সুনামগঞ্জে ঝকঝকে রোদে ঈদের সকাল শুরু, পানি কমেছে সুরমার
Published: 7th, June 2025 GMT
সুনামগঞ্জে বৃষ্টি না হওয়ায় পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত, কোরবানিসহ আনুষঙ্গিক কাজ স্বস্তিতে করতে পেরেছেন লোকজন। গত বছর ঈদুল আজহার সময় জেলাটি বন্যাকবলিত ছিল। এর সঙ্গে দিনভর ছিল বৃষ্টির ভোগান্তি। এবার সেই আশঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ঈদের সকালে বৃষ্টি না হওয়ায় সবাই খুশি। ঈদের দিন আজ শনিবার সকাল থেকে সুনামগঞ্জের আকাশে ঝকঝকে রোদ দেখা গেছে।
সুনামগঞ্জের গত ১৬ দিন টানা বৃষ্টি হয়েছে। কখনো হালকা, কখনো মাঝারি, আবার কখনো ভারী। কিন্তু গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে আজ সকাল নয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টি হয়নি। এতে সুরমা নদীসহ অন্য নদ-নদীর পানি কমেছে। এ সময় উজান থেকে পাহাড়ি ঢল কমায় পানি আরও কমছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।
গত বছরের দুর্ভোগের স্মৃতি ভুলে এমন স্বস্তিদায়ক আবহাওয়ায় ঈদ উদ্যাপন নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহর ঈদের জামাত শেষে আইনজীবী আবদুর রায়হান বলেন, ‘আমরা তো শঙ্কায় ছিলাম যে গত বছরের মতো এবারও বৃষ্টি ও বন্যা হতে পারে। এই কয়েক দিন টানা বৃষ্টিতে মানুষ ছিল চরম ভোগান্তিতে। কিন্তু ঈদের দিনে রোদমাখা আকাশ মানুষের মন থেকে সব দুশ্চিন্তা দূর করে দিয়েছে। এতে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই।’
সুনামগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের ষোলঘর এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৬ মিটার। একই স্থানে গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে পানির উচ্চতা ছিল ৭ দশমিক ২১ মিটার। স্থানটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি কমেছে ১৫ সেন্টিমিটার। বর্ষা মৌসুমে সেখানে সুরমা নদীর পানির বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৮০ মিটার।
পাউবোর তথ্যমতে, সুনামগঞ্জে গতকাল সকাল ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনো বৃষ্টি হয়নি। অথচ গত ১৬ দিন টানা বৃষ্টি হয়েছে। উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও গত দুই দিনে বৃষ্টি কম হয়েছে।
পাউবোর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, আগামী দুই দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। তবে সেটি হালকা ও মাঝারি। এতে খুব পানি বাড়বে না। মূলত ভারী বৃষ্টির সঙ্গে উজানের ঢল নামলেই পানি বাড়ে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে ঝকঝকে রোদে ঈদের সকাল শুরু, পানি কমেছে সুরমার
সুনামগঞ্জে বৃষ্টি না হওয়ায় পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত, কোরবানিসহ আনুষঙ্গিক কাজ স্বস্তিতে করতে পেরেছেন লোকজন। গত বছর ঈদুল আজহার সময় জেলাটি বন্যাকবলিত ছিল। এর সঙ্গে দিনভর ছিল বৃষ্টির ভোগান্তি। এবার সেই আশঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ঈদের সকালে বৃষ্টি না হওয়ায় সবাই খুশি। ঈদের দিন আজ শনিবার সকাল থেকে সুনামগঞ্জের আকাশে ঝকঝকে রোদ দেখা গেছে।
সুনামগঞ্জের গত ১৬ দিন টানা বৃষ্টি হয়েছে। কখনো হালকা, কখনো মাঝারি, আবার কখনো ভারী। কিন্তু গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে আজ সকাল নয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টি হয়নি। এতে সুরমা নদীসহ অন্য নদ-নদীর পানি কমেছে। এ সময় উজান থেকে পাহাড়ি ঢল কমায় পানি আরও কমছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।
গত বছরের দুর্ভোগের স্মৃতি ভুলে এমন স্বস্তিদায়ক আবহাওয়ায় ঈদ উদ্যাপন নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহর ঈদের জামাত শেষে আইনজীবী আবদুর রায়হান বলেন, ‘আমরা তো শঙ্কায় ছিলাম যে গত বছরের মতো এবারও বৃষ্টি ও বন্যা হতে পারে। এই কয়েক দিন টানা বৃষ্টিতে মানুষ ছিল চরম ভোগান্তিতে। কিন্তু ঈদের দিনে রোদমাখা আকাশ মানুষের মন থেকে সব দুশ্চিন্তা দূর করে দিয়েছে। এতে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই।’
সুনামগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের ষোলঘর এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৬ মিটার। একই স্থানে গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে পানির উচ্চতা ছিল ৭ দশমিক ২১ মিটার। স্থানটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি কমেছে ১৫ সেন্টিমিটার। বর্ষা মৌসুমে সেখানে সুরমা নদীর পানির বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৮০ মিটার।
পাউবোর তথ্যমতে, সুনামগঞ্জে গতকাল সকাল ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনো বৃষ্টি হয়নি। অথচ গত ১৬ দিন টানা বৃষ্টি হয়েছে। উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও গত দুই দিনে বৃষ্টি কম হয়েছে।
পাউবোর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, আগামী দুই দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। তবে সেটি হালকা ও মাঝারি। এতে খুব পানি বাড়বে না। মূলত ভারী বৃষ্টির সঙ্গে উজানের ঢল নামলেই পানি বাড়ে।