শিল্পী-নির্মাতা দ্বন্দ্বে কোনো পক্ষে নেই তামান্না
Published: 31st, May 2025 GMT
শোবিজ অঙ্গনের মানুষরা যখন বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন, তখন উভয় পক্ষে কেউ না কেউ পাশে দাঁড়িয়ে যান। কেউ আবার নীরব থাকা শ্রেয় মনে করেন। দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াও সেই দলের একজন, যিনি যে কোনো বিষয়ে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু এবার পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার ও বলিউড অভিনেত্রীর দীপিকা পাড়ুকোনের কথার লড়াইয়ে পক্ষপাত করতে দেখা গেল তামান্নাকে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও। যেটি দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘ছপাক’ সিনেমার প্রচারের মুহূর্তে ধারণ করা অর্থ্যাৎ ২০২০ সালের। যেখানে দেখা গেছে, ‘ছপাক’ নিয়ে সাংবাদিকরা দীপিকাকে প্রশ্ন করছেন, ‘এই ছবির প্রযোজক যেহেতু রণবীর, তাই পরিবারের অর্থ বিনিয়োগ হয়েছে। কথা শেষ হওয়ার আগেই দীপিকা বলে ওঠেন, স্বামী বিনিয়োগ করলেও এটা তাঁর নিজের কষ্টার্জিত টাকা।’
সেই ভিডিওটি নতুন করে ভাইরাল হয়েছে এবং যারা এত লাইক দিয়েছেন তাদের দলে আছেন অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নিজেও। যা দেখে নেটিজেনরা ধরে নিয়েছেন, বঙ্গা-দীপিকার বাগ্যুদ্ধে তামান্না আছেন অভিনেত্রীর পক্ষে। এ খবরের পাশাপাশি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় অনলাইন জানিয়েছে, শিল্পী-নির্মাতা দ্বন্দ্বে খানিকটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন এই তামান্না। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ইনস্টাগ্রাম কি দয়া করে বলে দিতে পারবে, কীভাবে নিজে থেকেই কোনো পোস্টে ‘লাইক’ পড়ে যেতে পারে! কারণ কিছু মানুষ এই নিয়ে রীতিমতো খবর তৈরি করে ফেলছে।’
একই পোস্টে অভিনেত্রী এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, শিল্পী-নির্মাতার দ্বন্দ্বে তিনি কোনো পক্ষ নেননি। তারপরও নেটিজেনদের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে অভিনেত্রী হিসেবে কোনো একটা পক্ষ নেওয়া উচিত ছিল তামান্নার। তবে কে কী বলছে, এ নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাচ্ছে না তামান্না।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।