প্রস্তাবিত বাজেট জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। তারা বলছে, দেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে যে চরম বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা জারি রয়েছে তা অবসানের কোনো রূপরেখা প্রস্তাবিত এই বাজেটে দেখা যায় না।

মঙ্গলবার জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।  

গণ–অভ্যুত্থান বৈষম্যহীন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা জাগিয়েছিল উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কর্মসংস্থান, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প ও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিতে এসব খাতে অধিক বরাদ্দ বৃদ্ধি দরকার ছিল। মূলত অতীতের বাজেটের ধারাবাহিকতায় এই বাজেট করা হয়েছে। এই কাঠামো অতিক্রম করতে না পারার মূল কারণ শাসকগোষ্ঠীর পরিবর্তন হলেও শাসকশ্রেণির পরিবর্তন হয়নি।

৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ঋণনির্ভর নীতি অনুসরণ করেই করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বাজেটে অতীতের সরকারের মতোই কালোটাকাকে সাদা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। উৎপাদন খাতে দেশীয় বড় শিল্পের কাঁচামালের ওপরে ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে দেশের শিল্পবিকাশের গতি শ্লথ করা হয়েছে।

বাজেট প্রস্তাবের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া প্রয়োজন ছিল উল্লেখ করে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল আরও বলেছে, কেননা জাতীয় সংসদের অনুপস্থিতিতে যে বাজেট এখানে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা আরও জনস্বার্থ–সম্পর্কিত হতে পারত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক উন স ল প রস ত ব

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের কেনাকাটায় বেরিয়ে প্রাণ গেল মা-বাবা ও ছেলের

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী মা-বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার ভাটই বাজারের আশাননগর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- শৈলকুপা উপজেলার মাইলমারী গ্রামের মৃত বাবর আলী মন্ডলের ছেলে মোস্তফা হোসেন (৩৮), তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন ও ছেলে মাহিন হোসেন (৮)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে মোটরসাইকেলযোগে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে ঝিনাইদহ শহরে যাচ্ছিলেন মোস্তফা হোসেন। পথে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের আশাননগর নামক স্থানে পৌঁছালে কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহগামী একটি ট্রাক মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাহিন মারা যায়। স্থানীয়রা আহত স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদেরও মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে ট্রাকচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত

টঙ্গীর ফ্লাইওভারে ২ বাসের সংঘর্ষ আহত ২৫ 

নিহতদের স্বজন তোজাম্মেল হক তোজাম বলেন, ‘‘ঈদের কেনাকাটার উদ্দেশে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে ঝিনাইদহ শহরে যাচ্ছিলেন গোলাম মোস্তফা। কিন্তু, পথে দুর্ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেল।’’

শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান বলেন, ‘‘ট্রাকচাপায় নিহত তিন জনের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। ঘাতক ট্রাকটি আটকের চেষ্টা চলছে।’’

আরো পড়ুন: ঝিনাইদহে ট্রাকচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ