অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ চেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আমরা একটি চিঠি পেয়েছি। চিঠির বিষয়টি আইনি এবং এটি আইনিভাবে সমাধান করা হবে।

তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপে টিউলিপ সিদ্দিক ছিলেন না।

প্রেস সচিব শফিকুল আলমের কাছে টিউলিপের চিঠির প্রসঙ্গে জানতে চান লন্ডনের এক সাংবাদিক। জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে, সোমবার (৯ জুন) চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্যে যান প্রধান উপদেষ্টা। এ সফরেই তার সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা জানিয়ে চিঠি পাঠান টিউলিপ। চিঠিতে তিনি ড.

ইউনূসকে হাউস অব কমন্সে মধ্যাহ্নভোজ বা বিকেলে চা পানের আমন্ত্রণ জানান।

টিউলিপের চিঠি পাঠানোর সংবাদ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে আসে আগেরদিন রোববার (৮ জুন)। প্রধান উপদেষ্টার সফর শুরুর একদিন আগে। সেদিন অবশ্য প্রেস সচিব সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, আমরা এখন পর্যন্ত তার কোনো চিঠি হাতে পাইনি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট উল প স দ দ ক ট উল প

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি গ্রহন

সম্প্রতি দেশে করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতামুলক জরুরি নির্দেশনা অনুসারে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এ এফ এম মুশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্প অধ্যুষিত এলাকা। ছোট্ট এই জেলাতে রয়েছে তৈরি পোশাক, পাট, সিমেন্টসহ নানা ধরনের কল-কারখানা। এসব কল-কারখানায় কাজ করছেন লাখো মানুষ। কাজের খোঁজে দেশের নানা প্রান্ত থেকে এখানে লোকজন ছুটে আসেন।

অনেকে আবার পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। বিশেষ করে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এ জেলা থেকে বিভিন্ন জেলায় ঈদ করতে যাওয়া লোকজন ফের নারায়ণগঞ্জে ফিরছেন। তাই এখানে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েছে।

বিষয়টি বিবেচনায় রেখে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। সম্ভাব্য করোনা মোকাবেলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জেলা শহর ছাড়াও উপজেলা পর্যায়েও সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

তিনি আরও জানান, করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজন মতো সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ না করতে অনুরোধ জানিয়েছে। এছাড়া হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢাকতে হবে।

করোনা মোকাবেলার লক্ষ্যে আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদান, স্বাস্থ্য ডেস্ক চালু, চিকিৎসাকাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস ও রোগ প্রতিরোধী পোশাক (পিপিই) মজুত রাখতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এ এফ এম মুশিউর রহমান আরও জানান, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে করোনাভাইরাস শনাক্তে রোগীর নমুনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর মেশিন আছে। আমরা দু'একদিনের ভিতরে কিট সরবরাহ করে সেই মেশিন গুলো চালু করব। পরীক্ষা নিরীক্ষা গুলো আমাদের হাসপাতালেই হবে। 

এ হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে সিলেক্ট করেছি। গত করোনা কালীন সময়েও এ হাসপাতাল ডেডিকেটেড হিসেবে কাজ করেছে। জেনারেল রোগী গুলা এখানে ভর্তি হবে। আর কোন কিছুতে আতঙ্কিত না হয়ে যদি কোন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে সাথে সাথে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিবেন। 

আইসোলেশনে থাকবেন এবং মাক্স ব্যবহার করবেন ও স্বাভাবিক খাবার দাবার খাবেন এবং জনসমাগম ভীড় এড়িয়ে চলবেন তাহলে আমি মনে করি এই করোনা সংক্রমণকে রোধ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব। আর নারায়ণগঞ্জে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে রোগ প্রতিরোধে নির্দেশনাগুলো প্রচার করতে বলা হয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ