জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত কেরানীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমদী মৌজায় থাকা অবশিষ্ট ১১ দশমিক ৪০ একর জমি আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা-২ এ জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো.

রেজাউল করিম এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে জমি হস্তান্তর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. আ. হালিম, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমীন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া, রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মোস্তফা হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, প্রধান প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল ২ জুন রাতে জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা-২ থেকে জমি হস্তান্তরের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে একনেকের এক সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২০০ একর জমিতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ঢাকা জেলা প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ১৮৮ দশমিক ৬০ একর জমি বুঝিয়ে দিয়েছিল। অবশিষ্ট ১১ দশমিক ৪০ একর জমি না পাওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। আজকের জমি হস্তান্তরের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় তার ২০০ একর জমি সম্পূর্ণ দখল লাভ করল।

জমি সম্পূর্ণ বুঝে পাওয়ার খবর পাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দ–উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ জমি পেল। আমরা আশা করি, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় প্রথম ধাপের কাজ দ্রুত শেষ হয়ে মেগা প্রকল্পও শুরু হবে।’

হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম রিফাত বলেন, ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আমাদের প্রাণের দাবি। দ্রুত বাস্তবায়ন হোক, যাতে পুরান ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ থেকে আমরা মুক্তি পাই।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইয়ের পাশে ভাই, বাংলাদেশের রক্ষণে ভালোবাসার দেয়াল

দুজনই ডিফেন্ডার। দুজনই গতকাল ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ২-০ গোলের জয়ের অংশীদার। এবারই প্রথম জাতীয় দলের জার্সিতে দুই ভাই একসঙ্গে খেলেছেন।

সাদ উদ্দিন জাতীয় দলে আছেন অনেক দিন ধরে। রক্ষণের বাঁ পাশে তাঁর জায়গা একরকম পাকা। আর তাজ উদ্দিন রক্ষণে ডান প্রান্তের নতুন যোদ্ধা—এই প্রথম জাতীয় দলের জার্সিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।

গতকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে রক্ষণভাগের দুই প্রান্তে খেললেন দুই ভাই, যা নিয়ে সাদের আনন্দের শেষ নেই। গতকালের ভাইয়ের খেলা নিয়ে সাদ আজ প্রথম আলোকে বললেন, ‘আমি তো জাতীয় দলে খেলছি অনেক দিন ধরে। কিন্তু তাজের সঙ্গে একই মাঠে, জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলব—স্বপ্ন ছিল। সেটা অবশেষে পূরণ হয়েছে। আর এতে আমার পরিবারও খুব খুশি।’

সাদের তিন বছরের ছোট তাজ এর আগে গত বছর ঢাকায় মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের ২৩ জনের স্কোয়াডে ছিলেন। কিন্তু খেলার সুযোগ মেলেনি। এ ছাড়া আরও দুবার জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন।

ক্লাব ফুটবলে সাদ উদ্দিন (বাঁয়ে) খেলেন বসুন্ধরা কিংসে, তাজ উদ্দিন খেলেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ