স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) কাছ থেকে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) কিনে ব্যবসা করে মেসার্স সাগরিকা এজেন্সি নামের একটি পরিবেশক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির বিস্ফোরক পরিদপ্তর থেকে নেওয়া লাইসেন্সের মেয়াদ পাঁচ বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। নিয়ম অনুযায়ী, মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সধারী পরিবেশকের কাছে গ্যাস সরবরাহ করার সুযোগ নেই। কিন্তু এসএওসিএলের এলপিজি বিভাগের কর্মকর্তারা সেই নিয়ম মানেননি।

প্রথম আলোর অনুসন্ধান এবং এসএওসিএলের অভ্যন্তরীণ তদন্তে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে সাগরিকার নামে খালাস হয়েছে ৩০ হাজার কেজি গ্যাস।

একই ধরনের অনিয়ম হয়েছে মেসার্স ডিভি গ্যাস সাপ্লাই নামের আরেক পরিবেশকের ক্ষেত্রেও। এ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এরপরও তাদের নামে খালাস হয়েছে ১৩ হাজার ৬২৫ কেজি এলপিজি গ্যাস। অর্থাৎ দুই প্রতিষ্ঠানের নামে খালাস হয়েছে ৪৩ হাজার ৮১৩ কেজি গ্যাস।

এসএওসিএলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব গ্যাস সরবরাহ করেছেন প্রতিষ্ঠান দুটির মালিকদের অজান্তেই। এসএওসিএল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। ১৯৬৫ সালে এটি যাত্রা শুরু করে। শুরুতে এখানে যানবাহনের ইঞ্জিন অয়েল উৎপাদিত হতো। পরে বিটুমিন, এলপিজি, ফার্নেস তেল ও ডিজেল বিপণনের দায়িত্বও দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটিকে।

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রথম আলোর শেষ পাতায় ‘পরিবেশক জানেন না, তাঁদের নামে খালাস হয় এলপি গ্যাস’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর এসএওসিএল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। গত ২২ মে কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। সেখানে প্রথম আলোর প্রতিবেদনের তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সধারী দুই প্রতিষ্ঠানের নামে সিলিন্ডার খালাসে অর্থের লেনদেন হয়েছে। ফলে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত করা উচিত। পাশাপাশি কোম্পানির আরও কেউ জড়িত ছিলেন কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা উচিত।আখতার কবির চৌধুরী, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) চট্টগ্রামের সম্পাদক

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাগরিকা এজেন্সির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এরপর ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের নামে ১০৬টি ইনভয়েসের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় ২ হাজার ৪১৫টি এলপিজি-ভর্তি সিলিন্ডার। প্রতিটি সিলিন্ডারে গ্যাসের পরিমাণ ছিল সাড়ে ১২ কেজি। সব মিলিয়ে সরবরাহ করা হয় ৩০ হাজার ১৮৭ কেজি গ্যাস।

অন্যদিকে ডিভি গ্যাস সাপ্লাইয়ের নামে ৫০টি ইনভয়েসের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় ১ হাজার ৯০টি সিলিন্ডার, যার পরিমাণ ১৩ হাজার ৬২৫ কেজি গ্যাস।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে কোম্পানির এলপিজি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইনভয়েস অনুমোদনের ঘরে স্বাক্ষর করেছেন। কিছু ইনভয়েসে আবার কোনো স্বাক্ষরই ছিল না। এমনও দেখা গেছে, কর্মকর্তার উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও ইনভয়েসে স্বাক্ষর করেছেন একজন কর্মচারী।

তদন্ত প্রতিবেদনে ছয়টি ইনভয়েস নম্বর ও অনুমোদনকারীর তথ্য নমুনা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি খালাস হওয়া ইনভয়েস নম্বর ১০৭৩-এর অনুমোদন দেন এসএওসিএলের সহকারী ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) আবদুস সালাম মীর। একই দিনে ইনভয়েস নম্বর ১০৭৬-এর অনুমোদন দেন কোম্পানির কর্মচারী হযরত আলী। ওই বছরের ৩০ এপ্রিল ২২৪৫ নম্বরের একটি ইনভয়েস অনুমোদন করেন কনিষ্ঠ বিক্রয় সহকারী কায়ছার হামিদ।

এসএওসিএলের দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সধারী পরিবেশকের নামে গ্যাস সরবরাহ করার কোনো নিয়ম নেই। কিন্তু এ নিয়ম ভেঙে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। তবে যাঁদের নামে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে, সেই পরিবেশকেরা এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না। ওই দুই কর্মকর্তা বলেন, এলপিজি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৎকালীন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পছন্দের পরিবেশককে সুবিধা দিতে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে এই অনিয়ম করেছেন।

মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সধারী পরিবেশকের নামে গ্যাস সরবরাহ করার কোনো নিয়ম নেই। কিন্তু এ নিয়ম ভেঙে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। তবে যাঁদের নামে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে, সেই পরিবেশকেরা এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না।

ঘটনার পর সহকারী ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) আবদুস সালাম মীরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত কমিটির কাছে কোনো বক্তব্য দেননি আবদুস সালাম মীর। একই বিষয়ে জানতে গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এই প্রতিবেদক আবদুস সালাম মীরকে ফোন করেন। তিনি পরিচয় জানার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসএওসিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসী মাসুম প্রথম আলোকে বলেন, কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন তিনি পেয়েছেন। কোম্পানির বোর্ডের পরামর্শে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।

গ্যাস সিলিন্ডার খালাসের এই অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) চট্টগ্রামের সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সধারী দুই প্রতিষ্ঠানের নামে সিলিন্ডার খালাসে অর্থের লেনদেন হয়েছে। ফলে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত করা উচিত। পাশাপাশি কোম্পানির আরও কেউ জড়িত ছিলেন কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা উচিত।

আরও পড়ুনপরিবেশক জানেন না, তাঁদের নামে খালাস হয় এলপি গ্যাস০৮ ডিসেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ স স ল ম ম র প রথম আল কর মকর ত ড স ম বর খ ল স হয় ব যবস থ র তদন ত কর ছ ন এলপ জ

এছাড়াও পড়ুন:

৭৭ মেট্রিক টন চাল তুলে নিয়েছেন ডিলার, উপকারভোগীরা জানেন ‘বরাদ্দ হয়নি’

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় গত জুলাই মাসে ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশের (টিসিবি) উপকারভোগীদের জন্য ৭৭ দশমিক ৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছিল। প্রক্রিয়া অনুযায়ী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ চাল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) একজন ডিলার (পরিবেশক) তুলেও নেন। তবে ওই মাসে টিসিবির অন্য পণ্য পেলেও চাল পাননি বলে অভিযোগ করেছেন উপকারভোগীরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মহম্মদপুরের ৮ ইউনিয়নে টিসিবির উপকারভোগী কার্ডধারী আছেন ১৫ হাজার ৫৬৭ জন। এসব উপকারভোগী নিজেদের কার্ড দেখিয়ে প্রতি মাসে একবার ইউনিয়নের টিসিবির নিয়োগ করা ডিলারের কাছ থেকে বাজারের চেয়ে কম মূল্যে তেল, চিনি, ডাল ও চাল কিনতে পারেন। গত জুলাইয়ে ডিলারদের কাছ থেকে তেল, চিনি ও ডালের একটি প্যাকেজ কিনতে পেরেছেন তাঁরা। ওই মাসে চালের বরাদ্দ আসেনি বলে জানানো হয় কার্ডধারীদের।

মহম্মদপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে পাওয়া নথিতে দেখা গেছে, গত ৩০ জুলাই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মজনুর রহমান স্বাক্ষরিত দুইটি বিলি আদেশে (ডিও) উপজেলার হোসেনিয়া কান্তা ঋতু নামে একজন ওএমএস ডিলারের অনুকূলে ৭৭ দশমিক ৮৩৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই দিনই মহম্মদপুর ও বিনোদপুর খাদ্যগুদাম থেকে এ চাল তুলেও নেওয়া হয়।

সেখানে ৩০ টাকা কেজিতে চাল পাওয়া যায়। বাজার থেকে ওই চাল কিনতে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা লাগে। জুলাই মাসে চাল না পাওয়ায় কিছুটা কষ্টই হইছে।শরিফা, টিসিবির কার্ডধারী, রাজাপুর ইউনিয়ন

টিসিবি ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন টিসিবি উপকারভোগীদের চাল ছাড়া অন্য পণ্য সরাসরি তাঁদের নিয়োগ করা ডিলারদের কাছে সরবরাহ করে। চালের বরাদ্দ দেওয়া হয় খাদ্য বিভাগ থেকে। এ অনুযায়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে প্রথমে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ করা ওএমএস বা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের অনুকূলে ২৬ টাকা কেজি দরে চাল বরাদ্দ দেয়। সেই চাল ওই ডিলারদের কাছ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে নেন টিসিবির ডিলাররা। এরপর তাঁরা ৩০ টাকা কেজি দরে ওই চাল উপকারভোগীদের কাছে বিক্রি করেন।

উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পারুল নামে টিসিবির এক উপকারভোগী ১ সেপ্টেম্বর জানান, আগস্ট মাসে চাল, ডাল, তেল ও চিনির প্যাকেজ পেলেও জুলাই মাসে তাঁদের চাল ছাড়া অন্য তিন ধরনের পণ্যের প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল। জুলাই মাসে তাঁদের জানানো হয় চাল বরাদ্দ হয়নি।

বিষয়টি জানতে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে টিসিবির নিয়োগ করা ৮ জন ডিলারের সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। তাঁদের মধ্যে মহম্মদপুর সদর, নহাটা, পলাশবাড়ীয়া, বালিদিয়া, রাজাপুর ও বাবুখালী ইউনিয়নের ডিলার জানিয়েছেন, জুলাই মাসে তাঁদেরকে চাল দেওয়া হয়নি। নহাটা ও রাজাপুর ইউনিয়নের ডিলার মিলন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মিলন ঘোষ ৪ সেপ্টেম্বর বলেন, ‘জুলাই মাসে আমাদের বলা হইছিল চাল বরাদ্দ নেই। এ কারণে চাল ছাড়া অন্য পণ্যগুলো বিক্রি করেছি। তবে অ্যাপে দেখাইছিল চাল। কিন্তু আমরা পাইনি।’

হোসনিয়া কান্তা উপজেলার বিনোদপুর এলাকার ওএমএস ডিলার। গত ২৫ জুলাই লটারির মাধ্যমে তিনিসহ তিনজন উপজেলায় ওএমএস ডিলার হিসেবে নিয়োগ পান

অবশ্য বিনোদপুর ও দীঘা ইউনিয়নের দুই ডিলার দাবি করেছেন তাঁরা অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে চালও কার্ডধারীদের কাছে বিক্রি করেছেন। তবে দুই ইউনিয়নের অন্তত ১০ জন উপকারভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাঁরা কেউই চাল পাননি। এর মধ্যে বিনোদপুর বাজারের একজন ফল ব্যাবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘জুলাই মাসে ডিলার জানাইছিল চাল ফুরায় গেছে।’

হোসনিয়া কান্তা উপজেলার বিনোদপুর এলাকার ওএমএস ডিলার। গত ২৫ জুলাই লটারির মাধ্যমে তিনিসহ তিনজন উপজেলায় ওএমএস ডিলার হিসেবে নিয়োগ পান বলে খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে হোসেনিয়া কান্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা তাঁর মুঠোফোনে সোমবার যোগাযোগ করা হলে একজন ধরে জানান, ওই নম্বর হোসেনিয়া কান্তা ঋতু নামে কেউ ব্যবহার করেন না।

জানতে চাইলে টিসিবির ঝিনাইদহ ক্যাম্প অফিসের উপপরিচালক আকরাম হোসেন সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘টিসিবির চাল খাদ্য বিভাগ থেকে সরবরাহ করা হয়। আর বিতরণ কার্যক্রম তদারকির জন্য প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কমিটি রয়েছে। যেখানে প্রতি ইউনিয়নে একজন ট্যাগ অফিসার আছেন, যিনি এগুলো তদারকি করেন।’

জেলার কয়েকজন চাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৬ টাকা কেজি দরে কেনা এসব চাল বাজারে প্রায় ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। উপকারভোগীদের কাছে তা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার কথা। এ হিসাবে উপকারভোগীদের ফাঁকি দিয়ে এ চাল বাজারে বিক্রি করতে পারলে কেজিতে ২২ থেকে ২৪ টাকা লাভ হয়।

চাল না পাওয়ার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন মহম্মদপুরের ইউএনও শাহীনুর আক্তার। সোমবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘চাল দেওয়া হয়নি এখন পর্যন্ত এমন অভিযোগ কেউ দেয়নি। খাদ্য অফিস থেকে আমি যত দূর জানতে পেরেছি তাতে সবকিছু দেওয়া হয়ে গেছে। বরাদ্দ থাকলে তা আটকে রাখার সুযোগ নেই। তারপরও কোনো অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখব।’  

হঠাৎ এক মাসে চাল না পাওয়ায় বিপাকে পড়েন উপকারভোগীরা। রাজাপুর ইউনিয়নের শরিফা নামের টিসিবি কার্ডধারী এক নারী বলেন, ‘সেখানে ৩০ টাকা কেজিতে চাল পাওয়া যায়। বাজার থেকে ওই চাল কিনতে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা লাগে। জুলাই মাসে চাল না পাওয়ায় কিছুটা কষ্টই হইছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথম চালানে ৩৭ হাজার ৪৬০ কেজি ইলিশ গেল ভারতে
  • তুরস্কের সঙ্গে উত্তেজনা: সাইপ্রাসকে ‘এস–৩০০’–এর চেয়েও ভয়ংকর ‘বারাক এমএক্স’ দিল ইসরায়েল
  • গুদামে খাওয়ার অনুপযোগী চাল নিয়ে রাজশাহী খাদ্য বিভাগে তোলপাড়, ৮ তদন্ত কমিটি
  • ‘কেনতো পারমু না, হেইতে ইলশার সুরতটা দেইখ্যা যাই’
  • ৭৭ মেট্রিক টন চাল তুলে নিয়েছেন ডিলার, উপকারভোগীরা জানেন ‘বরাদ্দ হয়নি’
  • বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল কেন
  • নিলামে ৩৫৩ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
  • যুক্তরাজ্য থেকে আসছে মাদক এমডিএমএ, গ্রেপ্তার ৫
  • চাপে পড়ে নয়, অনুরোধে ভারতে ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন: ফরিদা আখতার
  • ভোটের সরঞ্জাম আসছে ইসিতে