আগামী সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ। যুক্তরাষ্ট্রের এগারোটি শহরে বিশ্বের ৩২ টি ক্লাব নিয়ে ১৪ জুন থেকে ১৩ জুলাই এক মাস ব্যস্ত থাকবে ফুটবল। ক্রিকেটে কি এমন কিছু হতে পারে না? 

টেস্ট খেলুড়ে প্রায় সব দেশেই এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট প্রতিষ্ঠিত। সেখানে সব দেশের চ্যাম্পিয়ন দলগুলোকে নিয়ে এমন একটি বৈশ্বিক আসর তো হতেই পারে। এমনই ধারণা নিয়ে ওয়ার্ল্ড ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের চালু করার চেষ্টা করছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি)। যদিও প্রকল্পটি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবুও ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গ্লোড আশাবাদী সামনে এমন একটি আয়োজন হবেই। 

‘এখন প্রায় সব দেশেই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট হচ্ছে। তাই পরের ধাপটিই চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে একটি বৈশ্বিক আয়োজন করার।’ ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসিবির এই কর্মকর্তা জানান আগে ইংল্যান্ডে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট না হলেও এখন সেখানে দ্য হান্ড্রেড খুব জনপ্রিয়। তাই ইংল্যান্ড থেকে এই হান্ড্রেড চ্যাম্পিয়ন দলই অংশ নিতে পারে।

ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নিয়ে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ হলে বাংলাদেশর বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন দলও সেখানে অংশগ্রহণ করতে পারবে। যদিও এমন ধারণা নিয়ে ২০০৯ সালে শুরু হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-২০। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে সব দেশের চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আদলে। কিন্তু তখন শুরুটা হয়েছিল শুধু আইপিএল, বিগব্যাশ, ক্যারাবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আর র‍্যাম স্ল্যামের চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে। পরে কয়েকটি আসরে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের কিছু দল অংশ নিয়েছিল। কিন্তু জনপ্রিয়তা না পাওয়ায় আসরটি বন্ধ হয়ে যায় ২০২৪ সালে এসে। তবে এবার আরও পেশাদারিত্বের সঙ্গে অমন একটি আসর চালু করতে চাই ইসিবি। ভারত, অস্ট্রেলিয়া সমর্থন দিলে হয়ত তা আলোর মুখ দেখতেও পারে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ফ র য ঞ চ ইজ সব দ শ

এছাড়াও পড়ুন:

কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীদের নিয়ে ঈদ আনন্দ, গান গাইলেন নোবেল

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে কারাবন্দি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পী মইনুল আহসান নোবেল। তিনি মঞ্চে উঠে গেয়েছেন নগর বাউল জেমসের গান; মাতিয়েছেন বন্দিদের।

ঈদের দিন আজ শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় কারা কর্তৃপক্ষের আয়োজনে বন্দিশালার মাঠে আয়োজিত হয় এই বিশেষ অনুষ্ঠান।

ঈদের দিনে জেলের বন্দিদের জন্য গান গেয়ে হয়তো ‘আশা’ দেখিয়েছেন নোবেল। বন্দি মানুষগুলোর জন্যও হয়তো ঈদ হতে পারে আনন্দের। তবে, গায়ক নোবেল নিজেকে পরিশুদ্ধ করে ফিরে আসবে গানের জগতে, এমনটাই হয়তো চাইবেন তার ভক্তরা।

মঞ্চে নোবেল ‘অভিনয়’, ‘ভিগি ভিগি’, ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হয়ে গেলে’সহ তার জনপ্রিয় কয়েকটি গান পরিবেশন করেন। নোবেলের কণ্ঠে গাওয়া এসব গান শুনে অন্য বন্দিরাও আবেগ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। গানে গানে তৈরি হয় এক ভিন্নরকম উৎসবমুখর পরিবেশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ