চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্নের অভিযোগ
Published: 11th, June 2025 GMT
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মিরান (৩২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে ডান হাতের কনুইয়ের উপর পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে চাচাতো ভাই সোহেলসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এসময় মিরানের বাম হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থান কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের মধুপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। মিরান ছোট বালিয়াতলী গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে মিরানের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই সোহেলের বিরোধ চলে আসছিলো। পূর্ব বিরোধের জেরে রাতে ওই বাজারে মিরানকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করে সোহেলসহ তার সহযোগীরা।
এসময় মিরানের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে রাতেই তাকে কলাপাড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত ইলিয়াস তালুকদার বলেন, “এ ঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/ইমরান/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন। সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল
সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”
কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ