ছিনতাইকারীদের লাঠির আঘাতে আহত পুলিশ কর্মকর্তা
Published: 3rd, June 2025 GMT
রাজশাহীতে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছেন রেজাউল করিম (৪৫) নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। তাদের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোরে রাজশাহীর মতিহার থানাধীন সায়েন্সল্যাব এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসআই রেজাউল করিম রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি ময়মনসিংহে তার বদলির আদেশ হয়েছে। তার পরিবার রাজশাহীতে থাকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোরে রেজাউল করিম ময়মনসিংহের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। মোটরসাইকেল নিয়ে তিনি সায়েন্সল্যাব এলাকায় পৌঁছালে একদল ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা লাঠি দিয়ে তার ডান হাঁটু ও ডান হাতে আঘাত করে।
স্থানীয়রা ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। তিনি ওই হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেছেন, “ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার পর মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এসআই রেজাউল করিমের ব্যাগ ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়েছেন। রেজাউল হাসপাতালে থাকায় বিস্তারিত জানতে পারিনি।”
তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি আবদুল মালেক।
ঢাকা/কেয়া/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুই জেলার সীমান্ত দিয়ে ৩০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ২২ জন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্ত দিয়ে আটজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল সোমবার গভীর রাত ও আজ মঙ্গলবার ভোরে তাঁদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাঁদের আটক করে হেফাজতে নেয়।
বিজিবি জানিয়েছে, নেত্রকোনার অধীন ৩১ বিজিবির আওতাধীন ধোবাউড়ার মুন্সিপাড়া সীমান্ত দিয়ে দিবাগত রাত তিনটার দিকে ভারতের রসনাই গিরি বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ১২ জনকে ঠেলে পাঠান। পরে বিজিবি তাঁদের আটক করে মুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়।
আটক করা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন শিশু, তিনজন নারী ও আটজন পুরুষ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা খুলনা বিভাগের বাসিন্দা। ২০০৪ সালে অবৈধভাবে ভারতের গুজরাট রাজ্যে গিয়ে বসবাস শুরু করেন তাঁরা।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে শরিফুল উল্লাহ নামের একজন বলেন, ২০০৪ সালে কাজের সন্ধানে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। গুজরাটে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন এবং সেখানে একটি মুরগির দোকানে কাজ করতেন। গত ২৪ মে ভারতের পুলিশ তাঁদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ তাঁদের সঙ্গে থাকা টাকা, মুঠোফোনসহ অন্যান্য জিনিস রেখে সীমান্তে এনে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়।
বিজিবির মুন্সিপাড়া ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার খাইরুল ইসলাম বলেন, রাতে বিএসএফ ১২ জনকে পুশইন করে। তাঁরা সবাই খুলনা বিভাগের নাগরিক। ২০০৪ সালে তাঁরা ভারতে গিয়েছিলেন। বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বিএসএফ তাঁদের পুশইন করেছে। বর্তমানে তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
অন্যদিকে হালুয়াঘাট উপজেলার সূর্যপুর সীমান্ত দিয়ে গতকাল রাত তিনটার দিকে ৯ নারী ও ১ শিশুকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। ময়মনসিংহ ৩৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ সানবীর হাসান মজুমদার বলেন, আটক হওয়া ১০ জনই বাংলাদেশি। তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তাঁরা বিভিন্ন সময়ে ভারতে গিয়েছিলেন। তাঁদেরও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চাঁনশিকারী সীমান্ত দিয়ে আটজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ ভোরে তাঁদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি ৫৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে বিএসএফ আটজনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়। এর মধ্যে চারজন নারী ও চারজন পুরুষ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলায়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, আটক ব্যক্তিরা বিজিবির চাঁনশিকারী সীমান্ত ফাঁড়িতে আছেন। তাঁদের ভোলাহাট থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।