ময়মনসিংহে ধসে পড়েছে গহুর মোল্লার ব্রিজ, যোগাযোগ বন্ধ
Published: 30th, May 2025 GMT
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আয়মন নদীর ওপর নির্মিত গহুর মোল্লার ব্রিজ শুক্রবার (৩০ মে) সকালে ধসে পড়েছে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও নদীতে পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই পাশের মাটি সরে গেলে ব্রিজটি ধসে পড়ে। ফলে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে দুইপাড়ের বাসিন্দাদের।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মুক্তাগাছা উপজেলার খেরুয়াজানী ইউনিয়নের পলশা ভিটিবাড়ী গ্রামের গহুর মোল্লার ব্রিজটি ২০০১ সালে আয়মন নদীর ওপর নির্মাণ করে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। সম্প্রতি ব্রিজটি সংরক্ষণ না করেই অপরিকল্পিতভাবে আয়মন নদী খনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে গোড়ার মাটি সরে গিয়ে ব্রিজটি নড়বড়ে অবস্থায় ছিল। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে ও নদীতে পানির স্রোত বৃদ্ধি পেলে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ব্রিজটি ধসে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম বলেন, “এই ব্রিজটি দিয়ে পলশার স্কুল ও মাদরাসায় যাতায়াত করে শিক্ষার্থীরা। আজ সকালে ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি।”
আরো পড়ুন:
আবরার ফাহাদের নামে সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন
শীতলক্ষ্যা তৃতীয় সেতুর সংযোগ সড়কে ভাঙন
তোতা মিয়া নামে অপর বাসিন্দা বলেন, “ব্রিজটি পলশা গহুর মোল্লার ব্রিজ নামে পরিচিত। অপরিকল্পিতভাবে আয়মন নদী খননের কারণে ব্রিজটি চোখের সামনে ভেঙে পড়তে দেখলাম। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।”
ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় পণ্য পরিবহণে আজ শুক্রবার সকাল থেকে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে আজহারুল ইসলাম বলেন, “কয়েক গ্রামের মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে আয়মন নদীর ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ব্রিজটির কারণে এই অঞ্চলের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই স্বাবলম্বী। হঠাৎ করে ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদের মাথায় হাত পড়েছে। দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।”
মুক্তাগাছা উপজেলা প্রকৌশলী মো.
ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আখলাক উল জামিল বলেন, “আমরা নদীটি খনন করার আগে উপজেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি ব্রিজ সংরক্ষণ করার জন্য। ব্রিজের দুইপাশে ৩০ মিটারের মধ্যে আমরা কোনো খনন কাজ করিনি। এখন যদি ব্রিজ ভেঙে পড়ে, তাহলে দায় কেন আমরা নেব।”
মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম বলেন, “ব্রিজটি ভেঙে গেছে বলে শুনেছি। ব্রিজটি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ভাবছি, কিন্তু টানা বৃষ্টিতে এখনো যেতে পারিনি। পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/মিলন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ ন র ম ণ কর ব র জট খনন ক উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে না নিম্নচাপ, ৪৮ ঘণ্টা থাকবে ভারী বৃষ্টি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে বলা হয়, এমন বৃষ্টি আরো দুই দিন থাকতে পারে। আগামী ১ তারিখের পর বৃষ্টির তীব্রতা কমে যাবে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আরো কিছুটা শক্তি অর্জন করতে পারে তবে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে না।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় এখনও বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের ফলে কোথাও কোথাও জলবদ্ধতা দেখা যেতে পারে।
এছাড়া, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আগামীকালও ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ভোরের দিকে বঙ্গোপসাগরের সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপের পরিণত হওয়ায় চার বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, এ নিম্নচাপটি সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ–পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ–পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এছাড়া, অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের আশঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা/ইভা