লক্ষ্মীপুরে মাদক কারবারিকে কুপিয়ে হত্যা
Published: 2nd, June 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে আজাদ হোসেন বাবলু ওরফে ফাইটার বাবলু নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত আজাদ মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ নিয়েই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
রবিবার (১ জুন) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী-হানিফ মিয়াজিরহাট সড়কের ভূঁইয়া পুকুর পাড়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
খবর পেয়ে সোমবার (২ জুন) সকালে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
নিহত বাবলু উত্তর জয়পুর এলাকার ভূঁইয়া বাড়ির মোস্তফা ভূঁইয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বাবলু মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। গত ১১ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পূর্ব চৌপল্লী গ্রামের বেপারি বাড়ি এলাকায় রুবেল হোসেন নামে এক মাদক কারবারিকে গুলি করার ঘটনার মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সম্প্রতি তিনি জামিনে বের হন। সেই মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তার বাম হাতের কব্জি কুপিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বুক ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফয়জুল আজীম বলেন, ‘‘কিছুদিন আগে একটি মামলায় থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। পরে বাবলু জামিনে বের হয়ে আসে। সে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে উপুর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করেছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/লিটন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ