সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থানবার্গকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, থানবার্গ মঙ্গলবার সকালে ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে একটি ফ্লাইটে তেল আবিব ত্যাগ করেছেন।

ফ্রান্স জানিয়েছে, থানবার্গের সাথে আটক ছয় ফরাসি নাগরিকের মধ্যে পাঁচজন তাদের নির্বাসন আদেশে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এবং এখন তাদের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

ইসরায়েলের সামুদ্রিক অবরোধ অমান্য করে থানবার্গ এবং আরো ১১ জন অধিকারকর্মী ম্যাডেলিন নামের একটি ত্রাণবাহী জাহাজ নিয়ে ফিলিস্তিনের দিকে যাত্রা করেছিলেন।

ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার রাতে এক্স-এ একটি পোস্টে জানায়, সোমবার রাতে আশদোদ বন্দরে জাহাজটি পৌঁছানোর পর যাত্রীদের তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়।

এতে বলা হয়েছে, “যারা নির্বাসন সংক্রান্ত নথিতে স্বাক্ষর করতে এবং ইসরায়েল ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানাবে, তাদের ইসরায়েলি আইন অনুসারে বিচারিক কর্তৃপক্ষের সামনে হাজির করা হবে, যাতে তাদের নির্বাসন অনুমোদন করা হয়।”

ইয়টটি পরিচালনাকারী ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে, ১২ জনই আশদোদে পৌঁছেছে এবং যারা ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানাবে তাদের তেল আবিবের কাছে রামলেতে একটি আটক কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হবে।

মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্রেটা থানবার্গ ‘সুইডেনের (ফ্রান্স হয়ে) একটি ফ্লাইটে ইসরায়েল ত্যাগ করেছেন।’

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারোট এর আগে এক্স-এ লিখেছিলেন, “গত রাতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ছয় ফরাসি নাগরিককে আমাদের কনসাল দেখতে পেরেছেন। তাদের মধ্যে একজন স্বেচ্ছায় চলে যেতে রাজি হয়েছেন এবং আজই ফিরে আসবেন। বাকি পাঁচজনকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায় রাখা হবে।”

ব্যারোট তাদের পরিচয় প্রকাশ করেননি। তবে ছয় ফরাসি নাগরিকের মধ্যে রয়েছেন এমপি রিমা হাসান এবং দুই সাংবাদিক, কাতারভিত্তিক আল জাজিরার ওমর ফাইয়াদ এবং অনলাইন প্রকাশনা ব্লাস্টের ইয়ানিস মাহদি। ফ্রান্স ও সুইডেনের পাশাপাশি, ব্রাজিল, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন এবং তুরস্কের নাগরিকরাও জাহাজটিতে ছিলেন।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’

আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।

পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’

শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ