জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে এক গভীর হতাশা ও বিপন্ন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জনগণের দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ, অসন্তোষ এবং পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা থেকে যে অভ্যুত্থান ঘটেছিল, তার মূল সুর ছিল– মুক্তি, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং একটি বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা। অথচ মাত্র দশ মাসের ব্যবধানে সেই স্বপ্ন আজ দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। 

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে যেসব সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে– বিশেষ করে মাজার ভাঙা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ, নারীর প্রতি প্রকাশ্য ঘৃণা ও সহিংসতা– সেগুলোর একটি ঘটনাও বিচারের মুখোমুখি হয়নি। এর মধ্য দিয়ে এক অশুভ বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে সমাজে– অপরাধীরা রেহাই পাচ্ছে, কারণ তারা শাসকগোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ। ঘটনা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, এসব অপরাধে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত গোষ্ঠীগুলোর মূল হোতারা জামায়াত-শিবির কিংবা এনসিপিসংশ্লিষ্ট। কখনও ছদ্মনামে ‘তৌহিদি জনতা’ বা ‘অমুক ঐক্য মঞ্চ’, আবার কখনও নীরব রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়ে পরিচালিত নানা গোষ্ঠী এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছে। তা না হলে অপরাধীরা বিচারের আওতায় আসবে না কেন?

এসব অপরাধের বিচারহীনতাই প্রমাণ করে যে, এগুলো শুধু কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং বিশেষ মহলের পৃষ্ঠপোষকতায় সংগঠিত। যে রাষ্ট্র সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, মৌলবাদী শক্তির হাতে নিরপরাধ জনগণকে তুলে দিচ্ছে পরোক্ষভাবে, সেই রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপ পুরোপুরি ব্যর্থ; বরং তা চলছে বিপরীত দিকে। 
শুধু বিচারহীনতা নয়, বরং এসব গোষ্ঠীকে সরকার প্রকাশ্যেই আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। ন্যূনতম মানবিক বিবেচনাতেও প্রশ্ন জাগে: কেন এই মৌলবাদী ও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে এমন আপস? এই সরকার তো ছিল সবার সমর্থনপুষ্ট নির্দলীয় সরকার– যেখানে সব রাজনৈতিক দল তাকে সমর্থন দিয়েছে বিনাবাক্যে।

মানুষ চেয়েছিল দুর্নীতিমুক্ত একটি সমাজ– যেখানে নারীর অধিকার, সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। কিন্তু ক্ষমতায় বসার পরপরই সরকারের একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে চমকে দিয়েছেন দেশবাসীকে। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মুক্তি, যুদ্ধাপরাধীদের জামিন বা ক্ষমা, ধর্মীয় গোঁড়ামিকে প্রকাশ্য প্রশ্রয়– এসব সিদ্ধান্তে স্পষ্ট যে সরকার কোন দিকে যাচ্ছে। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কারামুক্তির ঘটনা, মন্ত্রণালয় বিভিন্ন স্তরে নিয়োগ কিংবা এনসিপি-জামায়াত নেতাদের একসঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ– এসবই স্পষ্ট বার্তা দেয় যে কারা সরকার পরিচালনায় প্রভাব রাখছে।  
আরও উদ্বেগজনক হলো এনসিপি নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ। দলীয় তহবিলের অপব্যবহার, প্রভাব খাটিয়ে সরকারি প্রকল্প হাতিয়ে নেওয়া– এসব অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে এসেছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো তদন্ত শুরু হয়েছে কিনা, তা অজানা। 

অথচ এই সরকার গণআকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে ক্ষমতায় এসেছিল। জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করে, তাদের রক্ত, ঘাম, ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত সুযোগকে নিজের দল ও মতাদর্শ বিস্তারের কাজে লাগানো হাজার হাজার শহীদদের প্রতি এবং আহত পরিবারের প্রতি বিশ্বাসভঙ্গের উদাহরণ। 

তবে অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে একমাত্র গ্রহণযোগ্য পথ হলো: একটি নিরপেক্ষ, অবাধ ও আন্তর্জাতিকভাবে পর্যবেক্ষিত নির্বাচন আয়োজন। যতই কৌশলের রাজনীতি খেলতে চাওয়া হোক, গণমানুষের চেতনা আজ অনেক বেশি সংবেদনশীল। তাদের বিশ্বাসভঙ্গ হয়েছে, তাদের চোখ খুলে গেছে। তাই ক্ষমতা ধরে রাখার যতই চেষ্টা হোক, সেটি দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
একটি রাজনৈতিক সরকারের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নিশ্চিত করা। কিন্তু এই সরকার বরং সেই ইচ্ছাকে বিকৃত করেছে। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে যে রাজনৈতিক ধারা চালু হয়েছে, তা মুক্তিযুদ্ধের অর্জন, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং গণতান্ত্রিক আদর্শের বিরোধী। নারীর অগ্রযাত্রার জায়গায় এসেছে অবদমন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জায়গায় এসেছে ভয়, আর সহনশীলতার জায়গায় এসেছে উগ্রতা।

এত সব সত্ত্বেও বর্তমান সরকার এখনও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে চাইছে। না। কারণ কি এই যে, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণ জামায়াত-এনসিপিকে সমর্থন করবে না। সেজন্যই কি সময়ক্ষেপণ চলছে। কিন্তু এবার দেশের মানুষও সম্ভবত জানে, স্বাধীনতার পর এই নির্বাচন হতে যাচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বন্দোবস্ত।
তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণ কার্যত ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তাই এবার নির্বাচন কেবল রাজনৈতিক ক্ষমতার হস্তান্তরের প্রশ্ন নয়, এটি একটি জাতীয় পুনর্জাগরণের প্রশ্ন। একটি অবাধ, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ নির্বাচনই হবে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংস্কার। এটিই হবে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একমাত্র পথ।
বস্তুত ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক কাঠামো প্রতিষ্ঠা এবং সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। আর এই জাতির আত্মত্যাগ, সংগ্রাম এবং বিবেক বারবার প্রমাণ করেছে– যেখানে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়ে, সেখানেই উঠে দাঁড়ায় এক অপ্রতিরোধ্য জনতার শক্তি। 

 আহমেদ স্বপন মাহমুদ: কবি ও মানবাধিকারকর্মী

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত র জন ত ক সরক র র প রক শ অপর ধ ক ষমত এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে অস্থিরতা: চোখ বুজে থাকবেন না

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকায় সাধারণ রোগীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ স্পষ্ট। বিশেষায়িত এ হাসপাতালটি যেখানে ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা দিয়ে আসছে, সেখানে পাঁচ দিন ধরে সেবা বন্ধ থাকার ঘটনা বিরল ও বিস্ময়কর। এ পরিস্থিতি উদ্ভবের কারণ হাসপাতালটির চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সংঘর্ষের ঘটনা। স্বাস্থ্য প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি উঠে এসেছে, যেখানে সেবা কবে চালু হবে সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই। প্রশ্ন হলো, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সম্পর্ক মারামারির পর্যায়ে গেল কীভাবে? 

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ক্ষোভ থাকা অস্বাভাবিক নয়। কারণ তাদের সব দাবি-দাওয়া এখনও পূরণ হয়নি। চিকিৎসাসহ সামগ্রিক বিষয় আহতদের সংক্ষুব্ধ হওয়ার বিষয়টি বড় আকারে সামনে আসে গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝিতে। ওই সময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে ক্ষোভের শিকার হয়েছিলেন। গভীর রাতে তখন চার উপদেষ্টার আশ্বাসে আহতরা হাসতালে ফিরে গিয়েছিলেন। এর পর আহতরা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন। সেখানেও তাদের দাবি পূরণে আশ্বাস দেওয়া হয়। এর পর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৫৫ জনের মধ্যে ৪ জন বিষপান করেন ২৫ মে। জরুরি চিকিৎসা দিয়ে তাদের শঙ্কামুক্ত করা হলেও আহতদের ক্ষোভ যে কমেনি, ২৮ মে চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মচারীদের মধ্যকার সংঘর্ষই তার প্রমাণ।

চিকিৎসকরা নিশ্চয় তাদের সাধ্যের মধ্যে চিকিৎসা দিচ্ছেন। কিন্তু বাকি সুযোগ-সুবিধা তো তাদের হাতে নেই। এখানে আহত ও চিকিৎসকদের মাঝখানে কাউকে থাকতে হবে, যারা সরকারের সঙ্গে মধ্যস্থতা করবেন। আহত কোনো চিকিৎসক থাকলে তাদের দিয়ে এটি সহজেই করা যেত। আমরা দেখেছি, মুক্তিযুদ্ধের পর যারা আহত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তাদের চিকিৎসা নিয়েও এক ধরনের সংকট দেখা দিলে তাদের জন্য আলাদা একটা হাসপাতালই তৈরি করা হয়। সেটাই আজকের পঙ্গু হাসপাতাল নামে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর)। তখন মুক্তিযুদ্ধে আহত চিকিৎসক কিংবা শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখনও মধ্যস্থতায় সেভাবে দায়িত্ব দিতে পারলে হয়তো পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সহজ। আহত ও চিকিৎসকদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব তো কোনো সমাধান নয়। বরং সমস্যা যে বেড়েছে– চক্ষু হাসপাতাল বন্ধের ঘটনাই তার প্রমাণ।

এ সমস্যা যে কেবল চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে হচ্ছে, তা নয়। বরং নিটোর, নিউরোসায়েন্সেসসহ অন্য হাসপাতাল, যেখানেই আহতরা আছেন, সেখানেই সমস্যা হচ্ছে। নভেম্বরে যখন আহতরা প্রথম বিক্ষোভ করেছিলেন, তখনই আমি সমকালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছি, গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় আলাদা দপ্তর গঠন জরুরি। অর্থাৎ যাতে তারা সবকিছুর ‘ওয়ানস্টপ’ সমাধান পান। কারণ সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক ধরনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থাকে। ফলে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম অস্থায়ী কর্তৃপক্ষ করলে পরিবর্তন আসতে পারত। পরে শুনেছিলাম, আহতদের জন্য ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ বর্তমানে যেটি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সেখানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা এমনই ছিল। এটা জরুরি ছিল। যেহেতু ‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি’ হাসপাতাল, সেখানে সব ধরনের চিকিৎসাই একসঙ্গে পাওয়া সম্ভব হতো। আহতদের চিকিৎসা-পরবর্তী পুনর্বাসনে সেখানে ফিজিওথেরাপি যুক্ত হওয়ার কথাও বলা হয়। এর পরও কেন আহতদের চিকিৎসা সেখানে হলো না, আমরা জানি না। এ পরিকল্পনা কেন বাস্তবায়ন হলো না, তা জানা দরকার। সরকারই তো সেখানে অর্থায়ন করত। সব আহতকে সেখানে ট্রান্সফার করে চিকিৎসা ও সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করলে নিশ্চয় আজকের এ পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসকরা সেবা দেওয়াই বন্ধ করে দিয়েছেন। তার মানে, বিষয়টি আর সাধারণ পর্যায়ে নেই। তারা প্রয়োজনে অন্যত্র বদলি করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এমনকি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছেন অনেকে। এটাই প্রমাণ করে– তাদের মধ্যকার তিক্ততা কোন পর্যায়ে গেছে। অর্থাৎ তারা ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছেন। দু’পক্ষকে বসিয়ে এর সমাধানের পর্যায়ে আর বিষয়টি নেই। চিকিৎসকদের সেবা প্রদানের জন্য আস্থায় আনতে হলে এখন ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে বসতে হবে। তার আগে হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মচারীদের ক্ষোভের কারণগুলোর বিস্তারিত যেমন জানতে হবে, তেমনি জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দাবিগুলোও শুনতে হবে। যারা সমাধানের চেষ্টা করবেন তাদের উভয় পক্ষকেই আস্থায় আনতে হবে। শুধু প্রতিশ্রুতিতেই যেন তা সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং কার্যকরও জরুরি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন যদিও বলছে, অচলাবস্থা নিরসনে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিনিধি পাঠিয়েছে, যারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ অন্য সেবাদানকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। অতিদ্রুত এটি ফলপ্রসূ হওয়া দরকার। ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়ে চিকিৎসার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আর কার্যকর সমাধান হিসেবে আমি আহতদের বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েই চিকিৎসার কথা বলব।

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল যেহেতু চক্ষু চিকিৎসার সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতাল, সে জন্য সারাদেশ থেকেই রোগীরা এখানে সেবা নিতে আসেন। তাদের আর ফেরানো ঠিক হবে না। তাদের যদিও কাছের কোনো হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু চক্ষুর বিশেষায়িত সেবাগুলো সব হাসপাতালে সেভাবে নাও থাকতে পারে। এভাবে সেবা বন্ধ রাখা মন্দ নজির হয়ে থাকবে। সে জন্য সব পক্ষের আন্তরিকতার মাধ্যমে দ্রুত সমাধানে আসতেই হবে। যুদ্ধ অবস্থায়ও তো এভাবে বিশেষায়িত হাসপাতালের জরুরি সেবা বন্ধ থাকে না। তাহলে এই সময়ে কেন চোখ বুজে থাকা!

ডা. মুশতাক হোসেন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষায় জাতীয় ঐক্য এখন সময়ের দাবি’
  • চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে অস্থিরতা: চোখ বুজে থাকবেন না
  • নতুন নোটের ডিজাইন প্রকাশ
  • জাপার ওপর এত রোষ কেন?
  • ঢাবিকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবি শিক্ষকদের 
  • গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণকারীদের সঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে
  • বীরত্বের গল্প ও শোকগাঁথা সংরক্ষণের জন্য জুলাই জাদুঘরের প্রতিষ্ঠা: সংস্কৃতি উপদেষ্টা
  • চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট বন্ধ, অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ মন্ত্রণালয়ের
  • চক্ষু হাসপাতালে অচলাবস্থা কাটেনি