ক্রিকেটে ওয়ার্ল্ড ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ হলে মন্দ কী
Published: 7th, June 2025 GMT
আগামী সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ। যুক্তরাষ্ট্রের এগারোটি শহরে বিশ্বের ৩২ টি ক্লাব নিয়ে ১৪ জুন থেকে ১৩ জুলাই এক মাস ব্যস্ত থাকবে ফুটবল। ক্রিকেটে কি এমন কিছু হতে পারে না?
টেস্ট খেলুড়ে প্রায় সব দেশেই এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট প্রতিষ্ঠিত। সেখানে সব দেশের চ্যাম্পিয়ন দলগুলোকে নিয়ে এমন একটি বৈশ্বিক আসর তো হতেই পারে। এমনই ধারণা নিয়ে ওয়ার্ল্ড ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের চালু করার চেষ্টা করছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি)। যদিও প্রকল্পটি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবুও ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গ্লোড আশাবাদী সামনে এমন একটি আয়োজন হবেই।
‘এখন প্রায় সব দেশেই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট হচ্ছে। তাই পরের ধাপটিই চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে একটি বৈশ্বিক আয়োজন করার।’ ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসিবির এই কর্মকর্তা জানান আগে ইংল্যান্ডে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট না হলেও এখন সেখানে দ্য হান্ড্রেড খুব জনপ্রিয়। তাই ইংল্যান্ড থেকে এই হান্ড্রেড চ্যাম্পিয়ন দলই অংশ নিতে পারে।
ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নিয়ে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ হলে বাংলাদেশর বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন দলও সেখানে অংশগ্রহণ করতে পারবে। যদিও এমন ধারণা নিয়ে ২০০৯ সালে শুরু হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-২০। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে সব দেশের চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আদলে। কিন্তু তখন শুরুটা হয়েছিল শুধু আইপিএল, বিগব্যাশ, ক্যারাবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আর র্যাম স্ল্যামের চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে। পরে কয়েকটি আসরে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের কিছু দল অংশ নিয়েছিল। কিন্তু জনপ্রিয়তা না পাওয়ায় আসরটি বন্ধ হয়ে যায় ২০২৪ সালে এসে। তবে এবার আরও পেশাদারিত্বের সঙ্গে অমন একটি আসর চালু করতে চাই ইসিবি। ভারত, অস্ট্রেলিয়া সমর্থন দিলে হয়ত তা আলোর মুখ দেখতেও পারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল ফ র য ঞ চ ইজ সব দ শ
এছাড়াও পড়ুন:
উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী
আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।
রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।
অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’
বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।