ে আর্নাল্ডের রিয়ালে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তিনি ১ জুন থেকেই রিয়ালের ফুটবলার হিসেবে বিবেচিত হবেন।

আর্নাল্ডের সঙ্গে লিভারপুলের চুক্তি শেষ। ফ্রি এজেন্টে ২৬ বছর বয়সী ইংলিশম্যানকে দলে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে অল রেডসদের সঙ্গে ৩০ জুন পর্যন্ত চুক্তি ছিল তার। চুক্তি শেষের মাত্র এক মাস আগে দলে পাওয়ার জন্য লিভারপুলকে ১০ মিলিয়ন ইউরো বা প্রায় ১৩৮ কোটি টাকা দিতে হলো রিয়ালের।

ফ্রি এজেন্টের আর্নাল্ডের জন্য এতো অর্থ খরচের কারণও আছে। জুনে রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাব বিশ্বকাপ খেলবে। পুরো মৌসুমে ডিফেন্ডার সংকটে ভোগা লস ব্লাঙ্কোসরা একই সংকট নিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে যেতে চায় না। যে কারণে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের বোর্ড ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে পিছপা হয়নি।

আর্নাল্ড লিভারপুলের একাডেমি ফুটবলার। একাডেমি ও মূল দল মিলিয়ে প্রায় লিভারপুলের সঙ্গে ১৮ বছর সম্পর্ক তার। আর্নাল্ড ওই সম্পর্ক ছিন্ন করে রিয়ালে যোগ দিয়েছেন। লিভারপুলের হয়ে তিনি দুটি প্রিমিয়ার লিগ, একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। এছাড়া একটি ক্লাব বিশ্বকাপ, ইউরোপিয়ান কাপ, সুপার কাপ ও দুটি লিগ কাপ জিতেছেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল আর ন ল ড র

এছাড়াও পড়ুন:

উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী

আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।

রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’

বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ