কয়েক মাস ধরে গুঞ্জন উঠেছে আরবাজ খান ও সুরা খান তাদের প্রথম সন্তানের অপেক্ষায় রয়েছেন- বেশ কিছু ভারতীয় গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি মুম্বাইয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে পাপারাজ্জিদের সামনে পড়ে যান আরবাজ। তখনই তাকে প্রশ্ন করা হয়, ঘরে কি নতুন অতিথি আসছে? প্রকাশ্যে সে কথা স্বীকার না করলেও দৃশ্যত লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছিলেন আরবাজ খান। যেন বুঝিয়ে দিলেন, খবরের সত্যতা আছে।

বুধবার রাতে আরবাজ খানকে স্ত্রী সুরার সঙ্গে একটি রেস্তরাঁয় দেখা গিয়েছিল। ডিনারের পর আরবাজ ও সুরা যখন পাপারাজ্জিদের জন্য পোজ দিচ্ছিলেন, তখন ফটোগ্রাফাররা আরবাজকে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন, জবাবে তিনি দৃশ্যত লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছিলেন। এদিকে সুরা শুধু আরবাজের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসেন। যদিও সত্যিই তিনি বাবা হচ্ছেন কি না, সেটা নিশ্চিত করেননি। তবে আলোকচিত্রীদের অভিনন্দনের প্রতিক্রিয়া মুচকি হাসিকে অনেকেই সম্মতি হিসেবে দেখছেন। অন্তর্জালে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে এক ভক্ত মন্তব্য করেছেন, ‘মনে হচ্ছে সত্যিই তিনি বাবা হতে চলেছেন’।

আরবাজ ও সুরা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে করেন। এর আগে এই অভিনেতা ও প্রযোজক মালাইকা অরোরাকে বিয়ে করেছিলেন। ২০১৭ সালে তাদের বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত হয়। ৫৭ বছর বয়সী আরবাজকে এখন আর খুব বেশি সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায় না। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আরব জ

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ