টিউলিপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ড. ইউনূস
Published: 13th, June 2025 GMT
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার লন্ডন সফরকালে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
টিউলিপ সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আলোচনার জন্য ড.
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা জানান, টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো ‘আদালতের বিষয়’। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ওপর তার আস্থা আছে।
দুর্নীতি দমন সংস্থা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাপারে তদন্ত করছে। টিউলিপের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার শাসনামলে অবৈধভাবে জমি গ্রহণের অভিযোগ এনেছে দুদক।
টিউলিপ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন টিউলিপ।
মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ জানিয়ে দেওয়া চিঠিতে টিউলিপ উল্লেখ করেছিলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া ভুল বোঝাবুঝি দূর করতেও সহায়ক হতে পারে এই সাক্ষাৎ।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিবিসি জানতে চেয়েছিল, তিনি তার চার দিনের যুক্তরাজ্য সফরকালে টিউলিপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কি না।
জবাবে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “না, আমি দেখা করব না। কারণ, এটা একটা আইনি প্রক্রিয়া। আমি আইনি প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে চাই না। প্রক্রিয়াটি চলতে থাকুক।”
টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তি দিয়েছেন যে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাদের অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেনি এবং তার আইনজীবীদের সাথে যোগাযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
এই যুক্তিগুলির জবাবে ইউনূস বলেন, “এটি আদালতের বিষয়। মামলাটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত উপকরণ আছে কিনা বা বাতিল করবে কিনা সে ব্যাপারে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।”
বাংলাদেশের প্রসিকিউটরদের আরো স্বচ্ছ হতে হবে এবং সিদ্দিককে অন্যায়ের প্রমাণ সরবরাহ করতে হবে কিনা জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আমাদের দুর্নীতি দমন কমিশনের উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে এবং তারা সঠিক কাজ করছে।”
ঢাকা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট উল প স দ দ ক ট উল প র
এছাড়াও পড়ুন:
আধা ঘণ্টার মধ্যেই গিলের দুই রেকর্ড
ওভাল টেস্টের আজ প্রথম দিন। ‘অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি’র এই ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ভারতের জন্য স্মরণীয় হয়ে উঠবে কি না সময়ই বলবে। তবে শুবমান গিল নিজের জন্য স্মরণীয় করে তুললেন প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই। দিনের দ্বিতীয় ঘণ্টায় ব্যাট করতে নামা গিল আধা ঘণ্টার মধ্যেই ভেঙেছেন দুটি রেকর্ড।
একটি রেকর্ড গ্যারি সোবার্সের, যা টিকেছিল ৫৯ বছর। আরেকটি রেকর্ড সুনীল গাভাস্কারের, টিকেছিল ৪৬ বছর। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টের প্রথম সকালের এ দুই কীর্তির পর গিলকে হাতছানি দিচ্ছে আরও কয়েকটি রেকর্ড।
সিরিজের প্রথম চার টেস্টে ৭২২ রান করা গিল আজ প্রথম রেকর্ডটি ভেঙেছেন নিজের প্রথম স্কোরিং শটে। সেনা দেশগুলোতে (দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া) সফরকারী অধিনায়ক হিসেবে এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটা ছিল সোবার্সের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি ১৯৬৬ সালের ইংল্যান্ড সফরে পাঁচ টেস্টের আট ইনিংসে করেছিলেন ৭২২ রান। প্রায় ছয় দশক পর গত সপ্তাহে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টেই তাঁকে ছুঁয়ে ফেলেন গিল।
সোবার্সকে ছাড়িয়ে যেতে বাকি যে এক রান দরকার ছিল, গিল আজ সেটিই নিয়েছেন ক্রিস ওকসের বলে স্কয়ার লেগে ঠেলে জোড়া রান নিয়ে। ইংল্যান্ডে সফরকারী অধিনায়ক হিসেবে এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি রানের এই কীর্তি গড়েই থামেননি গিল। কিছুক্ষণ পরই ছাড়িয়েছেন স্বদেশি কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারের এক রেকর্ড।
১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬ টেস্টের ৯ ইনিংসে ৭৩২ রান করেছিলেন তখনকার ভারত অধিনায়ক গাভাস্কার। চার দশকের বেশি সময় ধরে এটিই ছিল অধিনায়ক হিসেবে এক টেস্ট সিরিজে ভারতের রেকর্ড। আজ জেমি ওভারটনকে কাভার দিয়ে চার মেরে ১১ রানে পৌঁছে গাভাস্কারের রেকর্ডটিও দুইয়ে ঠেলে দিয়েছেন গিল।
প্রথম আধা ঘণ্টার মধ্যে দুটি নতুন রেকর্ড গড়া গিলের সামনে হাতছানি দিচ্ছে আরও কিছু রেকর্ড। যেমন ওভাল টেস্টে ৫৩ রান করতে পারলে তিনি হয়ে যাবেন ভারতের হয়ে এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। বর্তমানে রেকর্ডটি গাভাস্কারের, যিনি ১৯৭১ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮ ইনিংসে করেছিলেন ৭৭৪ রান।
গিল যদি আরেকটু এগিয়ে ৮৯ রান করতে পারেন, তাহলে ডন ব্র্যাডম্যানকে ছাড়িয়ে তিনি হবেন অধিনায়ক হিসেবে এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান করা বিশ্ব রেকর্ডের মালিক। ১৯৩৬-৩৭ অ্যাশেজে ৯ ইনিংসে ৮১০ রান করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি।
আর গিল যদি ওভালে সেঞ্চুরিই করে ফেলেন, তাহলে তিনি হয়ে যাবেন এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি ৫ সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান, যে কীর্তিটি আছে শুধু ক্লাইভ ওয়ালকটের (১৯৫৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ টেস্টে ৫ সেঞ্চুরি)।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় বৃষ্টিতে বন্ধ ছিল খেলা। বৃষ্টি আসার আগে ২ উইকেটে ৭২ রান তুলেছে টসে হেরে ব্যাটিং করা ভারত। গিল ১৫ ও সাই সুদর্শন ২৫ রানে অপরাজিত আছেন।