গ্রামের জমির বিনিময়ে খুলনা শহরে জমি কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তেরখাদা উপজেলার চরপাতলা গ্রামের মানুষদের কাছে টাকা নিয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল মোল্লা রহমত উল্লাহ। কয়েকজনের জমি নিজের ও স্ত্রীর নামে লিখেও নিয়েছেন। কিন্তু শহরে জমি কিনে না দিয়ে সেই টাকা নিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানায় বদলি হয়ে গেছেন তিনি। টাকা পেতে ওই পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। তারপরও টাকা আদায় করতে পারছেন না তারা।

আজ বুধবার খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন তেরখাদা উপজেলার চরপাতলা গ্রামের ফিরোজা বেগম। এ সময় তার সঙ্গে আরও দু’জন ভুক্তভোগী উপস্থিত ছিলেন। 

অভিযুক্ত মোল্লা রহমত উল্লাহ (কং/১৮৫১) দীর্ঘদিন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় জমি কেনাবেচার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি কেরানীগঞ্জ থানার কলাটিয়া ফাঁড়িতে কর্মরত। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে পরিচয়ের বিষয়টি স্বীকার করলেও অর্থ লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আবু তালেব মোড়ল জানান, চাকরির পাশাপাশি মোল্লা রহমত উল্লাহ জমি কেনাবেচার কাজ করতেন। গ্রামের জমির পরিবর্তে খুলনার ডুমুরিয়া থানার চক আহসান খালী মৌজায় তার স্ত্রীর নামে থাকা ২ দশমিক ০১ একর জমি কেনার জন্য আমাদের প্রস্তাব দেন রহমত। জমি কিনতে কয়েকটি ধাপে ৩৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা নেন এবং চরপাতলা গ্রামের বাড়িতে থাকা আমার ২ বিঘা জমিও মোল্লা রহমত উল্লাহ এবং তার স্ত্রী সুচরিতার নামে লিখে নেন। কিছুদিন পরে আমরা জানতে পারি চক আহসান খালী মৌজায় তার কোনো জমি নেই। 

তিনি আরও বলেন, একইভাবে আমার বৌমা আকাশী খাতুনকে খুলনা নগরীতে জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে ১২ লাখ ৩ হাজার টাকা নিয়েছে। তাকেও চক আহসান খালী মৌজায় দশ শতক জমি কিনে দেওয়ার কথা ছিল। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গতবছর খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে সিআর ২৮৯/২৪ মামলা দায়ের করি। মামলা তুলে নিতে সে আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে আমাদের হুমকি দিতেন।

এ ব্যাপারে পুলিশ কনস্টেবল মোল্লা রহমত উল্লাহ বলেন, ‘আবু তালেব ও ফিরোজা বেগম আমার কাছে তাদের জমি বিক্রির প্রস্তাব দেন। দাম কম দেখে কিছু জমি আমার এবং কিছু স্ত্রীর নামে কিনি। সড়কের পাশের জমি দাম এখন কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এখন তারা জমি ফেরত চাইছেন। জমি ফেরত না দেওয়ায় তারা মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাকসুতে হল সংসদ নির্বাচনে ৩৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ৩৯ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে মেয়েদের ৬টি হলে ৩৬ জন এবং ছেলেদের ১টি হলে ৩ জন রয়েছেন। এছাড়া, মেয়েদের ৪টি হলে ১টি করে পদে কেউ মনোনয়ন উত্তোলন না করায় পদগুলো ফাঁকা থাকছে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রফেসর ড. মো. সেতাউর রহমান এ তথ্য জানান। 

আরো পড়ুন:

রাকসু: ম্যানুয়াল ভোট গণনাসহ ১২ দাবি ছাত্রদলসহ ২ প্যানেলের

রাকসু নির্বাচন: শেষ দিনে ছাত্রদল নেতার প্রার্থিতা প্রত্যাহার

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের মধ্যে বিজয়-২৪ হলে ৩ জন, মন্নুজান হলে ১ জন, রোকেয়া হলে ৬ জন, তাপসী রাবেয়া হলে ৩ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ১০ জন, রহমতুন্নেসা হলে ৯ জন এবং জুলাই-৩৬ হলে ৭ জন রয়েছেন।

এছাড়া, বেগম খালেদা জিয়া হলে সহকারী বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে একজন এবং রোকেয়া, জুলাই-৩৬ ও রহমতুন্নেসা হলে নির্বাহী সদস্য পদে ১টি করে ৩টিসহ মোট ৪টি পদে কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। ফলে, পদগুলো ফাঁকা থাকবে।

‎পদ ফাঁকা থাকার বিষয়ে রাকসু, হল ছাত্র সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রফেসর ড. মো. সেতাউর রহমান বলেন, “যে পদগুলো ফাঁকা আছে, সেগুলো ছাড়াই হল সংসদ চলবে। অন্য কোনোভাবে সেগুলো পূরণ করার উপায় নেই।”

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ৯০৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীদের মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৪৮ জন, সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ৫৮ জন ও ১৭টি আবাসিক হলে ৫৯৭ জন রয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সংসদে সহ-সভাপতি ভিপি পদে ১৮ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৩ জন, সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া, ১৭টি আবাসিক হলে ভিপি পদে ৬১, জিএস পদে ৫৮ জন ও এজিএস পদে ৫৭ জন রয়েছেন। ‎এদের মধ্যে মেয়েদের ৬টি আবাসিক হলে ভিপি পদে ১৬ জন, জিএস পদেও ১৬ জন ও এজিএস পদে ১৫ জন লড়ছেন।

ঢাকা/ফাহিম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাকসুতে হল সংসদ নির্বাচনে ৩৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত