ক্লাব বিশ্বকাপে খেলবেন না, জানিয়ে দিলেন রোনালদো
Published: 7th, June 2025 GMT
গুঞ্জনের ডালপালা খুব বেশি বাড়তে দিলেন না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ৪০ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি জানিয়ে দিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ জুন থেকে শুরু হতে চলা ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে তিনি খেলবেন না।
মিউনিখে আগামীকাল রাতে উয়েফা নেশনস লিগ ফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল। তার আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন পর্তুগিজ অধিনায়ক।
রোনালদো বলেছেন, ‘অনেক প্রস্তাব পাওয়া সত্ত্বেও ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়ে ফেলেছি। যোগাযোগ হয়েছে, আলোচনাও হয়েছে.
সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরের এই ফরোয়ার্ড বাস্তবতা বুঝিয়েছেন এভাবে, ‘কিছু দল আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিছু দলের প্রস্তাব যুক্তিসংগত ছিল, বাকিদেরগুলো নয়। কিন্তু আপনি তো সবকিছু করার চেষ্টা করে সফল হতে পারবেন না। আপনি প্রতিটি বল ধরতে পারবেন না।’
৩০ জুন আল নাসরের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে রোনালদোর। ক্লাবটি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে গেলেও ধারণা করা হচ্ছে রোনালদো আর সেখানে থাকতে আগ্রহী নন। গত ২৫ মে আল নাসরের হয়ে মৌসুমের শেষ ম্যাচটি খেলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্লাব ছাড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
যেহেতু আল নাসর ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি, তাই এ প্রতিযোগিতায় এমনিতেই রোনালদোর খেলার কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু আল নাসরের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ফোরানোর আগেই রোনালদো দল পাল্টে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে পারেন—এমন সম্ভাবনার কথা খোদ ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানিয়েছিলেন।
এর সমাধানও ফিফা করে দিয়েছে। ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিতে চলা ৩২ দলকে ১ থেকে ১০ জুনের মধ্যে বিশেষ দলবদলের সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যেন তারা প্রয়োজনীয় খেলোয়াড় সই করাতে পারে। যেহেতু চুক্তির মেয়াদ বাকি থাকলেও এই মৌসুমে আল নাসরের আর কোনো ম্যাচ নেই, তাই রোনালদোকে ক্লাব বিশ্বকাপের যেকোনো দল বিনা ট্রান্সফার ফিতে সই করাতে পারবে।
গুঞ্জন ছিল ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিতে চলা সৌদির আল হিলাল, ব্রাজিলের বোতাফোগো, মরক্কোর ওয়াইদাদ ও মেক্সিকোর মোন্তেররেই রোনালদোকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী। কিন্তু রোনালদো সবাইকে ‘না’ বলে দেওয়ায় আপাতত আর কোনো সম্ভাবনা নেই।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শেষ। তিনি আর সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চান না।
শনিবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ কথা বলেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে কী না? জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি তা–ই ধরেই নিচ্ছি।’
মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চান কী না? এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প স্পষ্টভাবে ‘না’ বলে দেন। এই মন্তব্য সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে মাস্কের সঙ্গে তাঁর প্রকাশ্য বিরোধের সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুনট্রাম্প ও মাস্কের মধুর সম্পর্কে বিচ্ছেদ কেন, কী হবে এবার ০৬ জুন ২০২৫টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও মাস্ক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারে কোটি ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি তিনি ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিলের কঠোর সমালোচনা করেন।
সম্প্রতি ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিলকে ‘জঘন্য’ বলে কটাক্ষ করেন মাস্ক। তাঁর ওই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেখুন, ইলনের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। জানি না সেটা আর থাকবে কি না।’
মাস্ককে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভীষণ হতাশ। কারণ, এখানে উপস্থিত অন্য যে কারও চেয়ে তিনি এ বিলের ভেতরের খুঁটিনাটি সম্পর্কে ভালো জানতেন। হঠাৎই এটি নিয়ে তাঁর সমস্যা শুরু হয়েছে।’ তবে ট্রাম্পের এ দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মাস্ক।
আরও পড়ুনইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সরকারি চুক্তি বাতিলের হুমকি ট্রাম্পের০৬ জুন ২০২৫ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মাস্ক একাধিক পোস্ট দিয়েছেন। এসব পোস্টে ট্রাম্পকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও ছাড়েননি। প্রমাণ না দিলেও মাস্ক দাবি করেছেন, ট্রাম্প ‘এপস্টেইন ফাইল’–এ আছেন।
শনিবার এনবিসির সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, মাস্ক প্রেসিডেন্টের অফিসের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করেছেন।