Samakal:
2025-06-17@17:37:25 GMT

আজ মধ্যরাতে উঠছে নিষেধাজ্ঞা

Published: 10th, June 2025 GMT

আজ মধ্যরাতে উঠছে নিষেধাজ্ঞা

সাগরে মাছ আহরণের ওপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ বুধবার রাত ১২টায়। উপকূলীয় এলাকায় হাজারো জেলে এদিন যাত্রা করবেন মাছ ধরতে। যদিও নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই অসাধু জেলেরা সাগরে মাছ ধরেছেন। তারা মাছ ধরে ফেরায় বরগুনার পাথরঘাটার মৎস্য অবতরণকেন্দ্র বেশ কিছুদিন ধরেই জমজমাট। 
জেলেসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে সাগরে মাছ আহরণের ওপর বছরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা পালন শুরু হয়। গত বছর পর্যন্ত এর সময়সীমা ছিল ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই। জেলেদের দাবির মুখে এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে ১৫ এপ্রিল শুরু হয়েছে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা, যা চলবে ১১ জুন রাত পর্যন্ত।
জেলেদের অভিযোগ, ঈদুল আজহায় টানা ১০ দিনের ছুটিতে প্রশাসনে শিথিলতা ছিল। এই সুযোগ নিয়েছেন অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা। ৩ জুন থেকে এসব ব্যবসায়ীর ট্রলার গভীর সাগরে যাওয়া শুরু করে। তারা মাছ নিয়ে ফিরছেন দু’দিন ধরে। 
৩ জুন সাগরে গিয়ে সোমবার তীরে ফেরেন জেলে হাবিবুর রহমান। তাঁর ভাষ্য, ৬ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। তবে এতে প্রায় দেড় লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। হাবিবুরের অভিযোগ, বরফকল মালিকরা সিন্ডিকেট করে প্রতিক্যান বরফের দাম ১৩০ টাকার জায়গায় ২০০ টাকা রেখেছে। প্রশাসন ‘ম্যানেজের’ নামে একটি চক্র ট্রলারপ্রতি চাঁদা নিয়েছে ১৫-২০ হাজার টাকা। তাই মাছ বিক্রি করে লাভ হয়নি। 
পাথরঘাটা বরফকল মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মেহের কান্তি সিন্ডিকেটের বিষয় অস্বীকার করেন। লোডশেডিংসহ অন্যান্য কারণে বরফের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তাই দাম বাড়িয়েছেন তারা। 
জেলে ইউসুফ মাঝি মনে করেন, গত বছর পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা পালনও নামমাত্র ছিল, এবারও একই ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন ‘ম্যানেজ’ করে বহু ট্রলার সাগরে গিয়ে মাছ শিকার করেছে।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, তাদের আন্দোলনের কারণেই সরকার ভারতের সঙ্গে মিলিয়ে নিষেধাজ্ঞার সময় দিয়েছে। এর পরও অনেকে এই নিষেধাজ্ঞা মানছেন না। বিষয়টি দুঃখজনক। 
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক মো.

আলফাজ উদ্দিন শেখ বলেন, গভীর সাগরে মাছ আহরণে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা আজ বুধবার মধ্যরাতে শেষ হবে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই সাগরে মাছ ধরার বিষয়ে প্রশ্ন করলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি দাবি করেন, এ বিষয়ে তাঁর জানা নেই।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

এনবিআরের অনলাইন সভায় ‘ট্রাম্প’ ‘ইলন মাস্ক’ ‘ডিম ব্যবসায়ী সমিতি’ ‘মায়ের দোয়া স্যানিটারি’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর অনুবিভাগের রাজস্ব আহরণ ও অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। এ সভায় সাধারণত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সরাসরি ও ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার সুযোগ আছে। গতকাল রোববার আয়োজিত সভায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম জুমে যোগ দেওয়া আইডিগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ও স্টারলিংকের মালিক ইলন মাস্কের নামে কয়েকজনকে অংশ নিতে দেখা গেছে। এছাড়াও তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি, মায়ের দোয়া স্যানিটারিসহ বিভিন্ন নামে আইডি খুলেও অংশ নিয়েছেন কেউ কেউ। সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। 

এ বিষয়ে এনবিআরের কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বলেন, সম্প্রতি এনবিআর বিলুপ্ত করে দুই ভাগে বিভক্ত করে জারি করা অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ওই বিষয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান কোনো কথা বলেন কিনা তা জানতে ‘ভুয়া’ নামে অংশ নিয়েছেন কেউ কেউ। আবার কর্মকর্তাদের একটা অংশের ধারণা- আন্দোলনকারীরা এনবিআরের চেয়ারম্যানকে অসহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাই অনেকেই অংশ নেননি। সেজন্য সভায় বেশি অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বেশি দেখাতে ভুয়া আইডি খোলা হতে পারে বলেও ধারণা কারও কারও।   

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ভেঙে আলাদা করে অধ্যাদেশ জারির পর থেকে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে আন্দোলনে নামেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত ১২ মে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর অর্থ মন্ত্রণালয় ২৫ মে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অধ্যাদেশটি সংশোধনের আশ্বাস দেয়। এরপর আন্দোলন প্রত্যাহার করলেও এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে তাকে অসহযোগিতা করার ঘোষণা দেয় ঐক্য পরিষদ। টানা ১০ দিন ঈদের ছুটির পর রোববার রাজস্ব সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাসিক এই সভায় রাজস্ব আহরণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। 

সভায় সশরীরে অংশ নেন এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান, কর বিভাগের সদস্য ও কমিশনাররা। বাকি র্কমকর্তারা ভার্চুয়ালি অংশ নেন। এতে কেউ নামে বা কেউ সংশ্লিষ্ট কমিশনারেটের নাম ব্যবহার করে যুক্ত হন। চার শতাধিক অংশগ্রহণকারীর অনেকে ভুয়া নাম ব্যবহার করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইলন মাস্ক, তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি, মায়ের দোয়া স্যানিটারি, স্যামসাং ও আইফোনের বিভিন্ন মডেলের নাম, বিভিন্ন সালের নাম ও নানা ধরনের সংখ্যা দিয়ে সভায় অংশ নেন অনেকে।

জানা গেছে, এই সভায় অংশ নিতে গত ৪ জুন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে এনবিআরের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদের দপ্তর থেকে। ওই চিঠিতে বলা হয়, আয়কর বিভাগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কর্মকৌশল বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং মে মাস পর্যন্ত রাজস্ব আহরণ পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য সকাল সাড়ে ১০টায় এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে মাসিক রাজস্ব সভা অনুষ্ঠিত হবে। এনবিআরের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে আয়কর বিভাগের সব সদস্য, কর কমিশনার ও মহাপরিচালকরা উপস্থিত থাকবেন। সভায় আয়কর বিভাগের সব কর কমিশনার ও মহাপরিচালক সশরীরে এবং সব রেঞ্জ কর্মকর্তা ও সার্কেল কর্মকর্তারা ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম জুমে অংশ নেবেন।

আন্দোলনে যুক্ত আছেন এনবিআরের এমন কিছু কর্মকর্তার অভিযোগ, অধ্যাদেশ বাতিলসহ চার দাবিতে আন্দোলন হয়েছিল। চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে এখন তাকে অসহযোগিতা করছেন কর্মকর্তাদের একাংশ। তাই জুমে বেশি উপস্থিতি দেখাতেই এমনটা করা হতে পারে। 

এ বিষয়ে এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ সমকালকে বলেন, ‘সভায় অংশ নেওয়ার জন্য ট্রাম্প বা ইলন মাস্ক এমন কাউকে তো চিঠি দেওয়া হয়নি। এ ধরনের সভা প্রতি মাসে হয় এবং এভাবেই হয়। সভায় যাদের অংশ নেওয়ার কথা, তাদেরকেই চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে তো কারো কাছে এই চিঠি যাওয়ার কথা নয়। কারা এ ধরনের নাম ব্যবহার করেছেন কিংবা কেন করেছেন সেটি আপনারা খুঁজে বের করতে পারেন।’

জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সমকালকে বলেন, এটা কেন করা হয়েছে সেটি তার জানা নেই।

সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মে পর্যন্ত ১১ মাসের আয়কর খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের চিত্র তুলে ধরা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এনবিআরের অনলাইন সভায় ‘ট্রাম্প’ ‘ইলন মাস্ক’ ‘ডিম ব্যবসায়ী সমিতি’ ‘মায়ের দোয়া স্যানিটারি’
  • দেশে ১৪ দিনে এল ১১৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স