পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছুটি শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। কোরবানির পশুর হাটগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে ক্রেতার ভিড়। বেড়েছে বেচাকেনাও। হাট ইজারা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এবার হাটে পর্যাপ্ত গরু উঠেছে, তবে বড় গরুর বিক্রি কম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, দলে দলে ক্রেতারা হাটে আসছেন। কারও কারও সঙ্গে পরিবারের নারী ও শিশু সদস্যরাও রয়েছেন।
কথা হয় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের গরু ব্যবসায়ী মফিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, ৪ মাস আগে গরু কিনে মোটাতাজা করেছেন নিজের খামারে। বড় গরু দুইটির মাংস হবে ৭–৮ মণ। দাম হাকিয়েছেন ৪ লাখ টাকা। তবে দুই লাখ টাকা হলে বিক্রি করবেন তিনি। মঙ্গলবার হাটে গরু আনলে ছোট আর মাঝারি সব গরু বিক্রি হয়ে গেছে। এখন চিন্তা তার বড় দুই গরু নিয়ে।
মফিদুল হক বলেন, ছোট আর মাঝারি গরু বিক্রি হইছে। বড় দুই গরু বাড়িতে নিয়ে গেলেও লস। তাই বাধ্য হয়ে বিক্রি করতে হবে। এই হাটে আসি চার বছর, এর আগে বড় গরু অনেক ওজনের চেয়েও বেশি দাম দিয়ে নিতেন। এবার মনে হচ্ছে টাকাওয়ালারা দেশে নাই। আবার অনেকে ভয়ে বেশি টাকা দিয়ে গরু কিনছেন না।
গাইবান্দার সুন্দরগঞ্জ থেকে ১০টি খাসি এসেছেন জাহাঙ্গীর আলম। এর মধ্যে দুইটি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। সবচেয়ে ছোট খাসির দাম চাচ্ছেন ১৫ হাজার টাকা। বড় ২৫ কেজি ওজনের খাসিটি ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।
হাটের ইজারাদার আনিসুর রহমান টিপু সমকালকে বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত থেকেই হাট জমে উঠেছে। ছোট–বড়–মাঝারি সব ধরনের গরু ১–২ লাখ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। হাটে ছাগলও এসেছে পর্যাপ্ত। চাঁদ রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে।
পাশের কমলাপুর পশুর হাটটি সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার থেকে আশেপাশের এলাকা ছাড়িয়ে গেছে। আরেকদিকে মুগদা বিশ্বরোড থেকে গোপীবাগ পর্যন্ত সড়কের দুইপাশে সারি সারি গরু। এই হাটে চুয়াডাঙ্গা থেকে সোমবার আটটি গরু এনেছেন তানভীর হাসান। এর মধ্যে চারটি গরু ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। বাকি চারটি গরুর দাম হাকিয়েছেন ১০ লাখ টাকা। তবে ৬ লাখ টাকা হলে বিক্রি করবেন। প্রত্যেকটি গরুর ৫–৭ মণ মাংস হবে বলে জানান তিনি।
লালবাগের রহমতগঞ্জ ফ্রেন্ডস সোসাইটি হাটের ইজারাদার টিপু সুলতান সমকালকে বলেন, ‘হাটে গরু ছাগল বিক্রি শুরু হয়েছে। মাঝারি সাইজের গরুর বিক্রি বেশি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গর
এছাড়াও পড়ুন:
আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।
ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫