বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মানুষকে ঠেলে পাঠানো অব্যাহত রেখেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গত ২৩ দিনে তারা ১১৪৪ জনকে ঠেলে দিয়েছে। 

রবিবার (১ জুন) দুপুরে বিজিবি সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, গত ৭ মে থেকে খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৩২ জন, সিলেট সীমান্ত দিয়ে ১১৫ জন, মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৩৮০ জন, হবিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৪১ জন, সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৬ জন, কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ। 

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ফেনী সীমান্ত দিয়ে ৫২ জন, কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ৯৩ জন, লালমনিরহাট সীমান্ত দিয়ে ৮৫ জন, ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে ১৯ জন, পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে ৩২ জন, দিনাজপুর সীমান্ত দিয়ে ১৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৭ জন, কুষ্টিয়া সীমান্ত দিয়ে ৯ জন, মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ৩০ জন, চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ১৯ জন, ঝিনাইদহ সীমান্ত দিয়ে ৫২ জন এবং সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ২৩ জনকে ঠেলে দিয়েছে। ফলে সর্বমোট ১১৪৪ জনকে পুশইন করেছে ভারত।

আরো পড়ুন:

পরশুরাম সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে ভারতের খাল খনন, বিজিবির প্রতিবাদ

ফেনী সীমান্ত দিয়ে আরো ১৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে সীমান্ত দিয়ে ঠেলে দেওয়ায় বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি। ঠেলে দেওয়া রোধে বিজিবি সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

ঢাকা/এমআর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

রৌমারী সীমান্তে ফের ভারতীয় ড্রোন, আতঙ্কে স্থানীয়রা

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে পাঁচটি ড্রোন উড়িয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার (৩০ মে) রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী ও বারবান্দা সীমান্ত এলাকার আকাশের এক কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে এসব ড্রোন উড়ানো হয়। এ ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রৌমারী সদর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য ফিরোজ মিয়া। তিনি সমকালেকে বলেন, এর আগে গত মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা ১০৬৭-১-এর সাব-পিলার দিয়ে আসাম রাজ্যের ভারতীয় ১৪ জন নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন করে কাকড়িপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা। ওই সময় সীমান্তে ড্রোন উড়ায় বিএসএফ।

ইউপি সদস্য ফিরোজ মিয়া বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আবরও বাংলাদেশের বড়াইবাড়ী ও বারবান্দা এলাকার আকাশে ভারতের পাঁচটি ড্রোন উড়িয়েছিল বিএসএফ। তার ধারণা, বড়াইবাড়ী বিজিবি ক্যাম্পের ওপরও ড্রোনগুলো উড়িয়ে পর্যেকেক্ষণ করেছে বিএসএফ।

ফিরোজ মিয়া বলেন, ভারতের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কেনো বাংলাদেশের ওপর ভারত এরকম বৈরী আচরণ করছে। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে এর প্রতিকার চাই।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ড্রোনগুলো বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বড়াইবাড়ী ও বারবান্দা গ্রামের আকাশে টহল দেয়। এমনকি বড়াইবাড়ী বিজিবি ক্যাম্পের ওপর দিয়েও ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালানো হয়।

সীমান্ত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার সাড়ে রাত ৮টায় আমাদের গ্রামসহ বিজিবি ক্যাম্পের ওপর ড্রোন উড়িয়েছে বিএসএফ। এতে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে সীমান্তবর্তী সাধারণ মানুষের মধ্যে। ভারতের এসব ড্রোন উড়ানো বন্ধে সরকার পদক্ষেপ না নিলে সীমান্তের বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে ভারত।

তবে ঘটনাটি নিয়ে বড়াইবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আঞ্জু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে কারাগারে ৫ ভারতীয় 
  • সীমান্তে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ
  • কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
  • পরশুরাম সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে ভারতের খাল খনন, বিজিবির প্রতিবাদ
  • কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত
  • বিএসএফের পুশইন ঠেকাল মানবপ্রাচীর
  • কুষ্টিয়া সীমান্ত দিয়ে আরো ৯ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • কুষ্টিয়া সীমান্ত দিয়ে ৯ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • রৌমারী সীমান্তে ফের ভারতীয় ড্রোন, আতঙ্কে স্থানীয়রা