অবশেষে জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন চিত্রনায়িকা তানিন সুবহা (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দীর্ঘ আট দিন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিনেত্রীর লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসক মঙ্গলবার (১০ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ৫৭ মিনিটে মৃত্যু তানিনের মৃত্যু ঘোষণা করেন।
’এর আগে গত ৮ জুন অভিনেত্রীর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে যায়। তবে হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তানিনের অবস্থা মুমূর্ষু হলেও মারা যাওয়ার খবরটি সঠিক নয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩১ বছর। ১৯৯৪ সালের ৫ মে মাদারীপুর জন্ম গ্রহণ করেন এই অভিনেত্রী।
গত ২ জুন হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে আফতাবনগর নিকটস্থ একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরলে ফের সন্ধ্যার দিকে অসুস্থ হয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে বনশ্রীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর অবস্থার আরও অবনতি হলে পরবর্তীতে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলে এই চিত্রনায়িকা।
২০১৫ সালে আজাদ কালাম পরিচালিত ‘জমজ’ নাটকের মাধ্যমে তানিন সুবহার মিডিয়ায় অভিষেক ঘটে, যেখানে তিনি মোশাররফ করিমের বিপরীতে অভিনয় করেন। এরপর ‘আলাল দুলাল’, ‘সেয়ানা জামাই’, ‘ম্যারেজ মিডিয়া ডটকম’সহ আরও বেশকিছু নাটকে অভিনয় করেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘অবাস্তব ভালোবাসা’, ‘মাটির পরী’, ‘স্বপ্নের সাথী’, ‘দেমাগ’ ও ‘তুই আমার’। বর্তমানে তার বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিসিবি নির্বাচনে সৈয়দ আশরাফুলের ‘আগ্রহ’
ক্রিকেটার হিসেবে সৈয়দ আশরাফুল হকের যতটা না সুনাম, তার চেয়েও বেশি ক্রিকেট সংগঠক হিসেবে। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশকে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন।
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলে (এসিসি) যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। লম্বা সময় পর তিনি আবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে ফিরতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। আগামী বিসিবি নির্বাচনে অংশ নিতে চান এই হাইপ্রোফাইল ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব। মুঠোফোনে রাইজিংবিডি ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দ আশরাফুল হক।
ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবেই দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছে তার। যদিও নিজের ইচ্ছে পূরণে এখনো মাঠে নামা হয়নি তার। বিসিবিতে যোগ দিতে হলে প্রথমে তাকে কাউন্সিলর হতে হবে। এরপর পরিচালক হিসেবে নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচিত হলে পরিচালকদের ভোটে তাকে সভাপতি নির্বাচিত হতে হবে। এই লম্বা প্রক্রিয়ার প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো কাউন্সিলর হওয়া। ঢাকার ক্লাবগুলো থেকে কাউন্সিলরশিপ নেওয়ার ইচ্ছা সৈয়দ আশরাফুলের। সেই আলোচনা কিছুদিনের মধ্যেই শুরু করবেন তিনি।
আরো পড়ুন:
তামিমের হুঁশিয়ারি, ‘কখনো আপনাদের সঙ্গে হাত মেলাব না’
তামিম ও জালাল ইউনুসের বিরুদ্ধে হাথুরুসিংহেকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টার অভিযোগ সাকিবের
‘‘নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আবার যুক্ত হবো। এই সময়ে বিসিবিতে যুক্ত হতে হলে আমাকে শীর্ষ আসনেই বসতে হবে। পরিচালক হয়ে এরপর সভাপতি হিসেবে কাজ করার ইচ্ছা আছে। দেশের সব স্তরে সংস্কার হচ্ছে। নতুন করে শুরু হচ্ছে। আমিও চাই ক্রিকেটটা নতুন করেই শুরু হোক। এজন্য সেই গোড়া থেকেই কাজ করতে হবে, যেটা আমরা করেছিলাম অনেক অনেক বছর আগে। সেই অভিজ্ঞতাই আমাদের এখন কাজে আসবে।’’
‘‘ক্লাবগুলো থেকে কাউন্সিলরশিপ নেওয়ার ইচ্ছা আছে। চেষ্টা করলে কাউন্সিলরশিপ পেয়ে যেতেও পারি। এরপর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। আমার অভিজ্ঞতা, আমার কাজের পরিধি, আমার যোগাযোগ ক্ষেত্র—সব কিছু ক্রিকেট কেন্দ্রিক, যেটা আইসিসি বা এসিসি পর্যন্ত বিস্তৃত। এজন্যই বলছি বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ আছে। সেজন্যই সেই জায়গাটাতে আগে যেতে হবে।’’
বিসিবি নির্বাচনের বাকি তিন মাস। এক মাস পর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাবে কারা নির্বাচন করবেন, আর কারা করবেন না। দেশের ক্রিকেটে পুনরায় কাজ করতে আগ্রহ দেখানো সৈয়দ আশরাফুলকে নিজের ভবিষ্যৎ কিছুদিনের মধ্যেই ঠিক করতে হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল