আবার যদি কেউ মাফিয়া হয়ে উঠতে চায় তাদের বলব, এখন আমরাই হচ্ছি বড় মাফিয়া: আনোয়ারায় এনসিপি নেতা
Published: 9th, June 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও বেসরকারি কারা পরিদর্শক জোবাইরুল আলম মানিক বলেছেন, ‘আমরা জুলাই অভ্যুত্থান সফল করেছি। বিগত ১৬-১৭ বছর কেউ এ নেতৃত্ব দিতে পারেনি। এটি একটি রাজনৈতিক বিপ্লব। কেউ যদি বলে যে শিক্ষার্থীরা তাদের কাজ শেষ করেছে, তারা ক্যাম্পাসে ফিরে যাক। আমরা বলব, ১৬ বছরের একজন মাফিয়াকে হটাতে পারছে। আমাদের বুঝ দিয়ে আবার যদি কেউ মাফিয়া হয়ে উঠতে চায়; আমরা তাদের বলব, এখন বাংলাদেশ যদি বড় মাফিয়া থাকে, আমরাই হচ্ছি বড় মাফিয়া। আমাদের চেয়ে বড় মাফিয়া নেই।’
জোবাইরুল আলম মানিক আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার একটি কমিউনিটি সেন্টারে এনসিপি আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি তাঁর বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করলে বক্তব্যটি ছড়িয়ে পড়ে।
বক্তব্যে জোবাইরুল আলম বলেন, ‘কেউ যদি আবার জাবেদ হতে চায় (সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী), আমাদের ভোট কেড়ে নিতে চায়, তাহলে আমরা আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও ওয়াসিম আকরামের মতো শহীদ হয়ে তাদের রুখে দেব।’
জোবাইরুল আলম আরও বলেন, ‘সংখ্যা চিন্তা করার দরকার নেই। ১৮ জুলাই আমরা ২০-২৫ জন শাহ আমানত সেতু ব্লক করি। এমন কমসংখ্যক ছাত্র–জনতা নিয়ে যদি আমরা আনোয়ারা-কর্ণফুলী থেকে চট্টগ্রামে গিয়ে নেতৃত্ব দিতে পারি তাহলে এখন কেন পারব না।’
এনসিপি নেতা জোবাইরুল আলম বলেন, ‘কেউ কেউ ভালোবেসে যখন জুলাই–যোদ্ধা বলে, তখন আমরা অনুপ্রাণিত হই। তাই তখন দায়বদ্ধতা বেড়ে যায়। আপনারা হীনম্মন্যতা রাখবেন না। আমরা যারা এখানে আছি, এখান থেকে চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেয়র হবে।’
এম ইউ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণ-অভ্যুত্থানে আহত মো.
অনুষ্ঠানে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার জুলাই আন্দোলনে আহত যোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’
ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী।
গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”
আরো পড়ুন:
কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী
পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি
কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”
কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”
ঢাকা/শান্ত