এবার পশু কোরবানি কমে ৯১ লাখে নেমেছে, অবিক্রীত ৩৩ লাখ
Published: 11th, June 2025 GMT
ঈদুল আজহায় এ বছর দেশে ৯১ লাখের বেশি পশু কোরবানি করা হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ৯ লাখ কম। গত বছর ঈদুল আজহায় সারা দেশে মোট ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি গবাদি পশু কোরবানি হয়েছিল। এবার ৩৩ লাখ ১০ হাজারের বেশি কোরবানির পশু অবিক্রীত ছিল। তবে কোরবানির মধ্যে গরু ও ছাগলের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। সরকারি সংস্থা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবমতে, এবার দেশে মোট ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু কোরবানি হয়েছে, যার মধ্যে গরু ও মহিষ ৪৭ লাখ ৫ হাজার ১০৬টি, ছাগল বা ভেড়া ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮টি এবং অন্যান্য প্রাণি ৯৬০টি।
দেশে পশু কোরবানির হিসাব মূলত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর করে থাকে। অধিদপ্তর দৈবচয়নের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে এবারের হিসাব করেছে। প্রতিটি উপজেলার তিনটি গ্রাম (ছোট, মাঝারি ও বড়) থেকে অন্তত ১ শতাংশ নমুনা সংগ্রহ করে হিসাবটি করা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবার কোরবানির পশু অবিক্রীত ছিল ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৬০৩টি। কারণ হিসেবে অধিদপ্তর বলছে, এবার কোরবানির পশুর উৎপাদন বেশি ছিল, তাই পশু অবিক্রীত থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। তা ছাড়া অবিক্রীত এই পশু সামনে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে দরকার পড়বে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবার সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে সিলেট বিভাগে, ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮২৩টি। এরপর কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে, ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৬২টি। আর সর্বোচ্চ ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭১টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। ঢাকা বিভাগে কোরবানি হয়েছে ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪০টি। অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩২টি, খুলনায় ৮ লাখ ৪ হাজার ২২৪টি, বরিশালে ৪ লাখ ৭৮৩টি এবং রংপুর বিভাগে ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৯টি গবাদিপশু কোরবানি করা হয়েছে।
গত বছর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছিল ঢাকা বিভাগে। আর সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘যেন ভূমিকম্প হল’ বিমান দুর্ঘটনার বর্ণনায় প্রত্যক্ষদর্শী
ভারতের আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, যখন বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল তখন তার মনে হয়েছিল, ‘যেন ভূমিকম্প হল’। খবর বিবিসি বাংলার
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ১৭ মিনিটে ভারতের আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি। এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি যুক্তরাজ্যের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি ঘরেই বসে ছিলাম, হঠাৎ প্রচন্ড একটা শব্দ হল। মনে হল যেন ভূমিকম্প হচ্ছে। আমি তখনও জানতাম না বিমান ভেঙে পড়েছে। পরে এখানে এসে জানতে পারি।’
‘এখানে এসে দেখি, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে আর ওখানে অনেকগুলো মৃতদেহ পড়ে আছে, বলেছেন ওই প্রত্যক্ষদর্শী।
বিজেপি বিধায়ক দর্শনা বাঘেলা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, তিনি ঘটনাস্থলের কাছেই নিজের দপ্তরে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আমার অফিসে বসেছিলাম। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে গিয়ে দেখি, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রচুর ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ডাক্তারের হোস্টেলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় শ্রমিকদের সহায়তায় আমরা অনেককে উদ্ধার করতে পেরেছি।
এদিকে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু। বিমানটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল। তার সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দার। তবে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি।
পুলিশের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, বিধ্বস্ত বিমানে থাকা ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন।