সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ৪ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন ইউটিউবার সাব্বির: পুলিশ
Published: 10th, June 2025 GMT
ইউটিউবার সাব্বির সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। গত ৪ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য ও গুজব ছড়ানোর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সরোয়ার সমকালকে মঙ্গলবার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে সাব্বির নিখোঁজ রয়েছেন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই পোস্ট দিচ্ছেন। গুম হয়েছেন কিনা, এমন প্রশ্নও তোলা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, ওই মামলার পর সাব্বিরকে ওইদিনই ডেমরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়। বনানী থানায় রিমান্ডে থাকা অবস্থায় এক আত্মীয় এসে সাব্বিরের সঙ্গে দেখাও করে যান। তার বিরুদ্ধে থাকা মামলাটির সর্বশেষ শুনানি হয় গত মাসে।
সাব্বিরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বনানী থানায় দুটি জিডি করা হয়। গত ২৩ মার্চ জিডি করেন প্রযোজক মুনতাসির মামুন। তিনি অভিযোগ করেন, তাকে নিয়ে সাব্বির বানোয়াট ও মিথ্যা ভিডিও প্রকাশ করেছেন। তাকে ভারতের এজেন্ট আখ্যা দিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত বলে প্রচার করা হয়। অভিযোগ তদন্ত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
পুলিশ জানায়, সাব্বির তার ইউটিউব, টিকটক ও ফেসবুক আইডি লিংকের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী ও দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভ্রান্তিকর তথ্য ও গুজব প্রচার করছিলেন। এতে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ সব ক
এছাড়াও পড়ুন:
বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ায় চাটমোহরে দু’জনকে জরিমানা
যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেয়ে চাটমোহরের দুটি বাস কাউন্টারে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি দল। বুধবার রাত ১০টায় পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই দুই ব্যক্তিকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেওয়া হয়।
ঢাকাগামী যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে শাহজাদপুর ট্রাভেলস এবং ফাতেমা পরিবহনের কাউন্টারে ভাঙ্গুড়া ক্যাম্পের লেফটেনেন্ট ইমরানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় শাহজাদপুর ট্রাভেলসের কাউন্টার থেকে লিটন ও ফাতেমা পরিবহনের কাউন্টার থেকে শরিফুলকে আটক করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী এসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার সত্যতা পান। এর পর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শাহজাদপুর ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার লিটনকে ১০ হাজার টাকা ও ফাতেমা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার শরিফুলকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়া অর্ধশতাধিক যাত্রীর কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন ইউএনও।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, ঢাকাগামী দুটি পরিবহনের টিকিট কাউন্টারে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে দু’জনকে জরিমানা করা হয়।